SSC ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা:অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

SSC ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা:অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

বোর্ড বইয়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়?

ক হেরোডোটাস খ লিওপোল্ড ফন্ র‌্যাংকে
গ টয়েনবি ঘ ই.এইচ. কার

২. উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ প্রমাণ করে
র. প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশ মৃৎশিল্পে সমৃদ্ধ ছিল

রর. বহু প্রাচীন আমলে বাংলাদেশে নগর-সভ্যতা গড়ে ওঠে
ররর. প্রাচীন বাংলার অধিবাসীদের ধ্যান-ধারণা অত্যন্ত উন্নত মানের ছিল

নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও
রিমা ঈদের ছুটিতে মা-বাবার সাথে কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘর পরিদর্শনে যায়। সেখানে সে মুদ্রা, শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি, ইমারত ইত্যাদি দেখতে পায়।

৩. রিমা ময়নামতি জাদুঘরে ইতিহাসের যে উপাদান দেখতে পায় তা হলো-
র. লিখিত

রর. অলিখিত
ররর. প্রতœতাত্ত্বিক

নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
ঘ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৪. রিমা ময়নামতি জাদুঘর পরিদর্শন করে জানতে পারবে, প্রাচীন বাংলার
র. সামাজিক ইতিহাস

রর. অর্থনৈতিক ইতিহাস
ররর. সাংস্কৃতিক ইতিহাস

নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  ইতিহাসের লিখিত উপাদান ও গুরুত্ব

সজল তার বাবার সাথে জাতীয় গণগ্রন্থাগারে যায়। সেখানে সে বিভিন্ন বইপত্র পড়ে। সজল বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও তার ইতিহাসের বই ভালো লাগে। সে বিভিন্ন উৎস থেকে ইতিহাসের বইপত্র সংগ্রহ করে পড়ে। সজলের বাবা তাকে ধমক দিয়ে বললেন, শুধু শুধু এই বই পড়ে তুমি সময় নষ্ট করছ কেন?
ক. হিউয়েন সাং কোন দেশের পরিব্রাজক?
খ. সময়ের বিবর্তনে কীভাবে ইতিহাসের পরিসর বিস্তৃত হচ্ছে?
গ. সজল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ইতিহাসের কোন ধরনের উপাদান দেখতে পায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কী সজলের বাবার মানসিকতার সাথে একমত? যুক্তি দাও।

ক হিউয়েন সাং চীন দেশের পরিব্রাজক।
খ ইতিহাস থেমে থাকে না, নিরন্তর প্রবহমান। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কর্মধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেমন : আগের যুগের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সময়ের বিবর্তনে তা পরিবর্তিত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস চর্চায়-গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিও অনুসৃত হচ্ছে। তাই দিন দিন এর পরিসর বিস্তৃত হচ্ছে।
গ সজল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ইতিহাসের লিখিত উপাদান দেখতে পায়। এগুলোর মধ্যে সাহিত্য, নথিপত্র, জীবনী, দলিলপত্র, চিঠিপত্র প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত। সাহিত্যের মধ্যে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যকর্মও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমন : বেদ, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ মিনহাজ-উস-সিরাজের ‘তবকাত-ই-নাসিরী, আবুল ফজল এর ‘আইন-ই-আকবরী’ কিংবদন্তি, গল্পকাহিনী এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব লিখিত উপাদানের মাধ্যমেই মানুষ ও অতীত সমাজের ইতিহাস জানা সম্ভব। ইতিহাসের অলিখিত উপাদানের মাধ্যমে তা জানা যায় না। উদ্দীপকে উল্লিখিত ইতিহাসের বই তথা লিখিত উপাদান অতীত ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে। আর সকল গ্রন্থাগারে ইতিহাসের এসব উপাদান বইপত্র দেখতে পাওয়া যায়। সজল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ইতিহাসের এই লিখিত উপাদান দেখতে পায়।
ঘ আমি সজলের বাবার মানসিকতার সাথে একমত না। কারণ, মানব সমাজের সভ্যতার বিবর্তনের সত্যনির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে সজলের সময় নষ্ট হচ্ছে না। বরং ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজ দেশ সম্পর্কে মঙ্গল অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। ইতিহাস পঠন জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে। জাতীয়তাবোধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই। ইতিহাস জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে। মানুষ ইতিহাস পাঠ করে অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা বর্তমানের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতে পারে। ইতিহাস পাঠ করলে বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে, যা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সাহায্য করে। সুতরাং সজলের মতো সবারই দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি। সজলের বাবার মানসিকতার সাথে তাই আমি মোটেও একমত নই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *