অসময়ে মাসিক ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় দুর্বা ডেস্ক :: যেকোনো বয়সের নারীদের মধ্যেই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। এসব কারণে সন্তান ধারণে সমস্যাসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মাসিক চলাকালীন বা এর আগে-পরে অসংখ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোমর ও পেট ব্যথা হয়। আর এই ব্যথা একটা সময় শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ব্রেস্টে ব্যথা, কারো কারো বমি। আবার অনেকে খাবার খেতে পারে না। প্রকৃত অর্থে মাসিক চলাকালীন বা আগে-পরে মহিলাদের শরীরে হরমোনের বেশ কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে।
দেশে এখনো মাসিক নিয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। সদ্য কিশোরী যখন এই সময়ে অবস্থান করে তখন তার কাছে এই সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্যই থাকে না। মাসিকের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তলপেট এবং কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। এমনটা হলে কোনো মহিলা বা কিশোরীর সাথে খারাপ ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রয়োজনে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তবে এটা ঠিক যে, প্রবাহ যদি কম থাকে তাহলে অসময়ে মাসিক ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় ব্যথা রোধ করা সম্ভব। নিচে তা উল্লেখ করা হল-
পেঁপে
মাসিকের প্রবাহ ঠিকঠাক রাখার জন্য পেঁপে অনেক উপকারী। হোক তা কাঁচা কিংবা পাকা। পেঁপে খাওয়ার ফলে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। সেই সাথে অবাঞ্ছিত রক্ত এবং ক্লড বের করে দিয়ে তলপেট ও কোমরকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। গর্ভাশয়ের পেশী সচল করে রক্তপ্রবাহকে স্বাভাবিক করে কাঁচা পেঁপে। পাকা পেঁপেও মাসিকের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। তবে মা হওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে পাকা পেঁপে খাওয়া বন্ধ করা উচিত। গর্ভপাত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
হলুদ
এটি অ্যান্টিসেপ্টিক বা পেটের সমস্যা ছাড়াও মাসিকের ফ্লো স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য হলুদ বেশ কার্যকরী। এতে মাসিকের যন্ত্রণা কম হয়। প্রতিদিন গরম দুধে আধা চামচ হলুদ এবং সামান্য মধু বা গুড় মিশিয়ে খাবেন।
আদা
হলুদের মতোই অনেক উপকারী আদা। ১ চা চামচ আদা ৫/৭ মিনিট সিদ্ধ করে সামান্য চিনি মিশিয়ে দুপুরে খাওয়ার পর দিনে কমপক্ষে একবার পান করুন। নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে পিরিয়ডের চক্র স্বাভাবিক হয়।
জিরা
প্রাকৃতিক এই উপাদানের কোনো তুলনা নেই। ভেষজ এই উপাদানের পানি খাওয়ার ফলে মাসিকের অনিয়মিত প্রবাহের সমস্যা দূর হয়। এক কাপ পানিতে ২ চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
দারচিনি
অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা রোধে দারচিনির বিকল্প নেই। গরম দুধে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়ার ফলে মাসিকের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে বিশেষ সহায়তা করে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।