গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে সহজে যেভাবে আয় করবেন । আসুন এ বিষয়ে আজকের আলোচনা আমরা বিস্তারিত জানাবো। বর্তমান সময়ে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয় করার সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। মূলত অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এই ২টি মাধ্যম।
অ্যাডসেন্সের নিয়মকানুন এবং গাইডলাইন সঠিকভাবে অনুসরণ করলে সহজেই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভড করে সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন শো করিয়ে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
অপরদিকে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়, এমন প্রশ্ন হরহামেশাই শোনা যায়। চলমান করোনা মহামারি ও লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে সহজে যেভাবেস আয় করবেন
গুগল অ্যাডসেন্স
গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশীদারি প্রকল্প যার মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারী তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আরো পড়ুন: চাকরী ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করে তিনটি রেস্তারার মালিক!
আরো পড়ুন: আচার বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয়
আরো পড়ুন: প্রশিক্ষণ দেশে, চাকরি বিদেশে!
একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর বা স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
প্রথমে আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে এবং আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।
কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করে তাহলে আপনে প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন। এ ছাড়া শুধু মাত্র আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি অল্পকিছু পরিমাণ টাকা পাবেন।
গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো এমন জায়গায় বসাতে হবে যাতে করে ভিজিটররা খুব সহজে অ্যাডটি দেখতে পায়। আর এই পদ্ধতিটাই ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক হওয়ার অধিক সম্ভাবনা তৈরি করবে গুগল অ্যাডসেন্স সবসময় কনটেন্ট সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, কাজেই যখন পাঠক সহজে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে তখন ওই জিনিসটা তার প্রয়োজন পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সে তার প্রয়োজনে অবশ্যই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। তবে ব্লগের কনটেন্ট এর ভেতরে অধিক পরিমাণে বিজ্ঞাপন বসানো থেকে বিরত থাকবেন।
অধিকন্তু গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে আপনি যদি অন্য কোনও ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই সেটি জবসড়াব করবেন। তা না হলে কোনোভাবে অ্যাডসেন্স টিম আপনার আবেদন অনুমোদন করবে না।
অ্যাডসেন্স থেকে ভালো আয় করার প্রথম শর্তই হচ্ছে ভিজিটরের চাহিদা মাফিক অরিজিনাল এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট নিয়মিত ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা।
ব্লগে প্রচুর পরিমাণে নিত্যনতুন ইউনিক ভিজিটর পেতে অবশ্যই নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে। এসইও অনুসরণ করে ব্লগে ভালোমানের কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় ২টিই বাড়তে থাকবে
ফেসবুক পেজ
ফেসবুক খুললেই আমাদের চোখে পড়ে হরেক রকমের পেজ। কনটেন্টের মান ভালো হলে ফেসবুক নিউজফিডে সহজেই প্রাধান্য পায়। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই একটি পেজ খুলে নিতে হবে। ফুড রিভিউ, ট্র্যাভেল পেজ, নিউজ পোর্টাল কিংবা ট্রেন্ডি কোনো ট্রল পেজসহ বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক পেজ খুলতে হবে।
ফেসবুক পেজ খোলার পর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে কনটেন্ট বা বিষয়বস্তুর ওপর। কারণ আপনার কনটেন্টের ওপর পেজটিতে ফ্যানবেস নির্ভর করবে। আকর্ষণীয় শিরোনাম এবং ছবি বা ফুটেজ থাকলে সহজেই ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। ফেসবুক পেজে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে ভিজিটর বাড়ানোর যায়। ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস, টাম্বলারের লিংক পেজে পোস্ট করে আয় করা যায়।
এ ছাড়া অ্যাডসেন্স নামে গুগলের একটি প্রোগ্রাম আছে। যেটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করা যায়। অ্যাডসেন্সের কাজ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন সরবরাহ করা। এর বিনিময়ে ওয়েবসাইট পরিচালনাকারীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে থাকে তারা।
অনেকেই শুনেছেন অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিংয়ের কথা। ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে করতে নিউজফিডে প্রায়ই বিভিন্ন অ্যাড চোখে পড়ে। যেগুলোর নিচে ‘স্পন্সরড’ লেখা থাকে। একেই অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিং বলা হয়। অ্যাফেলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রামের জন্য আলাদা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। মনে রাখবেন, প্রত্যেক বিজ্ঞাপনের জন্য আলাদা আলাদা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এতে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ মতো বিজ্ঞাপন খুঁজে নিতে পারবেন এবং অল্প সময়ে বেশি আয় করা সম্ভব হয়। এখানে ব্যবহারকারীরা যতবার বিজ্ঞাপনটি দেখবে ততবার আয় বাড়তে থাকে। তাই বিজ্ঞাপনের প্রোমোশনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।
আরো পড়ুন: অনলাইন ৬ ধরণের ব্যবসার আইডিয়া
আরো পড়ুন: ই-কমার্সের ইতিহাস এবং এর বিবর্তন
আরো পড়ুর: ই-কমার্স এবং উদ্যোক্তা
অনলাইন কনটেস্ট বা প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য কোম্পানির প্রোমোট করা। প্রায় সময়েই ফেসবুকে বিভিন্ন কনটেস্ট দেখা যায়। নতুন কোনও ক্যাম্পেইন, পণ্য, মার্কেট প্ল্যানিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককেই বেছে নেয় এসব কোম্পানি। অনলাইন কনটেস্টে পুরস্কার হিসেবে কখনও মোটা অঙ্কের অর্থ, কখনো প্রাইজবন্ড, কখনও ইন্টার্নশিপ বা চাকরির সুযোগ।
অর্থ উপার্জনের জনপ্রিয় একটি উপায় হলো অনলাইন মার্কেটিং। ফেসবুককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে। ইদানিং ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপ গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ এবং মূল্য লেখা থাকে। ইনবক্সে অথবা কমেন্টে গ্রাহকরা তাদের পছন্দমতো পণ্য অর্ডার করে। কোনও কোনও কোম্পানিতে অর্ডার করার সময়েই ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।