জেনে নিন কিডনি নষ্ট হয়েছে বুঝবেন কীভাবে । আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কিডনির নানা রোগের মধ্যে অন্যতম নষ্ট হয়ে যাওয়া। আরেকটি রোগ হলো, কিডনিতে প্রোটিন চলে যাওয়া। প্রোটিন আমাদের শরীরে পেশি তৈরি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। বেশিরভাগ প্রোটিন লিভারে তৈরি হয় এবং এর প্রাথমিক উৎস হলো খাবার।
- আরো পড়ুন: মা-বাবার রক্তের গ্রুপ একই হলে সন্তানের যে সমস্যা হয়
- আরো পড়ুন: মেরুদণ্ডে টিউমার ও যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ
- আরো পড়ুন: ভ্রমণে গেলে যা মাথায় রাখবেন
কিডনি নষ্ট হয়েছে বুঝবেন কীভাবে
কিডনি দিয়ে প্রোটিন যাওয়ার রোগ হলে শরীর থেকে অনেক বেশি প্রোটিন বেরিয়ে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ফলে রোগীর পায়ে পানি জমে এবং প্রেসার বেড়ে যায়। এতে শরীরের মধ্যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে কলকব্জা আছে, সেগুলোর কাউন্টার অ্যাকক্টিভ (বিপরীত কাজ) শুরু হয়। এতে শরীরে অ্যালবুমিন কমতে থাকে এবং প্রেসারও বাড়তে থাকে। এতে রোগী খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অ্যালবুমিন একটি অপরিহার্য প্রোটিন উপাদান, যা টিস্যু বা কলাগুলোর স্বাস্থ্যকে বজায় রাখে। রক্তক্ষরণকে প্রতিরোধ করে এবং এটি শরীরের মধ্যে তরল, রক্ত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টিস্যুর স্বাস্থ্যকে বজায় রাখার জন্য সঞ্চালিত হয়।
অনেকেই শুধু শরীর ফোলাকে কিডনি রোগ বা কিডনি নষ্ট হওয়া বোঝেন। কিন্তু এগুলোর আরো কিছু রোগ আছে। যেগুলোতে শরীরের প্রোটিন চলে যায়, সেসব ক্ষেত্রে শরীর ফুলে যেতে পারে। এজন্য পায়ে পানি জমলে ও প্রেসার বৃদ্ধি পেলে একজন কিডনি বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে।
কিডনির রোগগুলো খুব ভালো নয়। এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। সাধারণত দেখা যায়, চিকিৎসায় ৩০ থেকে ৫০ ভাগ রোগী ভালো থাকেন। অনেকেই ভালো থাকেন না। অনেকেই চিকিৎসা না নিলে কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়।
কিডনি রোগের ক্ষেত্রে অনেকেই বায়োসপি না করে চিকিৎসা করাতে চান। তবে বায়োসপি করে চিকিৎসা নেওয়া অনেক ভালো। অনেক সময় ১০ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের পা বা শরীর ফুলে যায়। এ নিয়ে মায়েরা অনেক চিন্তা করেন। তবে সাধারণত বাচ্চাদের বায়োসপি করা হয় না। বাচ্চারা একটু বড় হলে বায়োসপি করা হয়।
কিডনি নষ্ট বোঝার উপায়
কিডনি নষ্ট হয়েছে কি না বোঝার জন্য নিয়মিত ফলোআপ করাতে হবে। প্রেসার মাপতে হবে। পা ফুলে যাচ্ছে কি না দেখতে হবে। প্রসাবের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, প্রসাব কমে যাচ্ছে কি না, এগুলো প্রাথমিক লক্ষণ।
- আরো পড়ুন: লোগো ডিজাইন করে মাসে আয় করুন ৫০০০০ টাকা
- আরো পড়ুন: গ্রাফিক ডিজাইন কি? কেনো শিখবেন গ্রাফিক ডিজাইন?
- আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি ধরণের কাজ করা হয়?
এছাড়া খাবারে অরুচি, বমি ভাব, বার বার বমি হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক রোগীদের ইনসুলিন চাহিদা কমে যাওয়া- এসবও কিডনি রোগের পরবর্তী ধাপের লক্ষণ।
বায়োসপি না করে প্রাথমিকভাবে ইউরিন আরএমই টেস্ট করে জানা যাবে কিডনিটা আসলে কেমন। এছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাম করা যেতে পারে। এই টেস্টগুলো যদি স্বাভাবিক থাকে এবং প্রেসার স্বাভাবিক হলে বুঝতে হবে কিডনি ভালো রয়েছে।
লেখক: ডা. হাসিনাতুল জান্নাত
রেজিস্ট্রার, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।