এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায় ।। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ (PDF)

এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায় ।। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ (PDF)

দ্বিতীয় অধ্যায়
অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ
অর্থনীতিতে সম্পদ হলো সেসব জিনিস বা দ্রব্য যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়। সংক্ষেপে আমরা এ দ্রব্যগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্যও বলে থাকি।

যেমন: ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, টিভি ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুগত সম্পদ এবং ডাক্তারের সেবা, শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি অদৃশ্যমান বা অবস্তুগত সম্পদ। উল্লিখিত জিনিসগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হবে। শিখনফল
অর্থনৈতিক সম্পদের ধারণা

প্রাকৃতিক সম্পদ, মানবসম্পদ এবং উৎপাদিত সম্পদের মধ্যে তুলনা
বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সম্পদ চিহ্নিত

অবাধলভ্য দ্রব্য এবং অর্থনৈতিক দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য
স্থায়ী ও অস্থায়ী ভোগ্যদ্রব্যের তুলনা
মধ্যবর্তী দ্রব্য ও মূলধনী দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য

সুযোগ ব্যয় ও নির্বাচনের ধারণা
আয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে সম্পর্ক
বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যাবলি

অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
অর্থনৈতিক সম্পদ : অর্থনীতিতে সম্পদ হলো সেসব জিনিস বা দ্রব্য যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়। সংক্ষেপে আমরা এ দ্রব্যগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্যও বলে থাকি। যেমন : ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, টিভি ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুগত সম্পদ এবং ডাক্তারের সেবা, শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি অদৃশ্যমান বা অবস্তুগত সম্পদ।

উল্লিখিত জিনিসগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হবে। কোনো জিনিসকে যদি অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে হয় তবে তার চারটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : ১. উপযোগ; ২. অপ্রাচুর্যতা; ৩. হস্তান্তরযোগ্য; ৪. বাহ্যিকতা।

সম্পদের শ্রেণিবিভাগ : উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ তিন প্রকার। যথা : ১. প্রাকৃতিক সম্পদ; ২. মানবিক সম্পদ; ৩. উৎপাদিত সম্পদ।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদ : বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। উন্নয়নের সাথে দেশের অর্থনৈতিক সম্পদের বিশেষ সম্পর্ক থাকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে : ১. কৃষি সম্পদ; ২. খনিজ সম্পদ; ৩. বনজ সম্পদ; ৪. প্রাণিজ সম্পদ; ৫. শক্তি সম্পদ; ৬. পানি সম্পদ প্রভৃতি।

দ্রব্য : অর্থনীতিতে যে জিনিসের উপযোগ আছে তাই দ্রব্য। অর্থনীতিতে এসব দ্রব্যকে আবার অবাধলভ্য দ্রব্য, অর্থনৈতিক দ্রব্য; ভোগ্য দ্রব্য; মধ্যবর্তী দ্রব্য; চূড়ান্ত দ্রব্য; মূলধনী দ্রব্য প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যে ভাগ করা হয়।

সুযোগ ব্যয় : অর্থনীতিতে বহুল ব্যবহৃত একটি ধারণা ‘সুযোগ ব্যয়’। কোনো একটি জিনিস পাওয়ার জন্য অন্যটিকে ত্যাগ করতে হয়Ñ এই ত্যাগকৃত পরিমাণই হলো অন্য দ্রব্যটির ‘সুযোগ ব্যয়’ (Opportunity Cost)।

নির্বাচন : অর্থনীতিতে সম্পদের স্বল্পতার জন্যই নির্বাচন করতে হয় এবং এটি ব্যক্তি পর্যায়ের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্পদে স্বল্পতার জন্য হয়ে থাকে।

আয় : উৎপাদনের কোনো উপকরণ ব্যবহারের জন্য উপকরণটি বা এটির মালিক একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে অর্থ পায় তাকে আয় বলে। শ্রমের জন্য প্রাপ্ত আয়কে মজুরি বলে।

সঞ্চয় : মানুষ আয় করে ভোগ করার জন্য। ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমানে অর্জিত আয়ের পুরোটাই মানুষ ভোগ করে না। আয়ের একটি অংশ রেখে দেয় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এই রেখে দেওয়া অংশের নাম সঞ্চয়।

বিনিয়োগ : মানুষ আয় থেকে সঞ্চয় করে থাকে। সঞ্চিত অর্থ যখন উৎপাদন বাড়ানো কাজে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে বিনিয়োগ বলে।

অর্থনৈতিক কার্যাবলি : মানুষ জীবিকা সংগ্রহের জন্য যে কার্যাবলি করে থাকে তাকে অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলা হয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ অর্থ উপার্জন করে এবং জীবনধারণের জন্য তা ব্যয় করে। মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল প্রেরণা হলো দ্রব্যসামগ্রীর অভাব পূরণ করা।

অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি : যে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জিত হয় না এবং তা জীবনধারণের জন্য ব্যয় করা যায় না তাকে অ-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বলা হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের অভাব পূরণ করলেও অর্থ উপার্জনে ভূমিকা রাখতে পারে না।

ANSWER SHEET

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *