ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিভাবে নিরাপদ রাখবেন

আসুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিভাবে নিরাপদ রাখবেন । ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করার জন্য গ্রাহককে নিরাপত্তার বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। তা না হলে গ্রাহককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। ইন্টারনেট ব্যাংকিং নিরাপদ রাখার জন্য গ্রাহকের নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো নেয়া জরুরি –

ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিভাবে নিরাপদ রাখবেন

কম্পিউটার টিপস

১। কম্পিউটারের এন্টিভাইরাস সবসময় আপডেট রাখতে হয়।
২। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট থাকতে হয়। সঙ্গে নিরাপত্তা প্যাঁচসমূহ আপডেট থাকতে হয়।



৩। ফায়ারওয়াল চালু রাখতে হয়।
৪। যদি কোনো কম্পিউটারকে আপনি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেন, তাহলে সেই কম্পিউটারে আপনি কখনোই ইন্টারনেট ব্যাংকিং এ প্রবেশ করবেন না।
৫। আপনি যে কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এ প্রবেশ করেন, সেই কম্পিউটারে সব সময় লক করে রাখবেন, যেন আপনি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
৬। আপনার ব্রাউজারের অটো কমপ্লিট ফাংশনটি বন্ধ করে রাখুন।
৭। ব্রাউজার সবসময় আপডেট রাখুন।

সাধারণ টিপস

১। কখনোই আপনি আপনার পার্সোনাল তথ্য অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
২। আপনার ব্যাংকের ডকুমেন্টসমূহ যেমন স্টেটমেন্ট, জমা বই, চেক বই নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
৩। ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে জড়িত কোন নষ্ট কাগজ ফেলে দেয়ার সময় সতর্ক থাকুন। যেন সেখানে আপনার পার্সোনাল কোন তথ্য না থাকে, যেটা আপনার আপনার ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনের ঝুঁকিকে অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।
৪। আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি ডেবিট কার্ড আর ব্যবহার করবেন না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই সেই ডেবিট কার্ডটি ধ্বংস করে ফেলুন এবং কল সেন্টারে ফোন করে ডেবিট কার্ডটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিন।
৫। প্রতিটি ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে সদা সর্বদা খেয়াল রাখুন এবং দেখবেন কোন অস্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে কিনা। কোনো অস্বাভাবিক কিছু পাইলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।
৬। এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনের পর উত্তোলনের রশিদ ছিঁড়েফেঁলুন।
৭। কল সেন্টারের নাম্বার মোবাইলে সেভ করে রাখুন। পারলে মুখস্থ করে রাখুন।

অনলাইন / ই-মেইল টিপস

১। আপনাকে ইমেইলে আপনার পার্সোনাল তথ্য চেয়ে কেউ ই-মেইল করলে, সেই ইমেইলের কোনো উত্তর প্রদান করবেন না।
২। কারো নাম দিয়ে যদি আপনার কাছে আপনার কোন পাসওয়ার্ড বা অন্য কোনো তথ্য কিংবা লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়, তাহলে আপনি কাউকে সেটি প্রদান করবেন না।
৩। সেই ইমেইলগুলো আপনি ওপেন করুন, যেগুলো আপনার পরিচিত লোক পাঠিয়েছেন।
৪। ই-মেইলের সঙ্গে যদি কোনো অ্যাটাচমেন্ট থেকে থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চিত না হয়ে সেই ইমেইল ডাউনলোড করবেন না।
৫। ইমেইলের সঙ্গে আসা কোনো লিংকে ক্লিক করার আগে অবশ্যই চিন্তা করুন।
৬। ই-মেইলের নিরাপত্তা সম্পর্কে অবশ্যই পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।
৭। ই-মেইলের কাজ শেষ হয়ে গেলে অবশ্যই অবশ্যই আপনি সাইন আউট করে বের হয়ে যাবেন।



পাসওয়ার্ড টিপস

১। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
২। এমন কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে কেউ অনুমান করতে না পারে।
৩। পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সংখ্যা এবং অক্ষর ব্যবহার করুন। অক্ষর ব্যবহার করার সময় ছোট বড় অক্ষর ব্যবহার করুন। অবশ্যই স্পেশাল ক্যারেকটার ব্যবহার করুন।
৪। আপনার পিসি নিরাপদ রাখুন ।
৫। আপনার ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করবেন না।
৬। ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডের উল্টাপাশে পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না।
৭। পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না। মোবাইল ফোন অথবা ই-মেইলে তো নয়ই ।
৮। মাঝে মাঝে আপনার স্টেটমেন্ট চেক করুন। যদি কোন গরমিল খুঁজে পান তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।
৯। আপনার পিসির এন্টিভাইরাস সবসময় আপডেট রাখুন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। 

এগুলো দেখুন

জীবনবিমায় প্রিমিয়াম, বোনাস এবং বার্ষিকবৃত্তি

জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি

জেনে নিন জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি সম্পের্কে। আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *