জেনে নিন ভ্যালেন্টাইন’স ডে কোন দেশে কীভাবে পালিত হয়? আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ভালোবাসা ও অনুরাগের মধ্যে দিয়ে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয়। প্রথম দিকে এটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সম্মানে খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হলেও এখন এটি ঐতিহ্য বহন করছে।
- আরো পড়ুন: প্রতারণার ফাঁদ ডেটিং অ্যাপস
- আরো পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী যে দেশের শিশুরা
- আরো পড়ুন: আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে? জেনে নিন বিস্তারিত
বর্তমানে এ দিনটি বিভিন্ন দেশে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়েছে। এ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সরকারি ছুটিও পালন করে।
তবে বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়। বিগত কয়েক বছরে ধরে এদেশেও বেশ জাকজমকতার সাথে পালিত হয় ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ দিনটি কীভাবে পালিত হয়, তা হয়তো অনেকেরই অজানা? কিছু দেশে এদিন ভালবাসার উদযাপন করা হলেও, তা হয় অভিনব ভঙ্গিতে। আবার কিছু দেশে একদমই অন্য কিছু ঘটে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ভ্যালেন্টাইন’স ডে কোন দেশে কীভাবে পালিত হয়?
১. ফ্রান্স: ভ্যালেন্টাইন নামে একটি গ্রামই রয়েছে ফ্রান্সে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ছোট্ট এই গ্রাম সেজে ওঠে সুন্দরভাবে। প্রত্যেক বাড়িতে গ্রিটিংস কার্ড, ভালবাসার বার্তা, প্রেমের প্রস্তাব লেখা চিরকুটে সাজিয়ে তোলা হয়। লতা-পাতা ফুলও থাকে সেই অন্দরসজ্জায়। বাড়ির বাগানও সাজানো হয় একইভাবে। এলাকাবাসী মহা ধুমধামে পালন করে দিনটি।
২. দক্ষিণ কোরিয়া: সারবিশ্বে ভ্যালেন্টাইন উইক পালিত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এরপর একে একে রোজ, প্রপোজ, চকলেট, টেডি, হাগ, কিস ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভালবাসার দিন উদযাপিত হয় ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে। গোলাপ দিবস পালন করা হয় মে মাসে, চুম্বন দিবস জুনে ও আলিঙ্গন দিবস এপ্রিলে।
৩. ঘানা: আফ্রিকানদের এই দেশে ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি পালিত হয় জাতীয় চকলেট ডে। দেশের পর্যটন বাড়াকেই নাকি এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন ঘানার সরকার।
৪. আর্জেন্টিনা: ভালবাসা উদযাপন করতে আর্জেন্টিনাবাসী ফেব্রুয়ারি নয় বেছে নিয়েছেন জুলাই মাসে। এদিন কাছের মানুষকে চকলেট বা অন্য কোনও উপহার দেয়ার রীতি রয়েছে এ দেশে।
৫. বুলগেরিয়া: ১৪ ফেব্রুয়ারির দিন অন্যরা যখন ভালোবাসা আদান-প্রদানে ব্যস্ত, তখন বুলগেরিয়াবাসী তৈরি করেন ওয়াইন। এরপর প্রস্তুতকৃত ওয়াইন পান করে যুগলরা ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেন।
৬. ডেনমার্ক: এ দেশে ভালবাসার উদযাপিত হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। এ দিন হাতে তৈরি কার্ড দেয়া হয় প্রিজনকে। তবে যে সে কার্ড নয়। সাদা ফুল শুকিয়ে তা কাগজে ফুটিয়ে তোলা হয়।
৭. রোমানিয়া: এ দেশে ভালোবাসা দিবস পালিত হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। এদিন যুগলদের জন্য বিশেষ হয়ে থাকে। কারণ এদিন বাগদান পর্ব সেরে ফেলেন রোমানিয়ান যুগলরা। এদিন সৌভাগ্যের আশায় বরফে মুখ ধুয়ে নেন তারা।
- আরো পড়ুন: পরকীয়া ও গ্যাসলাইটিং..
- আরো পড়ুন: হাই হিলে যেসব ক্ষতি হয়!
- আরো পড়ুন: যে ৭ অভ্যাসের পুরুষকে বিয়ে করলেই বিপদ!
৮. দক্ষিণ-পশ্চিম চীন: প্রতিবছর দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের মিয়াওতে ‘সিস্টার্স মিল বা বোনদের খাবার’ নামক এক উৎসব পালিত হয়। বলা হয়ে থাকে, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ ভ্যালেন্টান’স ডে পালনের উৎসব। এদিন সব নারীরা সুন্দর পোশাকের পাশাপাশি পুরো শরীরভর্তি করেই রুপার গহনা পরেন। তারা রাস্তার মধ্যেই রান্না করেন ও সেখানেই মনের মানুষকে খাওয়ান।
৯. অ্যাস্তোনিয়া: ১৪ ফেব্রুয়ারি এ দেশে ‘সোবরাপায়েভ’ নামে একটি উৎসব হয়। এটি আসলে বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে পালিত হয়। বিবাহিত ও অবিবাহিতসহ সবাই এটি উদযাপন করে।
১০. চেক প্রজাতন্ত্র: এ দেশে ভ্যালেন্টাইন’স পালিত হয় পহেলা মে। দিনটিতে তরুণ দম্পতিরা কবি করোল হাইনেক মাচার মূর্তির সামনে তীর্থ যাত্রায় যান। তারা সৌভাগ্যের জন্য চেরি গাছের গোড়ায় চুম্বন করেন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।