জেনে নিন প্রসবের পর জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অনেক নারী-পুরুষ প্রসব পরবর্তী জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত নন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
- আরো পড়ুন: বিয়ের কত দিন পর বাচ্চা নেওয়া উচিত
- আরো পড়ুন: গর্ভকালে নারীর বুকে ব্যথা হয় কেন, কী করবেন?
- আরো পড়ুন: প্রথম সন্তানের পর জন্মনিয়ন্ত্রণে কোন পদ্ধতি কার্যকর
প্রসবের পর জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের গাইনি ও অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সাবিনা পারভীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
প্রসব পরবর্তী জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. সাবিনা পারভীন বলেন, প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বলতে বোঝায়, মা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরবর্তী সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেবে, যাতে তার পরবর্তী বাচ্চা বা গর্ভধারণ বন্ধ রেখে পরবর্তী বাচ্চা যেন দুই থেকে আড়াই বছর পরে নিতে পারে। সে জন্য যে ব্যবস্থা, সেটাকেই আমরা প্রসব পরবর্তী জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বলি।
মা হিসেবে কখন থেকে এটা শুরু করা উচিত, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. সাবিনা পারভীন বলেন, বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ২১ দিন পরেই একজন নারীর ডিম ফোটা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু যেহেতু আমরা স্বামী-স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহ মেলামেশা বন্ধ রাখতে বলি, সে জন্য আমরা তাকে বলি ৪০ দিন পর থেকে অবশ্যই একটা জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিতে যাবে। বর্তমান সময়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রসিডিউর দিয়ে দিতে পারি, যা তাকে ১০০ ভাগ নিরাপত্তা দেবে।
- আরো পড়ুন: পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি, ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
- আরো পড়ুন: নারীর যৌনাঙ্গে ইনফেকশন হলে যা করবেন
- আরো পড়ুন: যৌনমিলন কতটা নিরাপদ গর্ভাবস্থায়?
সেটা আসলে কত দিনের মধ্যে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. সাবিনা পারভীন বলেন, বাচ্চা জন্মের সাথে সাথে দিয়ে দিতে পারি। বাচ্চা নরমালি ডেলিভারি হওয়ার সাথে সাথে আমরা ইচ্ছা করলে মাকে আমরা একটি কপার-টি ইনসার্ট করে দিতে পারি তার জরায়ুর মধ্যে। এমনকি সিজারিয়ান সেকশনের সাথে সাথে আমরা একটি কপার-টি মায়ের জরায়ুতে দিয়ে দিতে পারি, যাতে ১০ বছর পর্যন্ত রাখতে পারে এবং তাকে ১০ বছর পর্যন্ত ১০০ ভাগ নিরাপত্তা দেবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।