অনলাইন ব্যাংকিং কেন ব্যবহার করবেন । আসুনর এ বিষয়ে আমি আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিত আলোচনা করে বুঝাচ্ছি। প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকিং লেনদেন পদ্ধতিরও অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমন একটা সময় আসবে যে আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং ছাড়া ব্যাংকিং লেনদেন কল্পনাও করতে পারবেন না। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। যে কারণগুলোর জন্য আপনি যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে থাকেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করতে হবে। কারণ ইন্টারনেট ব্যাংকিং এ রয়েছে নানা সুযোগ সুবিধা।
অনলাইন ব্যাংকিং কেন ব্যবহার করবেন
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক শাখায় না গিয়েও ব্যাংকিং করতে পারে।
- রিয়েল টাইম ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
- আরো পড়ুন: শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও ৬ কারণে হতে পারে এইডস
- আরো পড়ুন: ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
- আরো পড়ুন: দুধের সাথে যে খাবার খাবেন না
- রিয়েল টাইমে ফিক্স ডিপোজিট এবং স্কিম একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা যায়।
ঘরে বসেই এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায়। - ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক ২৪ ঘন্টা ৭ দিন সবসময় ব্যাংকিং করতে পারে।
- ট্রানজেকশনগুলো সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে থাকে। এর জন্য তাকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।
- গ্রাহক তার ইচ্ছামত পিন পরিবর্তন করে নিতে পারে, যেটার কারণে অন্য কেউ তার একাউন্টে লগ ইন পারে না।
- ক্যাশ টাকা বহন করতে হয় না বলে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি হয় না।
- ট্রানজেকশনগুলো করার জন্য গ্রাহককে সবচেয়ে কম খরচ দিতে হয় ব্যাংকে।
- যতবার ইচ্ছা ততবার স্টেটমেন্ট নেয়া যায়।
- যেকোনো সময় বিনামূল্যে ব্যালেন্স চেক করা যায়।
- যেহেতু ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক সব সময় তার একাউন্ট এর তথ্য জানতে পারে।
- সেজন্য একাউন্ট থেকে টাকা চুরির ঝুঁকি কম থাকে।
- ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান করা যায়।
- যে কোন মোবাইলে এয়ার টাইম রিচার্জ করা যায়।
- ক্লিয়ারিং চেক এর ক্ষেত্রে পজিটিভ পে ইনস্ট্রাকশন প্রদান করা যায়।
- বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের বিল প্রদান করা যায়।
- আপনার লোন একাউন্টের আউটস্ট্যান্ডিং ব্যালেন্স জানা যাবে।
- আরটিজিএস এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়।
- বিইএফটিএন এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়।
- বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ।
- ফান্ড ট্রান্সফার করে একই ব্যাংকের যেকোন হিসাবে তাৎক্ষণিক টাকা পাঠানো যায়।
- ফিক্সড ডিপোজিট এবং স্কিম একাউন্ট খোলা এবং বন্ধ করা যায়।
- স্ট্যান্ডিং অর্ডার প্রদান করা যায়।
- চেক বইয়ের রিকুয়েস্ট, স্ট্যাটাস এবং স্টপ পেমেন্ট করা যায়।
- এছাড়া কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্য লেটার অব ক্রেডিট এর অ্যাপ্লিকেশন, ব্যাংক গ্যারান্টি, লিমিট ইনকোয়ারি সেবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাওয়া যায়।
- অধিকাংশ ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়।
- মোবাইল ব্যাংকিং এ টাকা টান্সফার করা যায়।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর অসুবিধাসমূহ হলো-
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর ইউজার আইডির জন্য গ্রাহককে ব্যাংকে যেতে হয়।
- বিভিন্নসময়ে ব্যাংক তাদের অনলাইন প্রোগ্রামগুলো আপগ্রেড করে, যেটা পরবর্তিতে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য বুঝে ওঠা কষ্টকর হয়ে থাকে।
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালানোর জন্য গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হয়। এই ইন্টারনেট সংযোগের জন্য যে খরচ হয় তা গ্রাহককেই বহন করতে হয়।
- আরো পড়ুন: ১ লাখ টাকা খরচে ব্যাগ তৈরির কারখানায় মাসে ৪০ হাজার আয়
- আরো পড়ুন: ছোট পুঁজিতে বড় ব্যবসা বিক্রি করুন এয়ার টিকেট
- আরো পড়ুন: লোগো ডিজাইন করে মাসে আয় করুন ৫০০০০ টাকা
- যেহেতু প্রযুক্তি সব সময় পরিবর্তন হয় তাই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়া খুব কঠিন।
- অনেক সময় যে লিংক এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা হয় সেটি বন্ধ থাকে।
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং এ যে ফিচারগুলো দেয়া থাকে অনেক সময় গ্রাহক সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে ওয়াকিবহাল থাকে না।
- ইমেইল একাউন্ট না থাকলে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করা যায় না।
- ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- কিছু কিছু ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের জন্য ফি গ্রহণ করে থাকে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।