SSC পদার্থবিজ্ঞান:সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF ফ্রি)
সৃজনশীল প্রশ্ন
ক. প্লাজমালেমা কী?
খ. প্লাস্টিডকে বর্ণগঠনকারী অঙ্গ বলা হয় কেন?
গ. জীবজগতের জন্য ঘ চিহ্নিত অংশটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.গ চিহ্নিত অংশটির অনুপস্থিতিতে জীবদেহে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিবে তা বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ক. কোষের প্রোটোপ্লাজমের বাইরে যে দ্বিস্তরবিশিষ্ট পর্দা থাকে তাই প্লাজমালেমা।
খ. প্লাস্টিডগুলোর মধ্যে ক্লোরোপ্লাস্ট এবং ক্রোমোপ্লাস্টে বিভিন্ন ধরনের রঞ্জক পদার্থ যেমন : ক্লোরোফিল, জ্যান্থোফিল,
ক্যারোটিন, ফাইকো-এরিথ্রিন, ফাইকো সায়ানিন ইত্যাদি বর্ণ কণিকা থাকে যেগুলোর কারণে পাতা, ফুল, সবুজ, ফল, হলুদ, কমলা, লাল বা নীল হয়ে থাকে। যেহেতু প্লাস্টিডের কারণেই উদ্ভিদের এ ধরনের বর্ণ বিচিত্রতা দেখা যায়, সে কারণে প্লাস্টিডকে বর্ণ গঠনকারী অঙ্গ বলা হয়।
গ. ঘ চিহ্নিত অংশটির নাম ক্লোরোপ্লাস্ট।
এটি একটি কোষ অঙ্গাণু এবং সবুজ রঞ্জক পদার্থ ক্লোরোফিল ধারণ করে, তাই একে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার দ্বারা শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করা কোরোপ্লাস্টের প্রধান কাজ। একমাত্র সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমেই সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয়ে খাদ্যে আবদ্ধ হয়। এ কাজটি ক্লোরোপ্লাস্ট দ্বারা সম্পূর্ণ হয়।
এছাড়া ক্লোরোপ্লাস্টের ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ঈঙ২ শোষিত হয় এবং ঙ২ উৎপন্ন হয়। ক্লোরোপ্লাস্ট প্রাণিকুলের জন্য ক্ষতিকর ঈঙ২ শোষণ করে এবং সকল জীবের শ্বসনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ঙ২ সরবরাহ করে
জীবজগতকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ক্লোরোপ্লাস্ট এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত খাদ্য শর্করা উদ্ভিদে সঞ্চিত থাকে। যা প্রাণিকুলের খাদ্যের একমাত্র উৎস। এ জন্য উদ্ভিদকোষের ক্লোরোপ্লাস্ট জীবজগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কোষ অঙ্গাণু।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC পদার্থবিজ্ঞান:দ্বিতীয় অধ্যায় উত্তরসহ MCQ (PDF ফ্রি)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC পদার্থবিজ্ঞান:দ্বিতীয় অধ্যায় MCQ উত্তরসহ(PDF ফ্রি)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:পদার্থবিজ্ঞান জীবকোষ ও টিস্যু‘র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (ফ্রি PDF)SSC:জীবন পাঠের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরসহ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:জীবন পাঠের MCQ উত্তরসহ (ফ্রি PDF)
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রের গ অংশটি একটি প্রাণিকোষে থাকে। গ চিহ্নিত অংশটি কোষ অঙ্গাণু- সেন্ট্রিওল যার অনুপস্থিতিতে প্রাণীদেহে কোষ বিভাজনে সমস্যা দেখা দিবে।
সেন্ট্রিওল প্রাণিকোষ বিভাজনের সময় এস্টার-রে গঠন করে যা বিস্তৃত হয়ে মাকুতন্ত্র গঠন করে। মাকুতন্ত্র ক্রোমোসোমের প্রান্তীয় গমনে সহায়তা করে। কোষ বিভাজনের মেটাফেজ দশায় ক্রোমোসোমের সেন্ট্রোমিয়ার বিভক্ত হয় এবং তন্তুর সংকোচনে
ক্রোমোসোমগুলো বিপরীত মেরুর দিকে চলে যায়। শেষে দুটি অপত্যকোষ সৃষ্টি হয় যার ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার সমান থাকে।
যদি কোষে সেন্ট্রিওল না থাকত তাহলে কোষে মাকুতন্ত্র সৃষ্টি হতো না এবং ক্রোমোসোমগুলোর বিপরীত মেরুর দিকে যাওয়া বিঘিœত হতো। ফলে কোষটিতে ক্রোমোসোম সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে একটি অস্বাভাবিক কোষের সৃষ্টি হতো এবং কোনো জীবের প্রজাতির ক্রোমোসোম সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকত না।
এছাড়া কোনো বিভাজিত কোষের সেন্ট্রিওল নষ্ট হয়ে গেলে, সে কোষ থেকে সৃষ্ট অস্বাভাবিক কোষটির অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে টিউমার অথবা অনেক সময় ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে।
সুতরাং বলা যায় সেন্ট্রিওল প্রাণীকোষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোষ অঙ্গাণু।
সৃজনশীল প্রশ্ন
ক. পেশি টিস্যু কী?
খ. স্কেলিটাল টিস্যু কীভাবে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে?
গ. চিত্রের ছ চিহ্নিত অংশটির ঐরূপ অবস্থানের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ.চিত্র অ ও ই-এর মধ্যে একটি পরিবহন কাজ ছাড়াও অন্যান্য জৈবিক কাজে কীভাবে ভূমিকা রাখে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ক. ভ্রƒণীয় মেসোডার্ম থেকে তৈরি সংকোচন প্রসারণশীল বিশেষ ধরনের টিস্যুকে পেশি টিস্যু বলে।
খ. দেহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো গঠনকারী টিস্যুকে স্কেলিটাল যোজক টিস্যু বলে।
মানুষের মস্তিষ্ককে আবৃত করে রাখে অন্তঃকঙ্কাল করোটিকা। করোটিকা এক ধরনের স্কেলিটাল টিস্যু যা ৮টি শক্ত অস্থি দ্বারা গঠিত। অস্থিগুলো ঘন সন্নিবেশিত ও দৃঢ় সংলগ্ন হয়ে মস্তিষ্ককে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।
গ. চিত্রের ছ চিহ্নিত অংশটি সঙ্গীকোষসহ একটি সিভকোষের প্রস্থচ্ছেদের চিত্র।
প্রতিটি সিভকোষের সাথে একটি করে সঙ্গীকোষ থাকে। সঙ্গীকোষটি প্যারেনকাইমা জাতীয়। এর নিউক্লিয়াসের আকার বেশ বড়। সঙ্গীকোষ প্রোটোপ্লাজমপূর্ণ ও পাতলা প্রাচীর যুক্ত। অপরদিকে পরিণত সিভকোষে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না।
ধারণা করা হয়, সঙ্গীকোষের নিউক্লিয়াস সিভকোষের কার্যাবলি কিছু পরিমাণে হলেও নিয়ন্ত্রণ করে। সম্ভবত এটাই প্রতিটি সিভকোষের সাথে একটি করে সঙ্গীকোষের অবস্থানের কারণ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র অ উদ্ভিদের পরিবহন টিস্যুগুচ্ছ ভাসকুলার বান্ডল এর ফ্লোয়েম অংশের সিভনলের চিত্র এবং চিত্র ই মানব তরল যোজকটিস্যু রক্তের কণিকা। এ দুই ধরনের টিস্যু দেহের পরিবহনতন্ত্রের অংশ হলেও ই অর্থাৎ রক্তকণিকা পরিবহন ছাড়াও অন্যান্য জৈবিক কাজে ভূমিকা রাখে।
উদ্ভিদে ফ্লোয়েমের কাজ হচ্ছে প্রস্তুতকৃত খাদ্যকে পাতা থেকে দেহের বিভিন্ন টিস্যু ও কোষে পরিবহন করা। কিন্তু রক্তের রক্ত কণিকাগুলো পরিবহন ছাড়া বিভিন্ন জৈবিক কাজ করে। লোহিত রক্তকণিকা ফুসফুস থেকে অক্সিজেনকে বিভিন্ন টিস্যুতে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে ঈঙ২ কে ফুসফুসে বহন করে এনে শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে।
শ্বেত কণিকাগুলো দেহের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রক্তের তরল অংশ রক্তরস বিভিন্ন জৈব ও অজৈব খাদ্যরস, বর্জ্যপদার্থ, পানি, হরমোন ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অঙ্গে বহন করে নিয়ে যায়। এছাড়া দেহের কোথাও কেটে
ছিঁড়ে গেলে রক্তের অনুচক্রিকা রক্তরসকে জমাট বাঁধিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। উপরিউক্ত ব্যাখ্যা থেকে দেখা যায় যে, চিত্রের অ ও ই অর্থাৎ সিভনল ও রক্তকণিকার মধ্যে রক্তকণিকা পরিবহন ছাড়াও অন্যান্য জৈবিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
চিত্র- জ
ক. টিস্যু কী?
খ. অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব? কেন?
গ. জ-এর গঠন বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
ঘ.জ-এর অনুপস্থিতিতে জীবকুলে কী ঘটবে, বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ক. টিস্যু হলো একই গঠনবিশিষ্ট একগুচ্ছ কোষ যারা একত্রিত হয়ে একই কাজ করে এবং তাদের উৎপত্তি অভিন্ন হয়।
খ. অ্যামিবা এককোষী এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট জীব। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে।
কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে। খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো অ্যামিবা এর মধ্যে থাকার কারণে এদের প্রোটিস্টা (Protista) রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে জ একটি প্লাস্টিডের ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দৃষ্ট চিত্র। চিত্রের প্লাস্টিডটি ক্লোরোফিল ধারণ করে তাই একে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। প্রতিটি ক্লোরোপ্লাস্ট দুটি একক পর্দা বহিঃঝিল্লি ও অন্তঃঝিল্লি দ্বারা বেষ্টিত।
এর মধ্যে তরল ম্যাট্রিক্স থাকে, একে স্ট্রোমা বলে। স্ট্রোমায় অসংখ্য চাকতির মত বস্তু স্তরে স্তরে সাজানো থাকে এদের গ্রানা বলে এবং এক একটি চাকতিকে থাইলাকয়েড বা গ্রানাম চক্র বলে। গ্রানাম চক্র সূক্ষ্ম নালিকা দিয়ে যুক্ত থাকে। গ্রানাম চক্রের সংযোগকারী এসব নালিকার নাম স্ট্রোমা ল্যামেলাস।
ঘ. উদ্দীপকের জ একটি প্লাস্টিডের অতি অণুবীক্ষণীক চিত্র। আমরা জানি, উদ্ভিদে তিন ধরনের প্লাস্টিড থাকে যথাÑ ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট ও লিউকোপ্লাস্ট। ক্লোরোপ্লাস্ট এর কাজ হচ্ছে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে প্রস্তুতকৃত খাদ্যের মধ্যে শক্তি আবদ্ধ করা।
এছাড়া এ প্রক্রিয়ায় CO2 গ্রহণ করে এবং বায়ুমণ্ডলে O2 ত্যাগ করে। ফলে বায়ুমণ্ডলে O2 ও CO2 এর অনুপাত রক্ষায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্লোরোপ্লাস্ট বিশেষ ভূমিকা রাখে যা জীবকুলের শ্বসনের জন্য অপরিহার্য।
ক্রোমোপ্লাস্ট ফুলকে নানা বর্ণে রঙিন করে পতঙ্গ ও অন্যান্য জীবকে আকৃষ্ট করে পরাগায়নে সাহায্য করে। ফলে উদ্ভিদের ফল হয়। ফল উদ্ভিদের বংশ বিস্তারে এবং জীবকুলের খাদ্যের যোগানে সাহায্য করে।
লিউকোপ্লাস্ট উদ্ভিদে খাদ্য সঞ্চয়ে সহায়তা করে। এই খাদ্য পরবর্তীতে বিভিন্ন জীব খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় উদ্দীপকের জ অর্থাৎ ক্লোরোপ্লাস্টিড উদ্ভিদ কোষে না থাকলে সালোকসংশ্লেষণ হতো না। ফলে জীবকুল খাদ্য পেত না এবং পরিবেশে ঙ২ ও ঈঙ২ এর ভারসাম্য রক্ষা হতো না, এর ফলে জীবকুল ধ্বংস হয়ে যেত।
সৃজনশীল প্রশ্ন
ক. জাইগোট কী?
খ. মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. চ-চিত্রের উপাদানটির গঠন বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
ঘ.’অ’ চিিহ্নত অংশটি পুরুষানুক্রমে বংশের বৈশিষ্ট্য বহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেবিশ্লেষণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ক. জীবে শুক্রাণু ও ডিম্বানুর মিলনের ফলে যে কোষ উৎপন্ন হয়, সেটি জাইগোট।
খ. জীবের জৈবিক কাজ সম্পাদনের জন্য শক্তির প্রয়োজন।
শক্তি উৎপাদনের সকল প্রক্রিয় কোষ অঙ্গাণু মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতর ঘটে। জীবের শ্বসনের দ্বিতীয় ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ক্রেবস চক্রের অংশগ্রহণকারী সব উৎসেচক এখানে থাকে। ক্রেবস চক্রেই সর্বাধিক শক্তি অঞচ উৎপন্ন হয়। এজন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।
গ. চ চিত্রের উপাদানটি হলো নিউক্লিয়াস। এর বিভিন্ন অংশের গঠন বৈশিষ্ট্য নিচে বর্ণনা করা হলো :
র) নিউক্লিয়ার ঝিল্লি : নিউক্লিয়াসকে ঘিরে রাখে যে ঝিল্লি তাকে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা কেন্দ্রিকা ঝিল্লি বলে। এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ঝিল্লি। এ ঝিল্লি লিপিড ও প্রোটিন সমন্বয়ে গঠিত। এ ঝিল্লিতে মাঝে মাঝে কিছু ছিদ্র থাকে একে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র বলে।
রর) নিউক্লিওপ্লাজম : কেন্দ্রিকা ঝিল্লির অভ্যন্তরে জেলির ন্যায় বস্তু বা রসকে কেন্দ্রিকারস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে।
ররর) নিউক্লিওলাস : কেন্দ্রিকারসের মধ্যে ক্রোমোসোমের সাথে লাগানো গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা কেন্দ্রিকাণু বলে। ক্রোমোসোমের রঙগ্রাহী অংশের সাথে এরা লেগে থাকে। এরা জঘঅ ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
রা) ক্রোমাটিন জালিকা : কোষের বিশ্রামকালে নিউক্লিয়াসে কুণ্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় অংশই ক্রোমাটিন জালিকা। কোষ বিভাজনের সময় এটা মোটা ও খাটো হয় তাই তখন তাকে আলাদা আলাদা ক্রোমোসোম হিসেবে দেখা যায়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘অ’ চিহ্নিত অংশটি হলো ক্রোমোসোম। ক্রোমোসোমের প্রধান উপাদান ডিএনএ যা জিনের রাসায়নিক রূপ। জীবের সকল অদৃশ্য ও দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন।
ক্রোমোসোমের গায়ে সন্নিবেশিত থাকে অসংখ্য জিন বা বংশগতির একক। ক্রোমোসোম জিনকে সরাসরি বহন করে পিতা মাতা থেকে তাদের পরবর্তী বংশধরে নিয়ে যায়। অর্থাৎ ক্রোমোসোমের কাজ হলো মাতাপিতা হতে জিন (যা জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে) সন্তান সন্ততিতে নিয়ে যাওয়া।
মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ক্রোমোসোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুণœ রাখে। এ কারণে ক্রোমোসোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তিও বলা হয়। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় ক্রোমোসোম পুরুষাণুক্রমে বংশের বৈশিষ্ট্য বহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
চিত্র-চ চিত্র-ছ
ক. টিস্যু কী?
খ. বহুকোষী জীবের দেহকোষকে প্রকৃত কোষ বলা হয় কেন?
গ. জ ও ঝ এর গঠনগত অমিল ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে ‘চ’ এর অবদান মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
ক টিস্যু হলো একই গঠনবিশিষ্ট এক গুচ্ছ কোষ যারা একত্রিত হয়ে একই কাজ করে এবং তাদের উৎপত্তি অভিন্ন হয়।
খ. যেসব কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দ্বারা নিউক্লিয়ার বস্তু বেষ্টিত ও সুসংগঠিত তাদের প্রকৃত কোষ বলে। সাধারণত বহুকোষী জীবের দেহকোষ এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দ্বারা নিউক্লিয়ার বস্তু বেষ্টিত ও সুসংগঠিত। এজন্য বহুকোষী জীবের দেহকোষকে প্রকৃত কোষ বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে জ ফ্লোয়েম টিস্যুর সিভনল এবং ঝ বলতে জাইলেম এর ভেসেলকে বোঝানো হয়েছে। এদের গঠনগত অমিল নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
সাধারণত সিভনল দীর্ঘ, পাতলা কোষপ্রাচীরযুক্ত ও জীবিত কোষগুলো লম্বালম্বিভাবে একটির উপর একটি পরস্পর সজ্জিত হয়ে সিভনল গঠন করে। অন্যদিকে ভেসেল কোষগুলো খাটো চোঙের ন্যায়। কোষগুলো একটির মাথায় অপরটি সজ্জিত হয়ে এবং প্রান্তীয় প্রাচীর গলে একটি দীর্ঘ নলের ন্যায় অঙ্গ সৃষ্টি করে।
সিভনলের প্রান্তীয় প্রাচীর ছিদ্রযুক্ত সিভপ্লেট গঠন করে। সিভনল প্রোটোপ্লাজমের প্রাচীর ঘেষে ফাঁপা জায়গা সৃষ্টি করে যা খাদ্য পরিবহন করে। ভেসেল কোষরসের ঊর্ধ্বারোহণে একটি সরু পথ সৃষ্টি করে।
সিভনলের প্রাচীর লিগনিনযুক্ত। আর ভেসেলের প্রাচীর বিভিন্নরূপে পুরু হয়। পরিণত সিভকোষে কোনো কেন্দ্রিকা থাকে না। অন্যদিকে ভেসেল কোষগুলো প্রাথমিক অবস্থায় প্রোটোপ্লাজমাপূর্ণ থাকলেও পরিণত বয়সে এরা মৃত ও প্রোটোপ্লাজমবিহীন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:জীবন পাঠের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:বই পড়া: জ্ঞান ও অনুধাবনমুলক প্রশ্নসহ উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:বই পড়া প্রমথ চৌধুরী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:দেনাপাওনা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন>SSC:দেনাপাওনা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (ফ্রি PDF)
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র চ ফ্লোয়েম টিস্যুর লম্বচ্ছেদের চিত্র। ফ্লোয়েম টিস্যুর উপাদানগুলো সিভনল, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা ও ফ্লোয়েম তন্তু বা ফ্লোয়েম ফাইবার, স্কে¬রেনকাইমা কোষ সমন্বয়ে ফ্লোয়েম ফাইবার গঠিত হয়।
এগুলো দীর্ঘ কোষ এবং এদের প্রান্তদেশ একটির সাথে অপরটি যুক্ত থাকে। এদের বাস্ট ফাইবার বলে। পাটের আঁশ এক ধরনের বাস্ট ফাইবার। পাটকে বলা হয় সাদা সোনা।
পাট ও পাটজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে এবং এদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় উদ্দীপক চিত্র চ অর্থাৎ ফ্লোয়েমের বাস্ট ফাইবার আমাদের দেশের জাতীয় আয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।