SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নসহ উত্তর
নিম্নবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান আবির যখন এসএসসি পাস করে সে সময়ে হঠাৎ তার বাবা মারা যায়। ফলে সংসারের দায়িত্ব তার উপর এসে পড়ে। এতে তার লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে। ফলশ্রুতিতে আবির কিছু টাকা ধার করে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছোট একটি চায়ের দোকান খুলে কর্মজীবন শুরু করেন।
ক. একমালিকানা ব্যবসায়ের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
খ. একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসায়ের ১টি পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
গ. আবিরের ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব কেমন হবে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সাংগঠনিক ধরন বিবেচনায় আবিরের ব্যবসায়টি ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ’ অথচ অসীম দায়সম্পন্ন-উদ্দীপকের আলোকে তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. একমালিকানা ব্যবসায়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মুনাফা অর্জন করা।
খ. একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে চুক্তি একটি পার্থক্য।
একমালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কোনো চুক্তির প্রয়োজন হয় না। আর অংশীদারি ব্যবসায়ে অবশ্যই চুক্তি থাকতে হবে। কারণ, একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিক একজন। অংশীদারি ব্যবসায় দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত হয় বলে চুক্তির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গ. আবিরের একমালিকানাধীন ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব অনিশ্চিত। এক ব্যক্তির মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায়কে একমালিকানা ব্যবসায় বলে। এ ব্যবসায়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো স্থায়িত্বের অনিশ্চয়তা। কেননা সংগঠন ও মালিকের অস্তিত্ব অভিন্ন। উদ্দীপকে আবিরের চায়ের দোকানটি একটি একমালিকানা ব্যবসায় সংগঠন।
দোকানটি আবির নিজেই পরিচালনা করেন। দোকানের সব লাভ তিনি একাই ভোগ করেন। তেমনি চায়ের দোকানের লোকসানও তাকে একাই বহন করতে হয়। ফলে চায়ের দোকানের যদি লোকসান হয় অথবা আবিরের মৃত্যু, শারীরিক অসুস্থতা, দেউলিয়াত্ত্ব
ইত্যাদি কারণে চায়ের দোকানটি যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবিরের দোকানটি বন্ধ করা বা হয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ আবিরের সুবিধা-অসুবিধার ওপর নির্ভর করে। তাই বলা যায় আবিরের চায়ের দোকানের স্থায়িত্ব সব সময় অনিশ্চিত।
ঘ. আবিরের ব্যবসায়টি একমালিকানা হওয়ায় এর ঝুঁকি কম কিন্তু অসীম দায়সম্পন্ন। সাধারণত একজন ব্যক্তির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় যে ব্যবসায় পরিচালিত হয় তাকে একমালিকানা ব্যবসায় বলে। এরূপ ব্যবসায় একজন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে হওয়ায় আয়তন যেমন ক্ষুদ্রাকৃতির হয় তেমনি এর ঝুঁকিও কম থাকে।
অন্যদিকে লাভ হলে যেমন মালিক একা ভোগ করেন তেমনি লোকসান হলেও তিনি একাই বহন করেন। তাই তার দায় অসীম। উদ্দীপকের আবির তার ব্যবসায়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বল্প পুঁজি নিয়ে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে। ব্যবসায়ের যাবতীয় কার্যাবলি তিনি আন্তরিকতার সাথে সম্পন্ন করেন। ব্যবসায়ের যে কোনো ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
তিনি ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবসায়ে যে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন। স্বল্প পুঁজি এবং অধিক নমনীয়তার কারণে তার ব্যবসায়ের ঝুঁকি কম। কিন্তু তার ব্যবসায়টি অসীম দায়সম্পন্ন।
কারণ ব্যবসায়ে কোনো লোকসান হলে সকল দায়-দায়িত্ব তাকেই এককভাবে বহন করতে হবে। ব্যবসায়ের ক্ষতিতে যেকোনো দায়-দেনার জন্য আবির ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ। ব্যবসায়ের ক্ষতিতে প্রয়োজনে সে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রয় করে ব্যবসায়ের দায় পরিশোধ করতে বাধ্য। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত উক্তিটির সাথে আমি একমত পোষণ করি।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ সমবায় সমিতির প্রকারভেদ MCQ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ফ্রি PDF এসএসসি‘র ব্যবসায় উদ্যোগ MCQ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> MCQ ফ্রি PDF যৌথ মূলধনী ব্যবসায় বা কোম্পানি
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিপত্রের প্রশ্নোত্তর MCQ ফ্রি PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>ফ্রি PDF অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিপত্রের প্রশ্নোত্তর MCQ
সৃজনশীল প্রশ্ন
নাফিজ ও তার চার বন্ধু চুক্তির ভিত্তিতে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেন। উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে সমস্যা হচ্ছে।
তাই তারা সংগঠনের ধরন পরিবর্তন করে ১৯৯৪ সালের আইনানুযায়ী ‘নাফিজ এন্ড ফ্রেন্ডস’ কোং লিঃ নামে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন করে বৃহৎ পরিসরে কাজ শুরু করেন। ২ বছরের মধ্যে তারা দুইটি বিভাগীয় শহরে তাদের শাখা খুলে ব্যবসায় সম্প্রসারণ করেন।
ক. ব্যবসায় সংগঠন কত প্রকার?
খ. একমালিকানা ব্যবসায় ‘মালিকের দায় অসীম’ কথাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. নাফিজ ও তার বন্ধুদের ১ম পর্যায়ের ব্যবসায় সংগঠনটি কী ছিল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সাংগঠনিক ধরন পরিবর্তন করায় নাফিজদের প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি ভূমিকা রাখবেÑ বিষয়টি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ব্যবসায় সংগঠন পাঁচ প্রকার।
খ. একক ব্যক্তির মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায়টি হলো একমালিকানা ব্যবসায়। এই ব্যবসায়ে অন্য কোনো অংশীদার না থাকায় যাবতীয় দায়-দেনার জন্য মালিক ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকে।
ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রয় করে তাকে ব্যবসায়ের দায়-দেনা পরিশোধ করতে হয়। এসব কারণেই একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিকের দায় অসীম।
গ. নাফিজ ও তার বন্ধুদের প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায় সংগঠনটি ছিল একটি অংশীদারি ব্যবসায় সংগঠন।
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যখন কোনো বৈধ ব্যবসায় স্থাপন করে তখন তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
অংশীদারি ব্যবসায়ের লাভ-লোকসান বণ্টন, পরিচালনা পদ্ধতি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াবলি অংশীদারি চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকে। উদ্দীপকে নাফিজ ও তার চার বন্ধুর খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাটি চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত। এ চুক্তি তাদের ব্যবসায়ের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। চুক্তির আলোকেই নাফিজ ও তার বন্ধু তাদের ব্যবসায়ের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতেন।
অর্থাৎ অংশীদারি ব্যবসায় হিসেবে নাফিজদের ব্যবসায়টির মূলধন সবাই মিলে সরবরাহ করেছেন। ব্যবসায়ের লাভ-লোকসান ও চুক্তি অনুযায়ী বণ্টন করেছেন। তাই বলা যায়, নাফিজ ও তার বন্ধুদের ১ম পর্যায়ে গঠিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছিল অংশীদারি ব্যবসায়।
ঘ. সাংগঠনিক ধরন পরিবর্তন করায় নাফিজদের প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি ভূমিকা রাখবেÑ উক্তিটি যথার্থ।
অংশীদারি ব্যবসায়ের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের উদ্ভব হয়েছে। বর্তমানে উন্নত ও অনুন্নত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এরূপ ব্যবসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
উদ্দীপকে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া নাফিজ ও তার বন্ধুরা তাদের ব্যবসায়ে সাংগঠনিক ধরন পরিবর্তন করেন। তারা তাদের অংশীদারি ব্যবসায়কে যৌথ মূলধনী ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি একটি বৃহদাকার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।
বৃহদায়তন হওয়ায় বর্তমানে নাফিজদের ব্যবসায়ের মূলধন যেমন বেশি তেমনি বিনিয়োগের পরিমাণও বেশি। ফলে নাফিজদের ব্যবসায় থেকে সরকার প্রচুর কর পেয়ে থাকে, যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া তাদের বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি দেশের বৃহৎ বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি কর্মচারীদের কর্মের উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি,
অধিক আর্থিক সুযোগ সুবিধা, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং পোষ্যদের শিক্ষা সুযোগও দিতে পারবে। তাছাড়া অর্জিত মুনাফার একটি অংশ দেশের শিক্ষা বিস্তার, জনসেবা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলার উন্নয়নে ব্যয় করতে পারবে।
যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। সুতরাং বলা যায়, বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান বলে নাফিজদের যৌথ মূলধনী প্রতিষ্ঠান অবশ্যই দেশের অর্থনীতিকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে তুলবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
অলিপুর গ্রামে জুয়েল মিয়ার বাড়ি। স্থানীয় বাজার অনেক দূরে হওয়ায় জুয়েল মিয়া নিজেই স্বল্পপুঁজি নিয়ে বাড়ির পাশে একটি সবজির দোকান স্থাপন করলেন। একমাত্র দোকান হওয়ায় জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়টিতে গ্রাহক বাড়তে থাকে। ব্যবসায়ের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় জুয়েল মিয়া একজন কর্মচারী নিয়োগ করলেন।
ক. অংশীদারি ব্যবসায়ের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা কত?
খ. অংশীদারি ব্যবসায়ের মূলভিত্তি কোনটি? ব্যাখ্যা কর।
গ. মালিকানার ভিত্তিতে জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়টির ধরন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. অংশীদারি ব্যবসায়ের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ২০ জন।
খ. দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হয়। এ চুক্তি লিখিত, মৌখিক বা নিবন্ধিত হতে পারে।
তবে মৌখিক, লিখিত ও নিবন্ধিত যেভাবেই হোক, অংশীদারি ব্যবসায় শুরু করার জন্য চুক্তি করা বা চুক্তি থাকা বাধ্যতামূলক। অংশীদারি সম্পর্ক সৃষ্টি হয় চুক্তি থেকে, মর্যাদা থেকে নয়। এজন্যই চুক্তিকে অংশীদারি ব্যবসায়ের মূলভিত্তি বলা হয়।
গ. মালিকানার ভিত্তিতে জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়ের ধরনটি একমালিকানা ব্যবসায় সংগঠন।
একক ব্যক্তির মালিকানায় যখন কোনো ব্যবসায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তখন তাকে একমালিকানা ব্যবসায় বলে এ ব্যবসায়ে একজন ব্যক্তিই নিজ উদ্যোগে পুঁজির সংস্থান করেন এবং ব্যবসায় পরিচালনা ও ঝুঁকি বহন করেন।
উদ্দীপকে জুয়েল মিয়া স্বল্প পুঁজি নিয়ে তার বাড়ির পাশে একটি সবজির দোকান স্থাপন করেছেন। দোকানের প্রয়োজনীয় মূলধন তিনি নিজেই সরবরাহ করেছেন। মুনাফা বাবদ অর্জিত অর্থ তিনি একাই ভোগ করেন।
অপরদিকে দোকানটিতে কোনো লোকসান হলে তার ক্ষতি তিনি এককভাবে বহন করবেন। তাছাড়া দোকানটির স্থায়িত্বও তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তাই সাংগঠনিক ধরন বিবেচনায় জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়টি একটি একমালিকানা ব্যবসায়।
ঘ. জুয়েল মিয়ার একমালিকানা ব্যবসায়টি সবচেয়ে জনপ্রিয় বলে আমি মনে করি। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি সুপ্রাচীন ক্ষুদ্রায়তনের একমালিকানা ব্যবসায় সর্বাধিক জনপ্রিয়। উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে সকল দেশেই এ ব্যবসায়ের সংখ্যা সর্বাধিক।
এটি হতেই একমালিকানা সংগঠনের সার্বজনীন গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত হয়। উদ্দীপকে জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়টি হলো একমালিকানা ব্যবসায় সংগঠন। জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়টিতে এমন কিছু সুবিধা আছে যেগুলো অন্য কোনো ব্যবসায়ে পাওয়া যায় না।
জুয়েল মিয়ার মতো যে কেউ ইচ্ছা করলে ব্যক্তিগত উদ্যোগ, স্বাধীনচেতা মনোভাব, স্বল্প পুঁজি ও স্বল্পশ্রম বিনিয়োগ করে এ ব্যবসায় যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে স্থাপন করতে পারে। এ ব্যবসায়ে আইনি জটিলতামুক্ত এবং এতে ঝুঁকিও কম।
অন্যদিকে একমালিকানা ব্যবসায় ভোক্তাদের অত্যন্ত নিকটে থাকায় তাদের পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী পণ্য বা সেবা প্রদান করতে পারে। ফলে প্রাচীন ব্যবসায় হওয়া সত্ত্বেও একমালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্র যেমন ব্যাপক, তেমনি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য।
সুতরাং বলা যায়, এক মালিকানার ভিত্তিতে স্বাধীন পেশা হিসেবে জুয়েল মিয়ার ব্যবসায়টিই সবচেয়ে জনপ্রিয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন
জনাব সাত্তার একক মালিকানায় একটি খাবার হোটেল স্থাপন করেন। খাবারের মান ভালো হওয়ায় দিন দিন ভোক্তার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তার ব্যবসায় সম্প্রসারণের দরকার হয়। প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাব থাকায় তার বন্ধু মতিউরকে চুক্তির
ভিত্তিতে ব্যবসায়ে অন্তর্ভুক্ত করলেন। কিছু দিন ব্যবসায় করার পর হিসাবে গরমিল বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়ায় জনাব সাত্তার মতিউরকে পাওনা টাকা না দিয়েই ব্যবসায়ের চুক্তি বাতিল করে দেন। তাদের ব্যবসায়টি নিবন্ধিত ছিল না।
ক. অংশীদারি ব্যবসায়ের উৎপত্তি কোন যুগে?
খ. অংশীদারি ব্যবসায়ে বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন কেন ঘটে?
গ. জনাব সাত্তার ও মতিউরের ব্যবসায়টির ধরন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর মতিউর তার পাওনা টাকা ফেরত পাবে? মতামত দাও।
ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. অংশীদারি ব্যবসায়ের উৎপত্তি মধ্যযুগে।
খ. অংশীদারি আইনের ৪১ ধারা অনুসারে দুটি কারণে বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন ঘটে। যথা :
র. একজন ব্যতীত সকল অংশীদার অথবা সকল অংশীদার দেউলিয়া বলে বিবেচিত হলে।
রর. কোনো কার্য দ্বারা ব্যবসায়টি আইন বিরুদ্ধ বা অবৈধ হয়ে পড়লে।
গ. জনাব সাত্তার ও মতিউরের ব্যবসায়টি অংশীদারি ব্যবসায় সংগঠন।
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি সেচ্ছায় মিলিত হয়ে অংশীদারি চুক্তির আওতায় যে ব্যবসায় গঠন করে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে। এ ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি হলো চুক্তি।
উদ্দীপকে জনাব সাত্তার তার বন্ধু মতিউরকে খাবার হোটেলের মালিকানার অংশ প্রদান করেন। মালিকানার অংশ প্রদানের মূল ভিত্তি হলো চুক্তি। এর ফলে চুক্তির আওতায় জনাব সাত্তারের খাবার হোটেলটি পরিচালিত হবে।
তাদের দুজনের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ফলেই ব্যবসায়টি গড়ে ওঠেছে। ব্যবসায়ের লাভ লোকসান তারা চুক্তির ভিত্তিতে বহন করবেন। তবে দুই বন্ধুর ব্যবসায়টির দায় অসীম হওয়ায় ব্যবসায়ের দায়ের জন্য তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন। তাই বলা যায়, জনাব সাত্তার ও মতিউরের ব্যবসায়টি একটি অংশীদারি ব্যবসায় সংগঠন।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে আমি মনে করি ব্যবসায়টি অনিবন্ধিত হওয়ায় মতিউর তার পাওনা টাকা ফেরত পাবে না।
অংশীদারি আইনে ব্যবসায়ে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। তবে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক না হলেও অনিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায় থেকে নিবন্ধিত ব্যবসায়গুলো বেশ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করে।
নিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায়ের যেকোনো অংশীদারই অপর কোনো অংশীদারের বিরুদ্ধে চুক্তিতে উল্লিখিত অধিকার আদায়ের জন্য মামলা করতে পারে যা অনিবন্ধিত ব্যবসায়ের অংশীদাররা পারে না। নিবন্ধিত না হলে চুক্তিতে উল্লিখিত অধিকার আদায়ের জন্য অপর কোনো তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধেও মামলা করতে পারে না।
উদ্দীপকে জনাব সাত্তার ও মতিউরের ব্যবসায়টি নিবন্ধিত না হওয়ায় মতিউর বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন। জনাব সাত্তার মতিউরকে পাওনা টাকা না দিয়েই চুক্তি বাতিল করে দেন। এক্ষেত্রে ব্যবসায়টি অনিবন্ধিত হওয়া ১০০ টাকার অধিক পাওনার জন্য মতিউর মামলাও করতে পারবেন না।
এমনকি চুক্তির আলোকে ব্যবসায়ে মতিউরের যে অধিকার তাও আদায় করতে পারবেন না। তবে তাদের ব্যবসায়টি যদি নিবন্ধন করা থাকত তাহলে মতিউর তার অর্থ ফেরত পেতেন।
সুতরাং বলা যায়, জনাব সাত্তার ও মতিউরের ব্যবসায়টি অনিবন্ধিত হওয়ায় মতিউর তার পাওনা অর্থ ফেরত পাবেন না।
ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্ন
প্রিন্স একক মালিকানায় একটি কমার্সিয়াল ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন। তার প্রতিষ্ঠানে তিনি টাইপরাইটার মেশিনের সাহায্যে দরখাস্ত,
চিঠিপত্র ইত্যাদি টাইপ করতেন। আধুনিক যুগে আবিষ্কৃত কম্পিউটারের সাহায্যে অতিসহজে ও দ্রুততার সাথে টাইপ করা যায়। তাই প্রিন্স টাইপরাইটার মেশিনের পরিবর্তে তার প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার স্থাপন করেন।
ক. ট্রেড লাইসেন্স কী?
খ. একমালিকানা ব্যবসায়কে প্রাচীনতম সংগঠন বলার কারণ কী?
গ. টাইপরাইটার মেশিনের পরিবর্তে কম্পিউটার স্থাপনের মাধ্যমে প্রিন্সের একমালিকানা ব্যবসায়ের কোন সুবিধাটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রিন্সের একক মালিকানায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধর।
ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ব্যবসায় শুরু করার জন্য সরকারি অনুমতিপত্রই ট্রেড লাইসেন্স।
খ. প্রাচীনকালে মানুষের প্রয়োজনে সর্বপ্রথম যে ব্যবসায় সংগঠনের প্রচলন ঘটেছিল তা ছিল একমালিকানা ব্যবসায় সংগঠন।
মানুষ যখন সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করত তখন বিনিময় প্রথার উদ্ভব ঘটে। কিন্তু বিনিময় প্রথার নানাবিধ সমস্যার কারণে অর্থের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়। আর এর ধারাবাহিকতায় একমালিকানা ব্যবসায় বিকাশ লাভ করে।
গ. টাইপরাইটার মেশিনের পরিবর্তে কম্পিউটার স্থাপনের মাধ্যমে প্রিন্সের একমালিকানা ব্যবসায়ের পরিবর্তনশীলতা সুবিধাটি ফুটে উঠেছে। ব্যবসায়ের বৃহত্তর স্বার্থে ও প্রয়োজনে যেকোনো পরিবর্তিত অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতির পরিবর্তন একমালিকানা ব্যবসায়ের অন্যতম সুবিধা।
অর্থাৎ এ ব্যবসায়ের মালিক পরিবর্তিত অবস্থা ও চাহিদা অনুযায়ী তার ব্যবসায়ের পরিচালনার নীতি ও কার্যপদ্ধতি অতি সহজে পরিবর্তন করতে পারেন। উদ্দীপকে প্রিন্স তার একমালিকানা ব্যবসায়ে টাইপরাইটারের পরিবর্তে কম্পিউটার স্থাপন করেন। প্রিন্সের ব্যবসায়ে কম্পিউটার স্থাপনের মাধ্যমে মূলত একমালিকানা ব্যবসায়ের পরিবর্তনশীলতার সুবিধাটি ফুটে উঠেছে।
একমালিকানা ব্যবসায়ে প্রিন্স একক মালিক থাকার কারণে ব্যবসায়ের স্বার্থে যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি যে কোনো ধরনের পরিবর্তন করতে পারেন। প্রিন্স তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে টাইপরাইটার মেশিনের পরিবর্তে কম্পিউটার স্থাপন করায় এখন তিনি দরখাস্ত, চিঠি পত্র ইত্যাদি আগের তুলনায় সহজে ও দ্রুততার সাথে টাইপ করতে পারেন।
ঘ. একক মালিকানা স্বত্ব, সহজ গঠন, স্বল্প পুঁজি, স্বাধীন তত্ত্বাবধান ও একক মুনাফা ভোগের সুবিধা থাকায় প্রিন্স একমালিকানা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। একমালিকানা ব্যবসায়ের নানাবিধ সুবিধা থাকার কারণে প্রাচীনকাল থেকেই এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসায় সংগঠন।
ব্যবসায়ের গঠনপ্রণালি অত্যন্ত সহজ বলে যে কেউ ইচ্ছা করলেই স্বল্প পুঁজি নিয়ে এটি আরম্ভ করতে পারে। উদ্দীপকে প্রিন্স একক মালিকানায় একটি কমার্সিয়াল ইনস্টিটিউট স্থাপন করলেন। এরূপ ব্যবসায়ের গঠন প্রণালি অত্যন্ত সহজ। এতে কোনো আইনি জটিলতা নেই। ব্যবসায়ের লাভ-লোকসান প্রিন্স একাই ভোগ করবেন।
মালিক একজন থাকে বলে প্রিন্স তার ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সহজেই গোপন রাখতে পারবেন। ব্যবসায়ের যে কোনো সিদ্ধান্ত প্রিন্স দ্রুত নিতে পারবেন। প্রিন্স তার ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবসায়ের প্রয়োজনে যে কোনো বিষয় বা কৌশল সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।
ব্যবসায়ের ভালমন্দের জন্য তাকে অন্য কারো নিকট জবাবদিহি করতে হবে না। তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবেন। এছাড়া মালিক হওয়ায় প্রিন্স নিজের ব্যক্তিগত উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা কুশলতা প্রদর্শন করে ব্যবসায়ের উন্নতি বিধান করতে পারবেন। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রিন্সের একমালিকানা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন যুক্তিযুক্ত।
ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্ন
নজরুল একক মালিকানায় ব্যবসায় চালিয়ে ছোট ব্যবসায়ী থেকে এখন অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়েছেন। কর্মচারী রাখলেও তাদের ওপর নির্ভর করতে পারছেন না।
তার শরীরটাও ভালো নেই। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে। তাই তিনি সমঝোতার ভিত্তিতে একজন দক্ষ ব্যক্তিকে ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। দুজন মিলে চালানোতেই ব্যবসায়ে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ক. একমালিকানা ব্যবসায় কী?
খ. অসীম দায় বলতে কী বোঝায়?
গ. নজরুল তার ব্যবসায়টি চালাতে কোন ধরনের সমস্যা অনুভব করেছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পরবর্তীতে নেয়া নজরুলের সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের জন্যে কতটুকু ফলপ্রসূ হবে বলে তুমি মনে কর? তোমার উত্তর বিশ্লেষণ কর।
ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যে ব্যবসায় এক ব্যক্তির মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত এবং ব্যবসায়ের সকল প্রকার লাভ-লোকসান, দায়-দেনা মালিক একাই বহন করে তাকে একমালিকানা ব্যবসায় বলে।
খ. সীমাহীন দায়কে অসীম দায় বলে। অর্থাৎ যে দায়ের জন্য ব্যবসায়ের সমস্ত সম্পদ ছাড়াও মালিকের নিজস্ব সম্পত্তি দায়বদ্ধ থাকে তাকে অসীম দায় বলে। একমালিকানা ব্যবসায়কে অসীম দায়সম্পন্ন ব্যবসায় বলা হয়।
কেননা ব্যবসায়ের দায়-দেনার জন্য মালিক ব্যক্তিগতভাবেও দায়বদ্ধ থাকেন। কোনো কারণে ব্যবসায়ের অর্থ দ্বারা ব্যবসায়ের দায়-দেনা পরিশোধ করা সম্ভব না হলে মালিককে তার ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যবহার করে ব্যবসায়ের দায়-দেনা পরিশোধ করতে হয়।
গ. নজরুল তার ব্যবসায়টি চালাতে ব্যক্তিগত সামর্থের সমস্যা অনুভব করেছেন। একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিক একাই সংগঠন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার কাজকর্ম করে থাকেন। কিন্তু একজন মানুষের ব্যক্তিগত কর্মক্ষমতারও একটা সীমা আছে, যার অতিরিক্ত কিছু তার পক্ষে সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হয় না।
তাই ব্যবসায়ের আয়তন বৃদ্ধি পেলে দক্ষভাবে তা পরিচালনা করা মালিকের একার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। উদ্দীপকে নজরুলের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি ছিল একমালিকানা ব্যবসায়। একমালিকানা ব্যবসায়ে নজরুল যেমন সমুদয় মুনাফা একা ভোগ করত তেমনি সমুদয় ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা তাকে বহন করতে হতো।
কিন্তু নজরুল অসুস্থ হওয়ার ফলে তার পক্ষে প্রতিদিন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সঠিকভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। আর তিনি ছাড়া যেহেতু প্রতিষ্ঠানে অন্য কোনো মালিক ছিল না তাই যথাযথ নিয়ন্ত্রণের অভাবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি তার স্বাভাবিক কাজের গতি হারিয়ে ফেলেছিল।
কর্মচারীরা কাজে ফাঁকি দিয়েছে। অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই বলা যায়, নজরুলের ব্যবসায়টি পরিচালনায় তার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ফ্রি PDF বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ফ্রি PDF MCQ একমালিকানার ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> একমালিকানার ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহর MCQ ফ্রি PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ফ্রি PDF একমালিকানার ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহর MCQ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> PDF SSC চতুর্থ অধ্যায় মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় MCQ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC চতুর্থ অধ্যায় মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
- উত্তর ডাউনলোড করুন>SSC আত্মকর্মসংস্থানের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (ফ্রি পিডিএফ)
ঘ. নজরুলের পরবর্তীতে নেয়া সিদ্ধান্তটি অর্থাৎ তার একমালিকানা ব্যবসায়কে অংশীদারি ব্যবসায়ে রূপান্তরে সিদ্ধান্তটি তার প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।
একাধিক ব্যক্তি মিলে নিজেদের পুঁজি ও সামর্থ্য একত্রিত করে যে নতুন ধরনের ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তুলে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে অভিহিত করা হয়। মূলত একমালিকানা ব্যবসায়ের অসুবিধাগুলো দূর করার প্রয়োজনেই অংশীদারি ব্যবসায়ের উদ্ভব হয়।
উদ্দীপকে নজরুল একমালিকানা ব্যবসায়ের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য অংশীদারি ব্যবসায় শুরু করেন। নজরুলের অংশীদারি ব্যবসায়ের সিদ্ধান্তটি তার প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক হয়েছে। কেননা ব্যবসায়ের অংশীদার বাড়ার ফলে মূলধনের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল অংশীদারের স্বার্থ এক ও অভিন্ন হওয়ায় সকলকেই দলবদ্ধভাবে ব্যবসায়ের সফলতার জন্য কাজ করতে হয়।
ফলে ব্যবসায়ের উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। একমালিকানা ব্যবসায়ে এটা সম্ভব হয় না। তাছাড়া নজরুল তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি অংশীদারি ব্যবসায়ে রূপান্তর করে ব্যবসায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সকল অংশীদারের মত গ্রহণের সুযোগ করেছেন।
ফলে ব্যবসায়ের গৃহীত সিদ্ধান্তটি সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। সুতরাং, নজরুলের ব্যবসায়টি অংশীদারি ব্যবসায়ে রূপান্তর করায় ব্যবসায়টি আগের চেয়ে বেশি লাভবান হবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।