SSC হিসাব বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়‘ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির ধারণা (PDF) প্রথম অধ্যায় অর্থায়ন ও ব্যবসায় অর্থায়ন Eugene Francis Gene Fama (1939 - ) ইউজিন ফ্রান্সিস জিন ফামা আধুনিক অর্থায়নের জনক হিসেবে ‘ফামা-ফ্রেঞ্চ থ্রী-ফ্যাক্টর মডেল’ উদ্ভাবনে অবদান রাখেন। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
SSC হিসাব বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়‘ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির ধারণা (PDF)
অর্থায়নের ধারণা
অর্থায়ন তহবিল ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। কোন উৎস থেকে কী পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে, কোথায়, কীভাবে বিনিয়োগ করা হলে ব্যবসায়ের সর্বোচ্চ মুনাফা হবে, অর্থায়ন সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। অর্থায়ন প্রক্রিয়া একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি একটি অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থায়নের শ্রেণিবিভাগ
১. পারিবারিক অর্থায়ন : পারিবারিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে পরিবারের আয়ের উৎস ও পরিমাণ নির্ধারণ করে, সেই পরিবারের আয় কীভাবে ব্যয় করলে পরিবারের সদস্যদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল হয়, তা নির্ধারণ করা হয়।
২. সরকারি অর্থায়ন : সরকারের প্রেক্ষাপটে তার বার্ষিক ব্যয় কোন কোন খাতে কী পরিমাণ হবে এবং সেই অর্থ কোন কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করা যাবে, তা সরকারি অর্থায়নে আলোচনা করা হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC হিসাব বিজ্ঞান: চতুর্থ অধ্যায়‘সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ৯ম-১০ম শ্রেণির হিসাব বিজ্ঞান: চতুর্থ অধ্যায়‘ প্রশ্নের উত্তর (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ৯ম-১০ম শ্রেণির হিসাব বিজ্ঞান:৩য় অধ্যায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(PDF) SSC হিসাব বিজ্ঞান:তৃতীয় অধ্যায় দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(PDF) SSC হিসাব বিজ্ঞান:গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(PDF) SSC হিসাব বিজ্ঞান:লেনদেনের ধারণা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(PDF) SSC হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তার প্রশ্নোত্তর
৩. আন্তর্জাতিক অর্থায়ন : আন্তর্জাতিক অর্থায়নে আমদানি ও রপ্তানির খাতগুলো নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং এ সংক্রান্ত ঘাটতি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায় তা আলোচনা করা হয়।
৪. অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অর্থসংস্থান : সমাজে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যা মানবকল্যাণ বা দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের সেবায় নিয়োজিত। অমুনাফাভোগী এসব প্রতিষ্ঠানেরও অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন অনুদানের মাধ্যমে এরা অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।
৫. ব্যবসায় অর্থায়ন : অর্থায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধরন হচ্ছে ব্যবসায় অর্থায়ন। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য লাভ-ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে গঠিত সংগঠনকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বলা হয়। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার তহবিল সংগ্রহ ও বিনিয়োগের জন্য অর্থায়ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
৬. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান : যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সাধারণত সে দেশের ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন প্রক্রিয়া সাধারণত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে একটু ভিন্ন প্রকৃতির।
কারবারি অর্থায়নের গুরুত্ব
বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক মুক্তবাজার ব্যবস্থায় মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক অর্থায়ন করতে হয়। সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা
ব্যবসায়ীদের পরিকল্পনামাফিক স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থসংস্থান করে তার সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করে পর্যাপ্ত মুনাফা অর্জন করতে সাহায্য করে। যেকোনো দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সফল বিনিয়োগ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। লাভজনক বিনিয়োগ ব্যবসায়ের জন্য যেমন অর্থবহ তেমনি সারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারবারি অর্থায়নের নীতি
কারবারি অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা বলতে কারবারের জন্য প্রয়োজন মাফিক তহবিল সংগ্রহ, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে সেই তহবিল বিনিয়োগ এবং বণ্টনসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাকে বোঝায়।
১. তারল্য বনাম মুনাফানীতি : যেকোনো ব্যবসায়ীকে তারল্য ও বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে আর্থিক ব্যবস্থাপনা করতে হয়। অর্থাৎ একদিকে তাকে দৈনন্দিন কার্যপরিচালনার মতো নগদ অর্থ হাতে রাখতে হয়, অন্যদিকে মুনাফা অর্জনের জন্য সেই অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়।
২. উপযুক্ততার নীতি : স্বল্পমেয়াদি তহবিল দিয়ে চলতি মূলধন ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিল দিয়ে স্থায়ী মূলধন সরবরাহ করা অর্থায়নের একটি নীতি। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চলমান রাখার জন্য যে নিত্যনৈমিত্তিক অর্থের প্রয়োজন পড়ে, তাকে চলতি মূলধন এবং দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা-ভোগের যে অর্থ ব্যবহার করা হয় তাকে স্থায়ী মূলধন বলা হয়।
৩. কারবারে বৈচিত্র্যায়ণ ও ঝুঁকিবণ্টন : তহবিল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কারবারি পণ্য বা সেবা বৈচিত্র্যপূর্ণ হলে কারবারের ঝুঁকি বণ্টিত হয় ও হ্রাস পায়।
আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি
১. আয় বা অর্থায়ন সিদ্ধান্ত : আয় সিদ্ধান্ত বলতে মূলত তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। অর্থায়ন সিদ্ধান্তের আওতায় তহবিল সংগ্রহের ভিন্ন উৎস নির্বাচন এবং এসব উৎসের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করে অর্থায়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
২. ব্যয় বা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত : ভবিষ্যতের পণ্য বিক্রয়ের পরিমাণ ও পণ্যের মূল্য নির্ধারণ একটি দুরূহ কাজ বলে বিনিয়োগ সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রত্যাশিত আগমন-নির্গমনের একটি পরিকল্পনা করতে হয়।
অর্থায়নের ক্রমোন্নয়নের ধারণা
বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অর্থায়ন সংক্রান্ত ধারণা ও ব্যবহার অত্যাবশ্যক হয়ে যায়। অর্থায়নের ক্রমবিকাশের ধারা অর্থায়নের প্রকৃতি ও আওতা সম্পর্কে আমাদের একটি অর্থবহ ধারণা দেয়।
ক. ১৯৩০ এর পূর্ববর্তী শতক : এই সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর মধ্যে একত্রীকরণের প্রবণতা শুরু হয়। আর্থিক ব্যবস্থাপকরা এই একত্রীকরণে বিশাল অংকের অর্থসংস্থান ও আর্থিক বিবরণী তৈরি করার দায়িত্ব পালন করেন।
খ. ১৯৩০ এর দশক : এই সময়কালে একত্রীকরণের প্রবণতা সফল পায়নি। উপরন্তু এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চরম মন্দা শুরু হয়। এ সময় থেকেই শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থায়নের প্রয়োজন দেখা দেয়।
গ. ১৯৪০ এর দশক : এ সময়ে সুষ্ঠুভাবে কারবার পরিচালনার জন্য তারল্যের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে উপলব্ধি করা যায়। নগদ অর্থপ্রবাহের বাজেট করে সুপরিকল্পিত নগদপ্রবাহের মাধ্যমে অর্থায়ন সেই দায়িত্ব পালন করে।
ঘ. ১৯৫০ এর দশক : সুদূরপ্রসারী প্রাক্কলনের মাধ্যমে উপযুক্ত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে বিক্রয় বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাস করে মুনাফা সর্বোচ্চকরণ করাই এই সময়ের অর্থায়নের প্রধান কাজ হিসেবে পরিণত হয়। এই ধারাকে অর্থায়নের সনাতন ধারা হিসেবে গণ্য করা হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (PDF) SSC হিসাব বিজ্ঞান:অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC হিসাব বিজ্ঞান:সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২৭টি(PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC হিসাব বিজ্ঞান:বহুনির্বাচনি 28টি প্রশ্নোত্তর(PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC হিসাব বিজ্ঞান:পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
ঙ. ১৯৬০ এর দশক : এই সময় থেকেই আধুনিক অর্থায়নের যাত্রা শুরু। অর্থায়ন মূলধন বাজারকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করে। শেয়ারের বাজারদর সর্বাধিকরণই ছিল এই সময়ের অর্থায়নের উদ্দেশ্য।
চ. ১৯৭০ এর দশক : এই দশকে কম্পিউটার অধ্যায়ের শুরু হয়, যা উৎপাদন কৌশল ও কারবারি অর্থায়নকে পাল্টিয়ে দেয়।
ছ. ১৯৮০ এর দশক : এ সময়ে সনাতনী দায়িত্বের পরিবর্তন করে নতুন রূপে আবির্ভূত হয় অর্থায়ন পদ্ধতি। মূলধনের সুদক্ষ বণ্টন ও প্রকল্পগুলো হতে অর্জিত আয়ের বিচার-বিশ্লেষণই ছিল অর্থায়নের মূল বিষয়।
জ. ১৯৯০ এর দশক ও আধুনিক অর্থায়নের সূচনা : এ দশকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বব্যাপী আমদানি-রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।