জেনে নিন এই রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর পুষ্টি খাবারগুলো কি কি হবে? আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। পৃথিবীর সব দেশেই ডায়াবেটিস একটি বড় সংকট। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ শনাক্ত ডায়াবেটিস রোগী আছে। দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশই জানে না তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
■ সাহ্রির শেষ সময়ের অল্পক্ষণ আগে পরিপূর্ণ খাবার খেয়ে রোজা রাখতে হবে।
■ অল্প পরিমাণ খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত হবে না।
■ সাহ্রিতে জটিল শর্করা (ভাত, রুটি, আলু, মুড়ি ইত্যাদি) রাখুন। তাজা ফলমূল খান।
■ রোজা শুরুর আগে শর্করার মাত্রা, কিডনির অবস্থা, সম্ভব হলে রক্তের চর্বির পরিমাণ জেনে নিতে হবে।
ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। সুতরাং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া, খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা, ব্যায়াম করা এবং ধূমপান, জর্দা, সাদাপাতা, মদ্যপান বন্ধ করার মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
- আরো পড়ুন: রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়
- আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের সুরক্ষা মিলবে কালোজিরায়
- আরো পড়ুন: বাতের ব্যথা, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে হলুদ চা
ডায়াবেটিস হলে খাদ্যাভ্যাসে শৃঙ্খলা মেনে চলাটা জরুরি। একজন ডায়াবেটিসের রোগীকে নির্দিষ্ট সময় পরপর খাবার গ্রহণ করতে বলা হয়। নয়তো তাঁর হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। বিশেষ করে যাঁরা ইনসুলিন বা সালফোনিল ইউরিয়া ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু যাঁরা রোজা রাখেন তাঁদের একটা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হবে।
আবার সন্ধ্যার পর অল্প সময়ে নির্দিষ্ট ক্যালরি সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। এ সময় পানিশূন্যতার মতো সংকট যাতে না দেখা দেয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। নিয়ম না মেনে রোজা রাখলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ভোজনের কারণে হঠাৎ পানিশূন্যতা, রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ দেখা দিতে পারে। তাই রোজায় চাই তাঁদের বিশেষ সচেতনতা।
রোজা শুরুর ১৫ দিন থেকে এক মাস আগে শর্করার মাত্রা, কিডনির অবস্থা, সম্ভব হলে রক্তের চর্বির পরিমাণ জেনে নিতে হবে। ওষুধের কোনো পরিবর্তন দরকার কি না, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোজায় খাদ্যতালিকা মেনে চলা।
- আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীরা যে ৫ ভুল করবেন না
- আরো পড়ুন: ডায়াবেটিসেও খেতে পারেন যেসব ফল
- আরো পড়ুন: ডেন্টাল ক্যারিজ কেন হয়, যা করণীয়
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর পুষ্টি
করণীয়
৩ বেলা (ইফতার, সন্ধ্যারাত, সাহ্রি) খাবার খেতে হবে। ক্যালরির মাত্রা আগের মতোই থাকবে, কেবল সময়সূচি বদল হবে। সাহ্রির শেষ সময়ের অল্পক্ষণ আগে পরিপূর্ণ খাবার খেয়ে রোজা রাখতে হবে। সাহ্রি কিছুতেই বাদ দেওয়া যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ-ইনসুলিন নিতে হবে। সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। সাহ্রিতে জটিল শর্করা (ভাত, রুটি, আলু, মুড়ি ইত্যাদি) রাখুন। তাজা ফলমূল খান।
অল্প পরিমাণ খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত হবে না। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা যাবে না। শরবত বা চিনিযুক্ত পানীয় থেকে বিরত থাকুন। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে থাকেন। তবে রোজা রেখে হাঁটা বা ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।