জেনে নিন কোলন ক্যান্সার থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অনেকেই কোলোরেক্টাল ক্যানসারে ভুগছেন ও ঝুঁকিতে আছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কোলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
- আরো পড়ুন: লাল মাংসে কি কোলন ক্যান্সার হয়?
- আরো পড়ুন: কোলন সংক্রমণ এড়াতে সবচেয়ে ক্ষতিকারক ৩ খাবার
- আরো পড়ুন: কোলন ক্যান্সার: লক্ষণ ও সমাধান(এটুজেড)
কোলন ক্যান্সার থেকে পরিত্রাণের উপায়
কোলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স হাসপাতালের জেনারেল ও কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহরিয়ার মো. সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
কোলোরেক্টাল ক্যানসার কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহরিয়ার মো. সাদেক বলেন, কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলতে আমরা যেটা বুঝি, সেটা হচ্ছে… কোলনকে আমরা বাংলায় বৃহদান্ত্র বলি। বৃহদান্ত্র আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি অঙ্গ। রেক্টাম বলতে আমরা মলাশয় বুঝি, পায়ুপথের আগের অংশটা। বৃহদান্ত্র ও মলাশয়ের ক্যানসারকেই আমরা কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলি।
কোলন ক্যানসার থেকে পরিত্রাণ বা প্রতিরোধের উপায় কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহরিয়ার মো. সাদেক বলেন, প্রথমে ভয় দূর করতে হবে। এটা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং সচেতনভাবে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে যদি কারও উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে, ভীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে ইনভেস্টিগেশন করতে হবে।
ডা. শাহরিয়ার মো. সাদেক আরো বলেন, অনেকে ভীতি বা উপসর্গগুলো নিয়ে বসে থাকে। ভয়ে ডাক্তারের কাছে যায় না, লজ্জার কারণে বলতে পারে না। দেখা যায় যে প্রাথমিক অবস্থায় যদি ক্যানসার ধরা পড়ত, তাহলে সম্পূর্ণ কিউর করা যেত এবং ওই ক্যানসার জিইয়ে রাখার কারণে এটা এমন এক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যে তখন আর কিছুই করা সম্ভব নয়। যেটি মহিলাদের ক্ষেত্রে খুব বেশি হয়ে তাকে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
- আরো পড়ুন: শিশুর জন্মগত হৃদরোগে চিকিৎসা
- আরো পড়ুন: শিশুর কানে ব্যথা হলে করণীয়
- আরো পড়ুন: শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যার প্রতিরোধ ও প্রতিকার
নিজের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যে আমার মলত্যাগের সময় রক্ত যাচ্ছে কি না, হুট করে পেটে ফাঁপা ভাব, হুট করে ওজন কমে যাচ্ছে কি না- শরীর যদি এসব লক্ষণ প্রকাশ করে, তবে তা আপনাকে অবশ্যই শুনতে হবে। ওই সময়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া, ইনভেস্টিগেশন করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া।
আরেকটা হচ্ছে, খাবারে সচেতন হওয়া। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, প্রসেসড মিট যত সম্ভব পরিহার করা যায়, জাঙ্ক ফুড যত সম্ভব কম খাওয়া যায় এবং যতটা সম্ভব হেলদি লাইফস্টাইল লিড করা যায়, এসব ব্যাপারের একটা ইমপ্যাক্ট রয়েছে কোলন ক্যানসার প্রিভেন্ট করার ক্ষেত্রে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।