জেনে নিন পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। পাকস্থলীর ক্যানসার মানুষের মৃত্যুর বড় একটি কারণ। নারীদের তুলনায় পুরুষেরা এ ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হন। বয়স্ক মানুষের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকলেও আমাদের দেশে অল্পবয়সী অনেকেই এ ক্যানসারে ভোগেন।
- আরো পড়ুন: ডায়রিয়া হলে করণীয়
- আরো পড়ুন: এন্ডোমেট্রিওসিসকে হারিয়ে দিন
- আরো পড়ুন: রাতের যেসব খাবারে ওজন বাড়বে না
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে:
যেসব কারণে পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়
পরিবারের কারো পাকস্থলীর ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক, আলসারে ভুগলে এবং পাকস্থলীতে হ্যালিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণ থাকলে এ ক্যান্সার হতে পারে। যাঁরা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার, সামুদ্রিক মাছ, শুঁটকি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে পছন্দ করেন, তাজা ফলমূল কম খান, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। স্থূলতা, কায়িক পরিশ্রম কম করা, দীর্ঘদিন রাবার কারখানা ও কয়লাখনিতে কাজ করা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
পাকস্থলীর ক্যান্সার বুঝবেন যেভাবে
প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুতর উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে। পেটের ওপরের দিকে ব্যথা, জ্বালাপোড়া, পেটফাঁপা, ক্ষুধামন্দা বা অরুচি, বমিভাব বা বমি হওয়া, খাবার ওপরে উঠে আসা, মুখে লালা জমা, এসব এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। পরবর্তী পর্যায়ে পেটে চাকা হওয়া, পানি আসা, পেট ফুলে যাওয়া, জন্ডিস ও রক্তবমি হতে পারে। ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস্ট্রিক, অরুচি, ওজন কমে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা, এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এন্ডোস্কপি পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ সহজেই নির্ণয় করা যায়।
পাকস্থলীর ক্যান্সারের চিকিৎসা কী
পাকস্থলীর ক্যানসার হলে অস্ত্রোপচার করতে হয়। এ ছাড়া এই ক্যানসারের রোগীদের শারীরিক অবস্থা ও ক্যানসারের পর্যায়ভেদে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই এ রোগ প্রতিরোধের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
- আরো পড়ুন: টাকের সমস্যার সমাধান
- আরো পড়ুন: চুল কেন ঝরে পড়ায় করণীয়
- আরো পড়ুন: শীতে চুল তৈলাক্ত হলে করণীয় কী
প্রতিরোধের উপায়
পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নিয়মিত তাজা ফল খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ওজন কমানো জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস পরিহার করা প্রয়োজন। এন্ডোস্কপিক স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এ ক্যানসার অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়। পেটের নানা সমস্যায় ভুগলে নিজে নিজে দিনের পর দিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।