SSC ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা:প্রথম অধ্যায় পরিচিতি (PDF)

SSC ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা:প্রথম অধ্যায় পরিচিতি (PDF)

প্রথম অধ্যায়
ইতিহাস পরিচিতি
‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে যার অর্থ ‘ঐতিহ্য’। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ইতিহাস। শিখনফল

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা, স্বরূপ ও পরিসর ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ইতিহাসের উপাদান ও প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবে।

ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করতে পারবে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী হবে।

অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

ইতিহাসের উপাদান : যেসব তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব, তাকেই ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। সঠিক ইতিহাস লিখতে ঐতিহাসিক উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাসের উপাদানকে আবার দু’ভাগে

ভাগ করা যায়। যথা : লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান।
ইতিহাসের প্রকারভেদ : পঠন-পাঠন, আলোচনা ও গবেষণাকর্মের সুবিধার্থে ইতিহাসকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস ও বিষয়বস্তুগত ইতিহাস।

১. ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস : অর্থাৎ যে বিষয়টি ইতিহাসে স্থান পেয়েছে তা কোন প্রেক্ষাপটে রচিত স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক। এভাবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে শুধুমাত্র বোঝার সুবিধার্থে ইতিহাসকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস, জাতীয় ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস।

২. বিষয়বস্তুগত ইতিহাস : যখন কোনো বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয় তাকে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস বলা হয়। সাধারণভাবে একে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা : রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, কূটনৈতিক ও সাম্প্রতিক ইতিহাস।

ইতিহাসের স্বরূপ : প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের বিচারে ইতিহাস অন্যান্য বিষয় থেকে আলাদা। জ্ঞান অর্জনের অন্যান্য শাখা থেকে এর রচনা ও উপস্থাপনা পদ্ধতিও স্বতন্ত্র। যেমন : ইতিহাস অতীতমুখী। ইতিহাসের বিষয়বস্তু মানুষ, তার সমাজ-সভ্যতা। ইতিহাসে আবেগ ও অতি কথনের কোনো ঠাঁই নেই। ইতিহাস নিরন্তর প্রবহমান। সর্বোপরি বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য।

ইতিহাসের পরিসর : মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা, কার্যক্রম যত শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত, ইতিহাসের সীমাও ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এ বিস্তৃতির সীমা স্থিতিশীল নয়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কর্মধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও সম্প্রসারিত হচ্ছে।

ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা : মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্যনির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজ দেশ সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি।

ANSWER SHEET

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নসহ উত্তর

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নসহ উত্তর

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নসহ উত্তর নিম্নবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান আবির যখন এসএসসি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *