মানুষকে ছাগল ভেবে কোপ! আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: কথা ছিল সংক্রান্তির উৎসবে ঈশ্বরকে উৎসর্গ করা হবে ছাগল। সেই অনুযায়ী, ছাগলকে ধরে বেঁধে দেয়া হয়েছিল হাড়িকাঠে।কিন্তু মদের নেশায় ছাগলকে কোপ না দিয়ে দিয়েছেন ছাগলটিকে ধরে রাখা এক ব্যক্তির ঘাড়ে। ছাগল বলির জায়গায় হলো নরবলি! খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
- আরো পড়ুন: স্তনে নানা ধরনের চাকা
- আরো পড়ুন: জরায়ুমুখে ক্যানসার থেকে রক্ষার উপায়
- আরো পড়ুন: চোখের সমস্যা রোধে পুষ্টি
এ কাণ্ডটি গত রোববার ভারতের হায়দরাবাদের চিত্তুর জেলায় ঘটেছে। নেশাগ্রস্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৌষ সংক্রান্তির দিন দেবতাকে ছাগল উৎসর্গ করা চিত্তুর জেলার ভালাসাপল্লির বহু দিনের রীতি। রোববার তেমনই পুজোপাঠ চলছিল। বলির জন্য উৎসর্গ করা ছাগলটিকে স্নান করিয়ে সিঁদুর মেখে হাড়িকাঠে এনে রেখেছিলেন সুরেশ।
আসন্ন মৃত্যু টের পেয়েছিল ছাগলটিও। তারস্বরে চিৎকার করছিল। বাজনা বাজছিল চারদিকে। এই অবস্থায় মদের ঘোর ভেঙে জেগে ওঠেন চালাপতি। হাতে বিশাল খাঁড়া নিয়ে উঠে দাঁড়ান।
বাজনার জোর আরো বাড়ে, পাল্লা দিয়ে বাড়ে ছাগলের চিৎকার। ছাগলটি যেন হাড়িকাঠ থেকে বেরিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে সুরেশ তার চার পা ভাল করে ধরে রেখেছিলেন।
বিশাল দা বিদ্যুৎগতিতে নেমে আসে সোজা সুরেশের গলায়। প্রাণ বাঁচানোর আর সময় পাননি সুরেশ। ভারী ফিনকি দিয়ে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আরও প্রবল হয় ছাগলের চিৎকার, কিন্তু এই দফায় বেঁচে যায় সেটি।
- আরো পড়ুন: গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার নিয়ম
- আরো পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ড কি? মিউচুয়াল ফান্ড’র প্রকারভেদ
- আরো পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কাকে বলে? ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
মুহূর্তে আশেপাশের সবাই বুঝতে পারেন, গন্ডগোল হয়েছে বিরাট। দ্রুত সুরেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চালাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, চালাপতি মদের নেশায় এতটাই আচ্ছন্ন ছিলেন যে ছাগল আর মানুষের তফাৎ করতে পারেননি। ছাগলের গলায় কোপ বসাতে গিয়ে তার দা নেমে আসে সুরেশের ঘাড়ে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।