SSC পূর্ব বাংলার আন্দোলন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (ফ্রি PDF)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কীভাবে পূর্ববাংলা পাকিস্তানের একটি প্রদেশে পরিণত হয়?
উত্তর : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়। জন্ম নেয় ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র। পূর্ববাংলা পাকিস্তানের একটি প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। পূর্ববাংলার নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কী?
উত্তর : বাঙালি জাতি তার মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষা করার জন্য জীবন দিয়ে সংগ্রাম করেছে। এ আন্দোলনে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি পুলিশের গুলিতে শহিদ হন রফিক, জব্বার, বরকত, সালাম প্রমুখ।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ব্যবসায় উদ্যোগ:অনুধাবন ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> নবম-দশম শ্রেণি ব্যবসায় উদ্যোগ:সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> নবম-দশম শ্রেণি:দ্বিতীয় অধ্যায় MCQ (উত্তরসহ ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> নবম-দশম শ্রেণি:দ্বিতীয় অধ্যায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর(PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> নবম-দশম শ্রেণি:দ্বিতীয় অধ্যায় ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা
সে জন্য ১৯৫৩ সাল থেকে ২১ ফেব্র“য়ারি শহিদ দিবস হিসেবে দেশব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর এ দিনে শহিদ মিনারে গিয়ে আমরা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্র“য়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ঐতিহাসিক ৬-দফাকে পূর্ব বাংলার মুক্তির সনদ বলার কারণসমূহ চিহ্নিত কর।
উত্তর : ৬ দফা দাবি পেশ করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। ৬ দফা পূর্ববাংলার জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিকসহ সব অধিকারের কথা তুলে ধরে।
এ কর্মসূচি বাঙালির জাতীয় চেতনার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা না হলেও এ ৬ দফা কর্মসূচি বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। এসব কারণে ৬ দফাকে পূর্ববাংলা বা বাঙালির জাতীয় মুক্তির সনদ বলা হয়।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কোন প্রেক্ষাপটে ছয় দফার মধ্যে আধাসামরিক বাহিনী গঠনের দাবি তোলা হয়?
উত্তর : ১৯৬৬ সালে লাহোরে বিরোধী দলসমূহের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
পূর্ববাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম সুস্পষ্ট রূপ লাভ করে ৬ দফার স্বায়ত্তশাসনের দাবিনামায়। ৬ দফা কর্মসূচির অন্যতম দাবি ছিল অঙ্গরাজ্যগুলোর আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আধাসামরিক বাহিনী বা মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেওয়া। মূলত আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে ছয় দফার মধ্যে আধাসামরিক বাহিনী গঠনের দাবি তোলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ‘পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক বৈষম্যই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে ছয় দফা দাবির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য করেছিল’Ñ তোমার বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দাও।
উত্তর : পাকিস্তান সৃষ্টির আগে পূর্ববাংলা অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানের চাইতে অগ্রসর ছিল।
কিন্তু ১৯৪৭ সালে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসন-শোষণ প্রতিষ্ঠার ফলে পূর্ব পাকিস্তান দ্রুত পিছিয়ে যেতে থাকে। বৃদ্ধি পেতে থাকে দুই অঞ্চলের মধ্যকার বৈষম্য। পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যমূলক নীতির কারণে পূর্ববাংলার চাইতে পশ্চিম পাকিস্তান অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল।
যেমন : ১৯৫৫Ñ৫৬ সাল থেকে ১৯৫৯Ñ৬০ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান লাভ করেছিল মোট বাজেট বরাদ্দের ১১৩ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, অপরদিকে পশ্চিম পাকিস্তান তখন পেয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা।
একইভাবে ১৯৬০Ñ৬১ থেকে ১৯৬৪Ñ৬৫ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬,৪৮০ মিলিয়ন টাকা আর পশ্চিম পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা ছিল ২২,২৩০ মিলিয়ন টাকা।
ফলে ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন, কৃষিসহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে কয়েক গুণ পিছিয়ে পড়ে। সুতরাং বলা যায়, অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ছয় দফা দাবির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ‘১৯৭০ এর নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাবই মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য কারণ’ Ñ বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম ‘এক ব্যক্তির এক ভোটের ভিত্তিতে’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (ওয়ালী), মুসলিম লীগ (কাইয়ুম), মুসলিম লীগ (কনভেনশন), পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জামাত-ই-ইসলামি প্রভৃতি দল অংশগ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ ৬ দফার পক্ষে নির্বাচনকে গণভোট হিসেবে অভিহিত করে। নির্বাচনে ৫ কোটি ৬৪ লাখ ভোটারের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে ছিল ৩ কোটি ২২ লাখ।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের (এবং কিছু আসনে ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭১) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন (৭টি মহিলা আসনসহ) লাভ করে।
১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ৩০০টির মধ্যে ২৮৮টি আসন আওয়ামী লীগ পায়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এ বিজয় ছিল নজিরবিহীন। আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠন ও ৬ দফার পক্ষে গণরায় লাভ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় জনগণ মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ঐতিহাসিক আগরতলা মামলাকে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক ষড়যন্ত্র মামলা বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তার বিশ্বাস ছিল শেষ পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম ব্যতীত বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
তাই তিনি সশস্ত্র পন্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সে সময়ে গোপনে গঠিত বিপ্লবী পরিষদের সদস্যদের তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (PDF)নবম-দশম শ্রেণি:ব্যবসায় উদ্যোগ MCQ (উত্তরসহ)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> নবম-দশম শ্রেণি :ব্যবসায় উদ্যোগ প্রথম অধ্যায় ব্যবসায় পরিচিতি
- উত্তর ডাউনলোড করুন>SSC:ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংজ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংসমন্বিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)
বিপ্লবী পরিষদের পরিকল্পনা ছিল একটি নির্দিষ্ট রাতে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাঙালিরা বিভিন্ন গ্র“পে বিভক্ত হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবগুলো ক্যান্টনমেন্টে কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের বন্দী করবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করবে।
পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হওয়ার পূর্বেই তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে ঐতিহাসিক আগরতলা (‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য’) মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় সশস্ত্র পন্থায় স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় । এ পরিকল্পনা পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ছিল বলে একে তারা ষড়যন্ত্র মামলা বলে আখ্যায়িত করে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।