আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: রক্তজমাট বাধার বিরল সমস্যার ঝুঁকি বিবেচনায় প্রায় ১১ দিন বন্ধ থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রের আবর শুরু হচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকা ব্যবহার। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শক্রমে এর ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে মার্কিন নীতিনির্ধারকরা। বিবিসি।
এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ লাখ মানুষ জনসনের টিকা নিয়েছে। এদের মধ্যে রক্তজমাট সমস্যার শিকার হয়েছেন মাত্র ১৫ জন। যুক্তরাষ্ট্রের আগে ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও জনসনের টিকার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে।
চলতি মাসে ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকরা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সাথে জনসনের টিকায় রক্তজমাট সমস্যার মিল খুঁজে পান। তবে তাদের মতে, এর ঝুঁকির তুলনায় উপকার অনেক বেশি।
গতকাল (শুক্রবার ২৩ এপ্রিল) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এবং খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সিডিসির পরামর্শক প্যানেলের নির্দেশনা মেনে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। প্যানেলের সদস্যরা ১৮ বয়সোর্ধ্বদের জনসনের টিকা দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলো।
এদিকে, গতকাল (শুক্রবার ২৩ এপ্রিল) জনসনের টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে ৯ জনের শরীরে রক্তজমাট বাধার প্রমাণ মিলেছে। এর আগে আরো ৬ জন একই সমস্যার শিকার হয়েছিলো। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীদের মধ্যে সবাই নারী এবং তাদের বয়স ৫০ বছরের নিচে। এদের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন, ৭ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রায় এক ডজন নারীর বয়সই ৩০ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। সাতজন স্থূলকায় এবং ২ জনের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু পুরুষের মধ্যেও এ ধরনের রক্তজমাট সমস্যার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি জানান, জনসনের টিকা দেয়ার আগে নারীদের এর সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়টি জানানো জরুরি।
এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে টিকা নেয়ার ৩ সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পা ও পেটে ব্যথা। মার্কিন চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, সাধারণত রক্তজমাটের চিকিৎসায় যে হেপারিন ব্যবহার করা হয়, জনসনের টিকা নেয়ার পর অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিতে পারে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।