যৌ’ন মি’লন কতটা নিরাপদ গর্ভাবস্থায়?

প্রশ্ন- আমি ৪ মাসের গর্ভবতী। আমার স্বামী মাঝেমধ্যেই যৌ’ন মি’লনের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তবে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় আমরা আর মিলিত হয় নাই। গর্ভাবস্থায় যৌ’ন মিলন (During Pregnancy) কতটা নিরাপদ? আমরা কি মিলিত হতে পারি?

উত্তর

গর্ভাবস্থায় যৌ’ন মি’লনে কোনো রকম সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রেগন্যান্সির এই ৯ মাসই আপনি সে’ক্স করতে পারেন। কিন্তু, কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

প্রথম ৩ মাস কিন্তু যৌ’ন মিলন না করাই ভালো। এতে গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও যদি কোনো কারণে গর্ভপাতের ইতিহাস থাকে তাহলে অবশ্যই যৌ’ন মিল’ন করবেন না।

অথবা এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। অনেকের আবার জ’রায়ু মুখ খোলা থাকে। সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৬ মাস স’হবাস পুরোপুরি নি’ষিদ্ধ।

একজন সুস্থ স্বাভাবিক দম্পতির মধ্যে শা’রীরিক সম্পর্ক বা চলতি কথায় সহ’বাস শুধু তাদের ভালোবাসাই গভীর করে না, ভালো করে মন এবং শা’রীরিক স্বাস্থ্যও। গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে নানা রকম মানসিক ও শা’রীরিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

সেই সময় তার স’ঙ্গীর স’ঙ্গে নিবিড় সময় কাটাতে ইচ্ছে করতেই পারে। অন্তত গর্ভবতী মহি’লাদের শরী’রের হরমোন তাঁদের এই ইচ্ছেতে প্রচণ্ড পরিমাণে জোর দেয়। আর এই ক্ষেত্রে হবু মায়েদের মাথায় ঘোরে হাজারো সংশয়। যা তারা পরিবারের কাউকে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পান।



গর্ভবতী অবস্থায় কতদিন পর্যন্ত স’হবাস করা যায়?

প্রে’গন্যান্সিতে যদি কোনো জটিলতা না থাকে, এবং আপনার ডাক্তার যদি এই ব্যাপারে সহমত হন, তাহলে আপনি সহ’বাস করতেই পারেন। তবে স্বাভাবিক ভাবে বলা হয় শেষ ৩ মাস সে’ক্স এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো।

স’হবাসের ফলে বাচ্চার কি কোনো ক্ষতি হয়?

না, স’হবাসের ফলে বাচ্চার কোনও রকম ক্ষতি হয় না। বাচ্চা মায়ের শরীরের ভিতর জ’রায়ুর মোটা আস্তরণের মধ্যে অ্যামনিওটিক ফ্লুয়িডের মধ্যে থাকে।

জ’রায়ু মুখকে ঢেকে রাখে ঘন মিউকাস প্লাগ যা বাচ্চাকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই, জল ভাঙা বা জল বেরিয়ে আসার আগে পর্যন্ত যৌ’নমিলন সম্পূর্ণ নিরাপদ। অনেকেই মনে করেন যে, প্রথম এবং তৃতীয় ট্রিমেস্টার চলাকালীন স’হবাস একেবারেই উচিত নয়।

গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস গর্ভপাতের আশঙ্কা এবং শেষ দিকে সময়ের আগেই প্রসব য’ন্ত্রণা শুরু হওয়ার আ’শঙ্কা করেন হবু বাবা ও মা। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। সবার শরীরের ধরন এবং প্রে’গন্যান্সি আলাদা আলাদা হয়। এক্ষেত্রে, একমাত্র ডাক্তারের কথামতোই চলতে হবে।

প্রে’গন্যান্সির অবস্থা এবং মায়ের শরীর বুঝে ডাক্তার যদি অনুমতি দেন, তা হলে প্রথম এবং তৃতীয় ট্রিমেস্টারেও স’হবাসে কোনো ভয় নেই। যৌ’ন মি’লনের পরে, মা অনেকসময় পেটের ভিতর বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করতে পারেন। এতে ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই।

গর্ভাবস্থায় স’হবাস কিভাবে উপকারে আসে?

র’ক্তচাপ কম রাখতে সাহায্য করে ও প্রি-এক্লাম্পসিয়ার (preeclampsia) ঝুঁকি কম করে। কিছুটা হলেও ক্যালোরি বার্ন করে। অ’র্গাজমের প্রভাবে যে অ’ক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, তার জন্য হবু মা শরীরের ব্য’থা যন্ত্রণাকে অতটা অনুভব করতে পারেন না।

সেই স’ঙ্গে মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় এই ফিল গুড হর’মোন। শুধু যে মায়েরই ভালো ঘুম হয় তা নয়, আরাম করে ঘুমোয় বাচ্চাটিও। হবু মায়েরও দিব্যি ঘুম হয়।


আরো পড়ুন: মুখের ব্রণ-দাগ দূর করবে পুদিনা পাতা
আরো পড়ুন: ব্রণের দাগ দূর করে ফলের খোসা
আরো পড়ুন: মানসিক চাপ থেকে হতে পারে ত্বকের সমস্যা


কোন কোন ক্ষেত্রে স’হবাস করা উচিত নয়?

প্রে’গন্যান্সির প্রথম দিকে স’হবাস করার পরে যদি আপনার কোনো রকম র’ক্তপাত হয়, তা হলে ডাক্তার ১৪ সপ্তাহ না হওয়া পর্যন্ত স’হবাস করতে বারণ করেন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়!

পেটে গ্যাসের সমস্যায় করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়!

আসসালামুয়ালাইকুম অনেক রোগীই আমাদের কাছে আসেন পেটের সমস্যা নিয়ে পেট ফেঁপে থাকে ফুলে থাকে পেটে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *