এজেন্ট ব্যাংকিং কি – এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা অসুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং কি – এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা অসুবিধা আমাদের মধ্যে এইরকম অনেকেই আছেন যারা কিনা এজেন্ট ব্যাংকিং এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, আর যদি সত্যিই আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং এর সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত দেখতে পারেন, কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ।



  • এজেন্ট ব্যাংকিং কি?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং খোলার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর লাভ কত?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং কী কী ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুযোগ সুবিধাগুলো কী কী?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর অসুবিধাগুলো কি কি?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং করার সময় কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন?
  • এজেন্ট ব্যাংকিং কি ধরনের ভূমিকা পালন করে?

এজেন্সি ব্যাংকিং কি

বৈধ এজেন্সির চুক্তির অধীনে এজেন্ট নিযুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রদানই হলো ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী এটি নিয়ন্ত্রিত হয় ।

মূলত হচ্ছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে যে সমস্ত লোকজন আছে সেইসমস্ত লোকজনকে নিরবিচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনা করা হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতকে গ্রাহকের কাছে সহজেই, হাতের কাছে এবং ব্যাংকিং সময়ের পরেও ব্যাংকিং সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে সর্বসাধারণের কাছে ব্যাংকিং চ্যানেল সম্প্রসারিত করছে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ২০১৪ সালে জানুয়ারি মাসে ব্যাংক এশিয়া বাংলাদেশে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করে ।

২০১৬ থেকে ২০২০ পযর্ন্ত প্রতি বছর ৭৭.৬৮ শতাংশ হারে এজেন্ট ব্যাংক একাউন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের প্রথম কুয়াটার রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে ২৮ টি ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং লাইসেন্স আছে এবং ২৭টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং অপারেটি করছে। একি সময় এজেন্ট ব্যাংকিং এর এজেন্টের সংখ্যা ১২ হাজারের ও বেশি এবং আউটলেটের সংখ্যা ১৬ হাজার ও বেশি । এই এজেন্ট এবং আউটলেরগুলো মধ্যে ৮৫ শতাংশ শতাংশেরও বেশি গ্রামাঞ্চলে এবং প্রায় ১৫ শতাংশ শহরভিত্তিক ।ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়া মোট এজেন্ট আউটলেটের যথাক্রমে ২৭.২০ শতাংশ এবং ২৬.৭৯ শতাংশ নিয়ে সর্বাধিক সংকট আউটলেট অপারেট করছে। এছাড়াও ইসলামি ব্যাংক ১৮.১৫ শতাংশ, সিটি ব্যাংক ৮.৬২ শতাংশ, এনআরবি ক্রমাশিয়াল ব্যাংক ৩.৬০ শতাংশ নিয়ে ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম স্থানে আছে।

২০২১ সালের মার্চ মাসে মোট এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্টের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এই একাউন্টগুলোর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি পুরুষ, ৪৬ শতাংশ মহিলা এবং প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট ১ শতাংশেরও কম। মোট একাউন্টে ৩৬.০১ শতাংশ নিয়ে ব্যাংক এশিয়া প্রথম স্তানে এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ৩৩.৬৭ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অস্থানে আছে। এছাড়া ইসলামি ব্যাংক ১৫ শতাংশ, আল আরাফাহ ৩.৪০ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংক ২.৬৯ শতাংশ নিয়ে ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম অবস্থানে আছে। ২০২১ সালে মার্চ মাসে বাংলাদেশের এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টোটাল ডিপোজিটের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি । এই ডিপোজিটে প্রায় ৭৫ শতাংশ এসেছে গ্রামাঞ্চল থেকে এবং বাকি ২৫ শতাংশ এসেছে শহর থেকে। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ ৩২ শতাংশের বেশি ডিপোজিট নিয়ে সবার শীর্ষে আছে।

এরপরেই একে একে আছে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ১৬.৬৪ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ২৪.৬৪ শতাংশ, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক ১৩.৯৮ শতাংশ এবং অগ্রণী ব্যাংক ৯.৫৫ শতাংশ । একি বছরের মার্চ মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লোন প্রদানের পরিমাণ ২৫০০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ছিল। এই লোনের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ৬৪ শতাংশ এবং শহরে বাকি ৩৬ শতাংশ দেয়া হয়েছে ।

ব্রাক ব্যাংক ৬২ শতাংশেরও বেশি লোন প্রভাইড করে সবার শীর্ষে রয়েছে। ব্যাংক এশিয়া ২২.০৫ শতাংশ, সিটি ব্যাংক ১২.২৫ শতাংশ, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ১.৪৫ শতাংশ, মিট্রিয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ০.৪৯ শতাংশ । এ কিভাবে ২০২১ সালের মার্চ মাস পযর্ন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দেশে ৫৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স এসেছে । যার মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ৯০ শতাংশের বেশি এবং শহরে ১০ শতাংশেরও কম রেমিট্যান্স এসেছে। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ মোট রেমিট্যান্স ৫৪ শতাংশেরও বেশি করে রিসিভ সবার শীর্ষে আছে। এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ২৩.৫৬ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ১১.৬৮ শতাংশ, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক ৫.৬৩ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংক ২.৭৮ শতাংশ ।

বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে খুব বেশি ঋণ প্রদান করা হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের লেটেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ২৭টি ব্যাংকে মাধ্যমে মাত্র ৯ টি এজেন্ট ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর ইতিহাস

বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরে সাফল্য পাওয়া গেছে । এক্ষেত্রে ব্রাজিলকেই অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বলে মনে করা হয় । ব্রাজিল এজেন্ট ব্যাংকিং মডেল শুরুর দিকেই গ্রহণ করেছে এবং বছরের পর বছর কার্যক্রম চালানোর এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক পুরোপুরি বিকশিত হয়ে বর্তমানে দেশটির ৯৯ শতাংশ এর বেশি পৌরসভা জুড়ে এই সেবা পরিচালিত হচ্ছে মেক্সিকো, পেরু, কলম্বিয়া, কুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, কেনিয়া, দক্ষিঙ আফ্রিকা, ডগান্ডা, ভারতসহ অনেক দেশ পরর্বতীতে এটি অনুসরণ করে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে যেই যোগ্যতাগুলো থাকতে হবে আপনি যদি এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে আপনার যেই যোগ্যতাগুলো থাকতে হবে সেইগুলো হলো:

  • ট্রেড লাইসেন্সসহ যেকোনো ব্যবসায়িকপ্রতিষ্ঠান থাকতে হবে
  • বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এমআরএ) নিয়ন্ত্রক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান
  • সমাজ সেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত এনজিও
  • সমিতি নিবন্ধিত আইন – ১৮৬০ অনুযায়ী নিবন্ধিত সমিতি
  • সমবায় সমিতি আইন – ২০০১ অনুযায়ী নিবন্ধিত ও নিয়ন্ত্রিত / পরিচালিত সমবায় সমিতি
  • সরকারি প্রতিষ্ঠানের শাখা / ইউনিট অফিস
  • ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত কুরিয়ার ও মেইলিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান
  • কোম্পানি আইন – ১৯৯৪ অনুযায়ী নিবন্ধিত কোম্পানি
  • মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর এজেন্ট
  • ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এজেন্ট
  • স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান
  • এজেন্ট ব্যাংকিং খোলার জন্য যেই ডকুমেন্টসগুলো লাগবে

এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে যেই সমস্ত ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে

প্রথমত, আপনার কমন ডকুমেন্টস লাগবে। এর মানে আপনি যেই প্রফেশনালের লোক হোন না কেন সেইক্ষেত্রে আপনার কমন ডকুমেন্টসগুলো লাগবে। আপনার যেই যেই কমন ডকুমেন্টসগুলো লাগবে সেগুলো হলো যেমন:

  • আপনার সদ্যতোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে ।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর একটি আবেদন পত্র ।
  • আপনার যেকোনো একটা ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড থাকতে হবে ।
  • আপনার NID কার্ড / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে।
  • আপনার ভিজিটিং কার্ড / অফিস আইডি, ই-টিন কপি, ইউটিলিটি বিলের কপির প্রয়োজন হবে।
  • আপনার যিনি নমিনি হবে তার ২ কপি রঙিন ছবির প্রয়োজন হবে ।
  • নমিনির NID কার্ড / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
  • এছাড়া আপনার টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
  • ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
  • এজেন্ট ফিটনেস সার্টিফিকেট লাগবে।
  • পুলিশ জেলিফিশন সার্টিফিকেট লাগবে।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত এক মাসে কার্যকরী বিবরণ।
  • দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র ইত্যাদি লাগবে ।

এই সমস্ত ডকুমেন্টস অনুযায়ী আপনি চাইলে খুব সহজেই এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে পারবেন ।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর লাভ

আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং করার মাধ্যমে কত টাকা লাভ করতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে মূলত আপনার সর্বমোট লেনদেনের উপর। আপনি যদি যেকোনো একটি ব্যাংকে এজেন্ট হয়ে যান এবং এজেন্টের কার্যক্রম পরিচালনা করেন, সেইক্ষেত্রে আপনি সেই ব্যাংক প্রতি যত বেশি আকৃষ্ট করতে পারবেন, আপনার কমিশন পরিমাণ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ যত বেশি হিসাব খুলবেন তত বেশি কমিশন পাবেন। এছাড়া আপনি যত বেশি রেমিটেন্স পেমেন্ট দিতে পারবেন, তত বেশি কমিশন উপভোগ করতে পারবেন ।

এক কথায় বলতে গেলে আপনার সর্বোচ্চ লেনদেন এবং আপনার সার্ভিসিং এর উপর নির্ভর করবে যে, আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন সেই বিষয়টি ।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা সমূহ

আপনি যদি এজেন্ট ব্যাংকিং এ একাউন্ট খুলেন, সেইক্ষেত্রে আপনি যেই সমস্ত সেবা সমূহ উপভোগ করতে পারবেন অথবা অন্যকে যেই সমস্ত সেবা সমূহ দিয়ে সহায়তা করতে পারবেন, সেগুলো নিচে দেয়া হলো। প্রথমেই,

  • বিভিন্ন মেয়াদি হিসাব খোলা।
  • চলতি হিসাব খোলা।
  • মাসিক সন্ঞয় ও মেয়াদি সন্ঞয় প্রকল্প হিসাব খোলা ।
  • নগদ টাকা জমাদান / উত্তোলন করা।
  • অন্য একাউন্টে টাকা হস্তান্তর করা।
  • ইএফটিএন এর মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা (যেকোনো ব্যাংকের হিসাব)
  • আরটিজিএন এর মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা অল্প সময়ে যেকোনো ব্যাংকের হিসাব
  • বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ গ্রহণ (পিন এর মাধ্যমে)
  • বেতন / ভাতা প্রদান।
  • একাউন্ট ব্যালেন্স জানা।
  • ইউটিলিটির বিল প্রদান।
  • ক্ষুদ্র মাজারি ও কৃষি ঋণ প্রদান।
  • পাসপোর্টে ফি গ্রহণ।
  • ইন্টারনেট ব্যাংকিং।
  • ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার পেমেন্ট গ্রহণ।
  • ডেবিট কার্ড ও চেক বই প্রসেসিং সুবিধা।
  • স্কুল ব্যাংকিং।
  • মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা।
  • ব্যাংকিং সকল কার্যক্রম ও অন্যান্য সুবিধা।

উপরে যেসমস্ত সেবাগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেসমস্ত সেবা ছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরো নানা রকম সুযোগ সুবিধা পাবেন। আর সেই সুযোগ সুবিধাগুলো নিম্নে দেওয়া হলো,

এজেন্ট ব্যাংকিং করার ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা পাবেন

  • জামানত তুলনামূলকভাবে কম লাগে।
  • বায়োমেট্রিক মেশিন’ ব্যবহার করে গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ সনাক্তকরণে মাধ্যমে ১০০ শতাংশ নিরাপদ ব্যবস্থা ।
  • এবং অল্প জায়গায় এজেন্ট ব্যাংকিং এর কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
  • প্রকৃত অনলাইন ব্যাংকিং সেবা যা দেশব্যাপী যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে পাওয়া যাবে।
  • জমাকৃত টাকার উপর মুনাফা লাভের সুবিধা ।
  • বাৎসরিক চার্জ প্রযোজ্য নয়।
  • টাকা সন্ঞয়ের একটি অন্যন্য ব্যবস্থা ।
  • প্রথম বছরে এটিএম কার্ড ফ্রী ।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর অসুবিধাগুলো

এজেন্ট ব্যাংকিং এর অসুবিধা সমূহ

আপনাদের মধ্যে এইরকম অনেকেই আছে যারা এজেন্ট ব্যাংকিং এর অসুবিধার সম্পর্কে জানতে চান, তবে এই বিষয়টি একবারেই সত্য যে এজেন্ট ব্যাংকিং এ সেরকম কোনো অসুবিধা নেই। এজেন্ট ব্যাংকিং করার ক্ষেত্রে এখানে কোনো ফিক্সড লাভ নেই, অর্থাৎ আপনি যত বেশি কাস্টমার আকৃষ্ট করতে পারবেন আপনি তত বেশি লাভ উপভোগ করতে পারবেন। এইক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে অসুবিধা বললে বড্ড বোকামির মত কাজ করা হবে ।

  • এজেন্ট ব্যাংকিং করার সময় যেই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
  • অর্থ উন্নয়নের সময় গ্রাহক আঙ্গুলের ছাপ দ্বারা প্রতিটি লেনদেন নিশ্চিত করবেন।
  • লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিক মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
  • প্রতিটি লেনদেনের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাপানো রশিদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
  • এজেন্ট কেন্দ্রের বাইরে এজেন্টের সঙ্গে কোনো ব্যাংকিং লেনদেন করা যাবে না।
  • গ্রাহক তার লেনদেন নিশ্চিত করার পর এজেন্ট কেন্দ্র ত্যাগ করবেন


এজেন্ট ব্যাংকিং এর ভূমিকা সমূহ

বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এজেন্ট ব্যাংকিং এর ভূমিকাগুলো হলো:

  • আর্থিক অন্তর্ভুক্তি করণ
  • গ্রামিণ মানুষের সন্ঞয় প্রবণতা বৃদ্ধি করে
  • উদ্যোক্তা তৈরি করে।
  • কর্মসংস্থান তৈরি করে।
  • বেকারত্ব দূরীকরণ।
  • নারী ক্ষমতায়ন: উল্লেখযোগ্য নারী এজেন্ট: ১. আলসিন আরিফা, ২. মাকসুদা বেগম, ৩. সুচরিতা চাকমা ।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর আউটলেট এর বিস্তারিত তথ্য

১. এজেন্ট ব্যাংকিং কি?

বৈধ এজেন্সির চুক্তির অধীনে এজেন্ট নিযুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রদানই হলো ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী এটি নিয়ন্ত্রিত হয়।

২. শাখা ও ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

সবার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য নেই, অবশ্য ধরনের দিন থেকে পার্থক্য হলো: শাখার মালিক ব্যাংক নিজেই, কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং এর আউটলেটের মালিক তৃতীয় পক্ষ।

৩. এজেন্ট হওয়ার জন্য পূর্ববর্তী কোনো ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা কিপ্রয়োজন আছে?

হ্যাঁ, কমপক্ষে এক বছর ব্যবসার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ।

৪. কি ধরনের ব্যবসার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?

ট্রেড লাইসেন্স থাকা যেকোনো ব্যবসা ।

৫. একজন এজেন্ট কি একাধিক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এর প্রস্তাব করতে পারবে ?

হ্যাঁ, একজন এজেন্ট একাধিক আউটলেট এর এক বা একাধিক স্থান প্রস্তাব করতে পারবে।

৬. এজেন্ট ব্যাংকিং এর গ্রাহকদের জন্য ব্রাক ব্যাংকের শাখায় কি কোনো বিধিনিষেধ আছে?

না, কোনো বিধিনিষেধ নেই। এজেন্ট ব্যাংকিং এর গ্রাহকেরা ব্রাক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় যেকোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন ।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

জীবনবিমায় প্রিমিয়াম, বোনাস এবং বার্ষিকবৃত্তি

জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি

জেনে নিন জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি সম্পের্কে। আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *