ই-লোন সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা

ই-লোন সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা আমরা অনেক সময় লোন নিতে চাই কিন্তু বিভিন্ন প্রকার জামানতের কারণে আমরা লোন নিতে পারি না। আজকে আপনি কোনো প্রকার জামানত ছাড়া কীভাবে ই-লোন নিতে পারবেন তা সহজ পদ্ধতিতে জানতে পারবেন।

  • ই-লোন কি?
  • ই-লোন থেকে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা ঋণ নিতে পারবেন?
  • যদি ই-লোন লোন নেওয়ার জন্য কী কী যোগ্যতা লাগবে?
  • ই-লোন নেওয়ার জন্য কী কী ডকুমেন্টস লাগবে?
  • জামানত ছাড়া কীভাবে ই-লোন নিতে পারবেন?
  • ই-লোনটি সেকসেন হতে কতদিন লাগবে? অর্থাৎ ই-লোনটির জন্য আবেদন করার পর আপনার কতদিন লাগবে?


ই-লোন কি?

অনেক সময় বিজনেস ভালো চললেও ব্যাংক থেকে বিজনেস দেখিয়ে লোন পাওয়া অনেক কষ্টকর। কারণ জামানত লাগে, সঙ্গে অনেক কাগজপত্রও লাগে, তাছাড়া যথাসময়ে পাওয়াও যায় না, তাই ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো যেন সহজে, অল্প সময়ের মধ্যে কোনও জামানত ছাড়াই লোন পেতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিয়েই শপ আপ ই- লোনের প্রোগ্রামটি চালু করা হয়েছে।

ই-লোন থেকে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা লোন নিতে পারবেন?

আপনি ই-লোন থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পযর্ন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

আপনি যদি ই-লোন লোন আপনার কী কী যোগ্যতা লাগবে?

বয়স : ১৮ বছরের উপরে হলে ভালো হয় ।

জাতীয়তা : আপনার জাতীয়তা অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে। তার মানে আপনার কাছে অবশ্যই আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে।

মাসিক আয়

আপনি যদি মাসিক কোনো চাকরি করেন সেই ক্ষেত্রে এই লোনের জন্য আবেদন করতে আপনার মিনিমাম সেলারি হতে হবে ২৫ হাজার টাকা। তাহলে আপনি ই-লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কাজের অভিজ্ঞতা

যেহেতু এই লোনটি বিজনেস পার্পাসে প্রবাইড করে থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা হতে হবে, আপনি যদি বেতনভুক্ত ব্যক্তি হন তাহলে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যদি আপনি কোনও পেশাদার হন কোনও ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ৬ মাসের পেকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ব্যবসায়ী হলে মিনিমাম আপনার ব্যবসার বয়স ৩ বছর হতে হবে । আর যদি আপনি বাড়িওয়ালা হন অথবা আপনার কোনো বাড়ি থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনার কোনও অভিজ্ঞতা লাগবে না। তো এই যোগ্যতাগুলো থাকলেই আপনি সিটি ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।

ই-লোন নেওয়ার জন্য কী কী ডকুমেন্টস লাগবে?

প্রথমে, আপনার কমন ডকুমেন্টস লাগবে। এর মানে আপনি যেই প্রফেশনাল লোক হোন না কেন সেই ক্ষেত্রে আপনার কমন ডকুমেন্টসগুলো লাগবে। আপনার যেই যেই কমন ডকুমেন্টসগুলো লাগবে সেগুলো হলো যেমন:

  • দুই কপি ছবি
  • NID কপি
  • নমিনি NID কার্ডের কপি
  • ভিজিটিং কার্ড / অফিস আইডি
  • ই-টিন কপি
  • বিদ্যুৎ বিল / ইউটিলিটি বিলের কপির প্রয়োজন হবে।

যেহেতু আপনি ই-লোনের জন্য এপ্লাই করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার একজন গ্যারান্টের থাকতে হবে। সেটা আপনার ফ্যামিলির কেউ একজনও হতে পারে অথবা আপনার পরিচিত কেউ একজনও হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনার যেই গ্যারান্টের থাকবে তার ২ কপি ছবি, NID কার্ডের ফটোকপি লাগবে। পাশাপাশি ব্যাংকের রিকোয়ামেন্ড অনুযায়ী কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হতে পারে। তো এগুলো হচ্ছে কমন ডকুমেন্টস ।

এছাড়াও প্রত্যেকটা প্রফেশন অনুযায়ী আপনাকে আলাদা আলাদা কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে সেগুলো হচ্ছে যেমন:

বেতনযুক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে

আপনি যদি বেতনযুক্ত ব্যক্তি হন তাহলে আপনার স্যালারি সার্টিফিকেটের কপি লাগবে, পে – স্লিকের কপি এবং ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টে লাগবে যেখানে আপনার স্যালারিটা রিফ্লেক্ট করবে ।

পেশার ক্ষেত্রে

আপনি যদি পেশাদার ব্যক্তি হন, তাহলে আপনার পেশাদারি সার্টিফিকেট কপি, যেমন আপনি যদি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হন সেই ক্ষেত্রে আপনার বিএমডিসির সার্টিফিকেট লাগবে। তো আপনি যেই যেই প্রফেশনের হোন না কেন সেই প্রফেশন অনুযায়ী আপনার পেশাদারিত্ব যেই সার্টিফিকেটটা রয়েছে সেটার ফটোকপি লাগবে, আপনি লেটার হেডে যেই আয়টা করেন সেটার ডিক্লেয়ারেশন দিবেন, এবং আপনার ১ বছর ব্যাংক এস্টেটমেন্ট লাগবে।

ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে

আপনি যদি বিজনেসম্যান হন সেই ক্ষেত্রে আপনার বিজনেসের লাস্ট ৩ বছরের ট্রেড লাইসেন্সের কপি লাগবে এবং আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি পার্টনারশিপ কোম্পানি হয় সেই ক্ষেত্রে আপনার পার্টনারশিপ ডিড লাগবে। আর যদি লিমিটেড কোম্পানি হয় সেইক্ষেত্রে মোয়া কপি লাগবে। ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে আর কোম্পানির TIN / BIN সার্টিফিকেটের কপির প্রয়োজন হবে ।

বাড়িওয়ালা

আপনি যদি বাড়িওয়ালা হন, সেই ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া এগ্রিমেন্টের কপি লাগবে, আপনি কত টাকা মাসিক ভাড়া ইনকাম করেন সেই বিষয়ে একটা ডিক্লেয়ারেশন দিতে হবে, আপনার বাড়ির ওনারশীপ লাগবে, আপনার ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে। এর পাশাপাশি যারা প্রবাসি ভাইয়েরা রয়েছেন দেশের বাইরে থাকেন তারাও চাইলে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। তবে সেই ক্ষেত্রে ব্যাংকের রিকমেন্ড অনুযায়ী যেই ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয় সেই ডকুমেন্টসগুলো আপনাকে সাভমিড করতে হবে।

জামানত ছাড়া কীভাবে ই-লোন নিতে পারবেন?

প্রথমে গুগল প্লেস্টোর থেকে shop up eloan নামে অ্যাপটি ডাওনলোড করতে হবে । ডাউনলোড করার পর সেই অ্যাপটি ওপেন করবেন। অ্যাপটি ওপেন করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের নিজের একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। অর্থাৎ যেই মোবাইলে আপনি লোনটি নেবেন সেই মোবাইলের নাম্বারটা দিলেই হবে।

তো আপনার মোবাইল নাম্বারটি লিখে login.. করবেন । login… করার পর একটা ইন্টার পেইজ দেখতে পাবেন, যেখানে মোট ৬ টি পয়েন্টে শূন্যস্থান দেওয়া থাকবে, আর সেই ৬ টি পয়েন্টে আপনাকে যা যা পূরণ করতে হবে সেগুলো হলো, যথা:

  • আপনার নাম
  • আপনার বয়স
  • আপনার লিঙ্গ
  • আপনার বিভাগ
  • আপনার ব্যবসা / চাকরির নাম

আপনার নাম

আপনার নিজস্ব মেইল এই পয়েন্টে আপনি আপনার পুরো নাম লিখবেন, অর্থাৎ আপনি যার নামে ই-লোনটি নিতে চাইছেন তার পুরো নামটা লিখবেন।

আপনার বয়স

এই নাম্বার পয়েন্টে ২ টি option রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার বয়সটা Select করবেন, তো যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকে তাহলে প্রথম নাম্বার option Select করবেন । আর যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের উপরে হয় তাহলে দ্বিতীয় নাম্বার option Select করবেন।

আপনার লিঙ্গ

আর এই পয়েন্টে আপনি আপনার gender select করবেন । আপনি যদি পুরুষ হন তাহলে পুরুষ (male) select করবেন । আর আপনি যদি মহিলা হন তাহলে মহিলা ( Female) select করবেন। অথবা আপনি যদি এছাড়া অনান্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনান্য select করবেন ।

আপনার বিভাগ

আর এই পয়েন্টে আপনি আপনার বিভাগটা select করবেন । অর্থাৎ আপনার বিভাগ যদি এখান থেকে যেকোনো একটা হয় তাহলে আপনি সেটি select করবেন । যথা; ঢাকা / বরিশাল / চট্টগ্রাম / খুলনা / ময়মনসিংহ / রাজশাহী / সিলেট / রংপুর ।

আপনার ব্যবসা / চাকরির নাম

আর এই পয়েন্টে আপনার ব্যবসার নাম দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যেই ব্যবসাটা করেন সেই ব্যবসার নাম দিতে হবে৷ আর এই পয়েন্টে আপনার মেইলটা দিতে হবে। অর্থাৎ ই-লোনের ব্যাপারে আপনার কাছে একটা মেইল যাবে, তো আপনি সেই মেইলটি লিখে দেবেন ।

এই ৬ টি পয়েন্ট পূরণ করার পর আপনি (Next) এ ক্লিক করে দেবেন । (Next) এ ক্লিক করে দেয়ার পর আপনি একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে। এবং এর সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আপনার মোবাইলে ৪ সংখ্যার একটা ভেরিপিকেশন কোড নাম্বার আসবে,

সেই ভেরিপিকেশন কোড নাম্বারটি আপনাকে এই পেইজে লিখতে হবে। লিখার পর (Next) এ ক্লিক করে দেবেন। (Next) এ ক্লিক করে দেয়ার পর এই রকম একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে। এখানে আপনার কাছ থেকে কিছু পারমিশন নেবে। তো আপনাকে পারমিশন দিতে হবে।

অর্থাৎ এরপর আপনি অ্যালাও পারমিশনে ক্লিক করে দেবেন । এইভাবে ৩ বার আপনি অ্যালাও এ ক্লিক করে দেবেন। এরপর সেখানে লোকেশন অন করতে বলা হবে, তো আপনি আপনার লোকেশন অন করবেন। এরপর একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হয়ে যাবে। তো সেই ইন্টার পেইজের মধ্যে লিখা থাকবে এইরকম কিছু প্রশ্ন, হচ্ছে

  • আপনার মাসিক কিস্তি কত?
  • কত টাকা লোন নিতে চান?
  • আপনি কত দিনের জন্য লোন নিতে চান?

আর উত্তর অনুযায়ী, আর সেই উত্তর সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর যে, এখানে আপনি কত টাকা লোন নিতে চাইছেন। তো সেই ক্ষেত্রে আপনি এখানে ১০ হাজার থেকে ৩ লাখ পযর্ন্ত লোন নিতে পারবেন একদম ফ্রিতে। মনে করুন, আপনি যদি ১৫ হাজার টাকা লোন নিতে চান, তাহলে আপনি ১৫ হাজার টাকা কয়দিনের জন্য লোন নিতে চাইছেন।

সেখানে মাস দেয়া রয়েছে, আপনি কি ১ বছরের জন্য নিতে চান নাকি ১ মাসের জন্য নিতে চান। তো সেখান থেকে আপনি মাস select করে নিতে পারবেন। মনে করুন, আপনি যদি ৫০ হাজার টাকা লোন নিতে চান ৪ মাসের জন্য, তাহলে আপনার ইন্টারেস্ট হবে ২,৫৪০ টাকা ।

যদি এখানে আপনার মাস কম হয় তাহলে আপনার ইন্টারেস্টের পরিমাণও কম হবে। আর যদি আপনার মাস বেশি হয় তাহলে আপনার ইন্টারেস্টের পরিমাণও বেশি হবে। তো এইটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কত মাসের জন্য লোন নিতে চাইছেন । আপনি যদি ৫০ হাজার টাকা ৩ মাসের জন্য নিতে চান তাহলে আপনার ইন্টারেস্ট রেট হবে ২,০৫৫ টাকা ।

আর আপনি যদি ৫০ হাজার টাকা ৯ মাসের জন্য নিতে চান তাহলে আপনার ইন্টারেস্ট রেট হবে ৫,৩২৫ টাকা। এরপর আপনি (Next) এ ক্লিক করে দেবেন । (Next) এ ক্লিক করে দেয়ার পর আর একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে, যেটার উপরে লিখা থাকবে ‘জরুরি তথ্য’। সেই ইন্টার পেইজে আপনাকে বলা হবে যে,

আপানার কী অফলাইনে ব্যবসা করেন? নাকি অনলাইনে ব্যবসা করেন?

অর্থাৎ আপনি যেই কাজটি অথবা যেই ব্যবসাটি করেন, সেটি অফলাইনে ব্যবসা, নাকি অনলাইনে ব্যবসা। অর্থাৎ এখানে অফলাইনে ব্যবসা বলতে বুঝিয়েছে মুুুুদির দোকান, রিটেল শপ অথবা শোরুম, পাইকারি বিক্রেতা, উৎপাদনকারী। আর অনলাইনে ব্যবসা বলতে বুঝিয়েছে Facebook, Daraz, Ajkardeal। তো আপনি যেই ব্যবসাটা করেন, সেটি সাইন করে দেবেন। এরপর লিখা থাকবে যে,

আপনার ব্যবসার ধরণ কি রকম?

মনে করুন, আপনার ব্যবসার ধরণ ই-কামার্স, তো তাহলে আপনি লিখবেন যে, “আমার ব্যবসার ধরণ ই-কামার্স। আমি অনলাাইনে পেইজ প্রমোটের মাধ্যমে অন্যকে সাহায্য দিয়ে থাকি”। এরপর আপনি (Next) এ ক্লিক করে দেবেন । (Next) এ ক্লিক করে দেয়ার পর আপনি আর একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে, যেখানে আপনাকে বলা হবে আপনার ফেইসবুক একাউন্টের সাথে শফআপের অ্যাপটাকে অ্যাড করে নেওয়ার জন্য ।

তো আপনি প্রথমে “কানেড ওয়িদ ফেইসবুক” এ ক্লিক করে দেবেন। ক্লিক করে দেয়ার পর সেখানে আপনাকে বলা হবে যে, আপনার যেকোনো একটা পেইজ আছে সিলেক্ট করে নিতে। তো আপনি সেই পেইজটা সিলেক্ট করে নেবেন, সিলেক্ট করার পর (Next) এ ক্লিক করবেন। (Next) এ ক্লিক করে দেয়ার পর আর একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে,

যেখানে লিখা থাকবে আপনার লোনের মেয়াদ ৯ মাস, লোনের পরিমান ৫০ হাজার টাকা, লোনের ইন্টারেস্ট ৫,৩২৫ টাকা। এরপর এগুলো দেখে আপনি নিশ্চিত হয়ে এপ্ললাই এ ক্লিক করে দেবেন। এরপর আর একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে, যেখানে লিখা থাকবে যে,

আপনি কি কারো রেফারেন্সে এসেছেন?

যদি আপনার রেফারেন্স থাকে তাহলে আপনি “হ্যাঁ” দেবেন, আর যদি আপনার রেফারেন্স না থাকেন তাহলে আপনি “না” তে ক্লিক করে দেবেন। ক্লিক করার পর আর একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে, যেখানে আপনাকে বলা হবে যে, আপনার সঠিক ডকুমেন্টস দেয়ার জন্য। তখন আপনি সেই ইন্টার পেইজে দেখতে পাবেন যে, একটি আকাশী রঙের বাটন । যেই বাটনে লিখা থাকবে “প্রয়োজনীয় তথ্য / ডকুমেন্টস চেকলিস্ট”।

সেই আকাশী রঙের বাটনে আপনি ক্লিক করবেন। ক্লিক করে দেয়ার পর দেখতে পাবেন আর একটা ইন্টার পেইজ ওপেন হবে। এরপর আপনি সাবমিটে ক্লিক করে দেবেন, এরপর আপনাকে যেই কাজটা করতে হবে সেটা হলো আপনাকে প্রথমে যেই ডকুমেন্টসের কথা বলা হয়েছিল সেই ডকুমেন্টসগুলো যেমন: আপনার NID কার্ডের উভয় পাশের ফটোকপি লাগবে, আপনার একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে, আপনার ফেইসবুক পেইজ অথবা ই-কমার্স স্টেটমেন্ট লাগবে অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা বিজনেস স্টেটমেন্ট ।

অর্থাৎ আপনার যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকে সেটাও কিন্তু এখানে লাগবে, কারণ আপনার ব্যাংক একাউন্টে কিন্তু টাকা এসে যোগ হবে। আপনার ব্যবসায়িক তথ্য অন্তত ২ টা লাগবেই। সেই ইন্টার পেইজে আপনাকে যেই কাজটা করতে হবে সেটা হলো ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে অথবা টিন সার্টিফিকেট দিতে হবে অথবা অফিস বা বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্র ।

  • এড্রেস ভেরিফিককেশন: পানির বিল বা বিদ্যুৎ বিলের একটা ফটোকপি লাগবে।
  • সিকিউরিটি ডকুমেন্টস: চেকের পাতার ছবি লাগবে এবং পোস্ট ডেটেজ চেকের ছবি লাগবে ।

এখন সবকিছু ছবি তুলে নেবেন । এখন এই সব ডকুমেন্টসের ছবি তুলার পর যেই কাজটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, ছবি তুলে নেবেন আপনার ফোনের ক্যামড়া দিয়ে। প্রথমে যেই ডকুমেন্টসগুলোর ছবি তুলে নিয়েছেন সেগুলো সিলেক্ট করে নিতে হবে । সিলেক্ট করে নেয়ার পর শেয়ারে ক্লিক করে নেবেন।

শেয়ারে ক্লিক করে নেয়ার পর জিমেইলে ক্লিক করবেন। এবং জিমেইলে ক্লিক করার পর ‘টু’ তে আপনি লিখবেন (eloan@shopf.co)। লিখার পর আপনি সাবজেক্টে লিখবেন (Apply eloan)। এইসবগুলো লিখার পর সেন্টে ক্লিক করে দেবেন। এই সেন্টে ক্লিক করার পর আপনার মেইলটা চলে যাবে ।

আর মেইল করার পর আপনার সকল জিনিস দেখে তাদের যদি মনে হয় আপনার ই-লোনে পাওয়ার যোগ্যতা আছে, তাহলে কিন্তু আপনাকে লোন দেবে। আর যদি তাদের মনে হয় যে, আপনার কাছে ই-লোনে পাওয়ার জন্য কোনো যোগ্যতা নেই, তাহলে আপনাকে লোন দেবে না । কিন্তু খুুুব সহজেই আপনি ই-লোনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।



ই-লোনটি সেকসেন হতে কতদিন লাগবে?

অর্থাৎ ই-লোনটির জন্য আবেদন করার পর আপনার কতদিন লাগবে? আপনি আবেদন করার পর একটি ইন্টার পেইজ ওপেন হবে সেখানে আপনি আপনার লোন আইডিও দেখতে পাবেন। আর সেই ইন্টার পেইজে আরো বলা হবে যে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ই-লোনের প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। অর্থাৎ কথা বলে তারা কনফার্ম হওয়ার জন্যেই যে, আপনি কি সেই মানুষ, যাকে এই লোনটি দেয়া হবে। এবং আপনার ব্যাপারটি তারা দেখবে। এবং একটা মাসের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা আপনাকে লোনটি দিয়ে দেবে ৷

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

জীবনবিমায় প্রিমিয়াম, বোনাস এবং বার্ষিকবৃত্তি

জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি

জেনে নিন জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি সম্পের্কে। আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *