স্টাফ রিপোর্টার :: রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে আওয়ামী লীগ নেত্রী উমামা বেগম কণককে (৪০) হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার স্বামী ওমর ফারুক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে।
আজ (রোববার) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করেন স্বামী ওমর ফারুক।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুককে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উমামা বেগম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ছিলো। এ ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন নিহতের স্বজনরা।
গত ২৩ এপ্রিল রাতে কনককে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাত পৌনে ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (শনিবার ২৪ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে কনককে তার নিজ রুমে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কনকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তার স্বামী ওমর ফারুক।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, দুই সন্তান নিয়ে প্রায় ২১ বছরের সংসার উমামা বেগম কনকের। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার। নিহতের স্বামীও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।