জার্মানির ‘হাই রিস্ক’ তালিকায় আরো ৪ দেশ

জার্মানির ‘হাই রিস্ক’ তালিকায় আরো ৪ দেশ এমন তথ্য দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে। ইউরোপে বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণের জেরে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডকে ‘হাই রিস্ক’ দেশের তালিকাভুক্ত করলো জার্মানি৷

ইউরোপে বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণের জেরে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডকে ‘হাই রিস্ক’ দেশের তালিকাভুক্ত করলো জার্মানি। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসেও

করোনা সংক্রমণের বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলি থেকে আসা করোনা টিকা না নেওয়া পর্যটকদের জার্মানিতে প্রবেশের পর বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিন করতে হয়। ইউরোপে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ফলে এই ‘হাই রিস্ক’ বা উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডকে যুক্ত করলো জার্মানি।

জার্মানির ‘হাই রিস্ক’ তালিকায় আরো ৪ দেশ

শুক্রবারের এই ঘোষণা কার্যকর হবে রোববার থেকে। ইউরোপে মান্যতা পাওয়া করোনা টিকাগুলির মধ্যে কোনোটিই না নেওয়া থাকলে সেই যাত্রীদের জার্মানিতে এসে দশদিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। যদি কোয়ারান্টিনের পাঁচদিন পেরোবার পর করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে, তাহলে এরপর থেকে কোয়ারান্টিনে না থাকলেও চলবে।

উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় যুক্ত হওয়া চারটি দেশে সংক্রমণ বাড়ার ফলে সেসব দেশেও কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য গণপরিসরে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আয়ারল্যান্ডে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা বার বা নাইটক্লাবে যেতে পারবেন না। গ্রিসেও এই নির্দেশ কার্যকর রয়েছে। নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি থাকছে কর্মক্ষেত্রেও।

জার্মানিতে বর্তমান পরিস্থিতি

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য বাভারিয়াতে বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণের ফলে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বার্ষিক ক্রিস্টমাস মার্কেট। বাভারিয়ার যে সমস্ত জেলায় সংক্রমণের হার প্রতি দশ লাখ মানুষে এক হাজার ছাড়িয়েছে, সেখানে জারি আছে লকডাউন। বর্তমানে লকডাউনের আওতায় রয়েছে বাভারিয়ার আটটি জেলা।

জার্মানিজুড়ে এই মুহূর্তে প্রযোজ্য রয়েছে ‘২জি’ নিয়ম, অর্থাৎ, গণপরিসরে চলাফেরার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া আছে কেবল টিকাপ্রাপ্ত বা করোনা থেকে সদ্য সেরে ওঠা ব্যক্তিদের জন্যেই। বেশিরভাগ দোকান, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, বার-পাব বা উৎসবে অংশ নিতে পারবেন না টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা।

শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার জার্মানিতে মোট নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৯৭০। টিকার সবকটি ডোজ নিয়েছেন দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *