প্রবাসী অভিযাত্রীদের ‘সুবর্ণযাত্রা’ সম্পর্কে জেনে নিন। আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। দেশ ও সমাজের জন্য অনেকে অনেকভাবে ছাপ রাখতে চান। বিশ্বের দেশে দেশে অসংখ্য প্রবাসী রয়েছেন। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কিছু না কিছু করে অবদান রাখছেন। তবে এবার একটি ভিন্ন উদ্যোগ সামনে আসলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে সড়কপথে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তত ৫০ দেশের মানচিত্র স্পর্শ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রবাসীদের একটি অভিযাত্রী দল, যাকে তারা বলছেন ‘সুবর্ণযাত্রা’।
- আরো পড়ুন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: একের ভিতর সব
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৫ কোটি টাকা আয় করবেন যেভাবে
- আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন’র জন্য কেমন কনফিগারেশনের ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ প্রয়োজন
প্রবাসী অভিযাত্রীদের ‘সুবর্ণযাত্রা’
কারা নিয়েছে এই উদ্যোগ?
প্রবাসীদের ’চিন্তা ও চাকা’ নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে যে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নরওয়ের নর্থক্যাপ থেকে তাদের ‘সুবর্ণযাত্রা’ আরম্ভ করবেন। বিশ্বের ৫০ টি দেশের স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর বার্তা পৌঁছে দেয়ার মধ্যে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে এ অভিযাত্রার সমাপ্তি টানা হবে।‘চিন্তা ও চাকা’ নরডিক অঞ্চলের প্রবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠন। সংগঠনের মুখপাত্র মতিউর রহমান জানান, ইউরোপ এবং এশিয়ায় অন্তত দুইশ স্বেচ্ছাসেবী এ আয়োজন বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের যাত্রা শুরু হবে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের নর্থক্যাপ থেকে। শোভাযাত্রাটি দক্ষিণ বরাবর বাংলাদেশ মুখে যাত্রাপথে এশিয়া এবং ইউরোপের প্রায় ৫০টি দেশ অতিক্রম করবে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস এ শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এ ৫০ টি দেশের স্থানীয় জনগণ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের কাছে নিজ দেশের ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস থাকবে।’
কি কি কর্মসূচি থাকছে?
প্রবাসীরা যাত্রা পথে বিশ্ববাসীর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরতে চান। নানা কর্মসূচিতে সাজানো হয়েছে তিন মাসব্যাপী আনুমানিক ৪০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথযাত্রা। পথযাত্রার প্রতিটি বিরতিতে থাকবে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন, স্থানীয় ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন।শিশুদের অংশগ্রহণে কেক কাটার আয়োজনও থাকবে এ কর্মসূচিতে।
- আরো পড়ুন: পর্তুগালের শহর ব্রাগা : ইউরোপে সেরা গন্তব্য
- আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন?
- আরো পড়ুন: বিদেশ ভ্রমণ : প্রস্তুতি হবে কেমন?
নিজেদের অভিযাত্রার শেষে ১৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে আয়োজন করা হবে বিজয়ের অনুষ্ঠান।
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর দেশের সবগুলো জেলাকে তারা এক সুতোয় বাঁধতে চান শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে; যুক্ত করতে চান জেলার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।