জেনে নিন লঘুদণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। যখন কোনো সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি-৩এর উপ-বিধি (এ) বা (বি) বা (সি) এর অধীনে কোন কার্যক্রম গ্রহন করা হয় এবং উপ-বিধি (১)-তে বর্ণিত কর্তৃপক্ষ, সচিব অথবা কর্মকর্তা মনে করেন অভিযোেগ প্রতিষ্ঠিত হইলে তিরস্কার দণ্ড প্রয়ােগযােগ্য হইবে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ, সচিব অথবা কর্মকর্তা, অভিযুক্তের ব্যক্তিগত শুনানী গ্রহণ পূর্বক কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিরস্কার দণ্ড আরােপ করিতে পারিবেন।
- আরো পড়ুন: চাকরিচ্যুত হলে কি মামলা করা যাবে?
- আরো পড়ুন: আইপি অ্যাড্রেস কি – আইপি অ্যাড্রেস এর প্রকার ও ভার্সন সমূহ
- আরো পড়ুন: মোজিলা ফায়ারফক্স কি এবং এর ৫ টি সুবিধা
সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী লঘুদণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, তাহার বিস্তারিত বিবরণ। সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর যে বিধানে লঘুদণ্ড প্রদানের প্রক্রিয়া লিপিবদ্ধ আছে তাহা নিয়ে বর্ণনা করা হইল :
বিধি-৬। লঘুদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে তদন্তের পদ্ধতি –
(১) যখন কোনো সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি-৩ এর দফা (এ) বা (বি) বা (সি) তে বর্ণিত কারণে ব্যবস্থা করা প্রয়ােজন হয় এবং কর্তৃপক্ষ যে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কর্তৃপক্ষ সেক্ষেত্রে সরকারী কর্মচারীর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব অথবা এই প্রেক্ষিতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশে কর্তৃপক্ষ বা সচিবের ক্ষমতা প্রয়ােজনকারী কর্মকর্তা যদি অভিমত পােষণ করেন যে, অভিযােগ প্রমাণিত হইলে, তাহাকে তিরস্কার অপেক্ষা কঠোর যােগ্য শাস্তি প্রদান করা হইবে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা কর্মকর্তা ক্ষেত্রমতে-
যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযােগসমূহ তাহাকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক অভিযােগ প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাহার আচরণের কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য বলিলেন এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানী চাহেন কিনা তাহাও জানাইবার জন্য বলিবেন; এবং
(বি) অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত বা বর্ধিত সময়ের মধ্যে তাহার কৈফিয়ত দাখিল করিলে তাহা বিবেচনার পর এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানীর ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, ব্যক্তিগত শুনানীর সুযােগ দানের পর অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন প্রকার। কৈফিয়ত দাখিল না করিলে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যেকোনো লঘুদণ্ড আরােপ করিতে পারিবেন:
তবে কর্তৃপক্ষ সচিব বা কর্মকর্তা, যেই ক্ষেত্রে যিনি হন, তিনি যুক্তিযুক্ত মনে করিলে অভিযােগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অভিযুক্তের নিম্ন পদমর্যাদা নন, এমন একজন কর্মকর্তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ােগ করিতে পারিবেন।
(২) তদন্তকারীর কর্মকর্তার মতামতসহ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ, সচিব বা কর্মকর্তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন বা প্রয়ােজন মনে করিলে পুনঃতদন্তের আদেশ দিবেন।
(৩) ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ, সচিব বা কর্মকর্তা পুন: তদন্তের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
(৪) [বিলুপ্ত]
(৫) যখন কোনো সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি-৩এর উপ-বিধি (এ) বা (বি) বা (সি) এর অধীনে কোন কার্যক্রম গ্রহন করা হয় এবং উপ-বিধি (১)-তে বর্ণিত কর্তৃপক্ষ, সচিব অথবা কর্মকর্তা মনে করেন অভিযোেগ প্রতিষ্ঠিত হইলে তিরস্কার দণ্ড প্রয়ােগযােগ্য হইবে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ, সচিব অথবা কর্মকর্তা, অভিযুক্তের ব্যক্তিগত শুনানী গ্রহণ পূর্বক কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিরস্কার দণ্ড আরােপ করিতে পারিবেন।
- আরো পড়ুন: দেশে বসে বিদেশের ৪টি কোম্পানি সামলান!
- আরো পড়ুন: চাকরী ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করে তিনটি রেস্তারার মালিক!
- আরো পড়ুন: আচার বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয়
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিগত শুনানীর জন্য হাজির হইতে ব্যর্থ হইলে বা উপস্থিত হইতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে শুনানী ব্যতীত উক্ত তিরস্কার দণ্ড আরােপ করা যাইবে অথবা উপ-বিধি (১) হইতে (৩) -তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক তাহার উপর দণ্ড আরােপ করা যাইবে; কিন্তু এই ক্ষেত্রে অভিযােগ প্রতিষ্টিত হইলে তিরস্কার দণ্ড অপেক্ষা গুরুতর দণ্ড আরােপ করিতে হইবে।
যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবী করেন যে, তাহাকে লিখিত ভাবে অভিযােগ জানাইতে হইবে, তাহা হইলে উপ-বিধি (১) হইতে (৩) – তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে এবং এইক্ষেত্রে অভিযােগ প্রতিষ্ঠিত। হইলে তিরস্কার দণ্ড অপেক্ষা গুরুতর দণ্ড আরােপ করিতে হইবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।