এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায়।। অর্থনীতির বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর(PDF)
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : নিচে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো :
কৃষি সম্পদ : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের ৭৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। আমাদের দেশে কৃষিক্ষেত্রে ধান, গম, ডাল, তৈলবীজ, আলু, ফলমূল প্রভৃতি খাদ্যশস্য এবং পাট, ইক্ষু, চা, তামাক, রেশম প্রভৃতি অর্থকরী ফসল উৎপন্ন হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায়।। অর্থনীতির সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায় ।। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘র অর্থনীতি পরিচয় MCQ সেরা স্কুল ও সকল বোর্ড (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ প্রথম অধ্যায় ।। বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ প্রথম অধ্যায় ।। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ৩য় অধ্যায় পৌরনীতি আইন,স্বাধীনতা ও সাম্য পরিচিতি(PDF)
খনিজ সম্পদ : প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। তাছাড়া আমাদের দেশে চুনাপাথর, চীনামাটি, কয়লা, কঠিন শিলা, সিলিকা বালু, গন্ধক, খনিজ তেল, তামা প্রভৃতি খনিজ সম্পদ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়।
বনজ সম্পদ : বাংলাদেশের মোট বনভূমির শতকরা ১৭ ভাগ বনভূমি রয়েছে। এদেশে সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূখণ্ডের, মধুপুর ও ভাওয়াল বনভূমি, সিলেটের বনভূমি এবং দিনাজপুর ও রংপুরের বনভূমি বনজ সম্পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাণিজ সম্পদ : আমাদের দেশে সর্বত্র বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি দেখা যায়। গৃহপালিত পশুপাখির মধ্যে গরু-ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি প্রধান। এছাড়া আমাদের বনাঞ্চলগুলোতে বাঘ, হাতি, হরিণ প্রভৃতি মূল্যবান জীবজন্তু ও অসংখ্য প্রজাতির পাখি রয়েছে।
শক্তি সম্পদ : আমাদের দেশের জন্য শক্তি সম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কলকারখানা, যানবাহন, যান্ত্রিক চাষাবাদ, গৃহকর্ম প্রভৃতি ক্ষেত্রে শক্তি সম্পদের ব্যবহার অপরিহার্য। এদেশে কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি, আণবিক শক্তি, সৌরশক্তি এবং বিভিন্ন প্রকার জ্বালানি সামগ্রী রয়েছে।
পানি সম্পদ : পানি একটি মৌলিক প্রাকৃতিক সম্পদ যা প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। দেশের কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও শক্তি সম্পদের অস্তিত্ব রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য পানি সম্পদ প্রয়োজন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বাংলাদেশের খনিজ সম্পদের বর্ণনা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নয়। তবে এখানে এ পর্যন্ত যেসব খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো :
১. প্রাকৃতিক গ্যাস : প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। এ পর্যন্ত দেশে ২৫টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে কেবল ১৯টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। এ গ্যাস রাসায়নিক সার তৈরিতে কাঁচামালরূপে ব্যবহৃত হয়।
২. চুনাপাথর : সিমেন্ট, কাচ, কাগজ, সাবান, বি¬চিং পাউডার প্রভৃতি উৎপাদনে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয়।
৩. চীনামাটি : বাসনপত্র, সেনিটারি দ্রব্য তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।
৪. কয়লা : বাংলাদেশের সিলেট, রাজশাহী, জয়পুরহাট, ফরিদপুর ও দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।
৫. কঠিন শিলা : দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়া এবং রংপুর জেলার রাণীপুকুরে কঠিন শিলার মজুদ রয়েছে। রাস্তা, রেলপথ, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কাজে এ শিলা দরকার হয়।
৬. সিলিকা বালু : সিলিকা বালু, কাচ, রং, রাসায়নিক দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৭. গন্ধক : বারুদ তৈরি, দিয়াশলাই কারখানা, তেল পরিশোধন প্রভৃতি ক্ষেত্রে গন্ধক লাগে।
৮. খনিজ তেল : সিলেটের হরিপুরে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।
৯. তামা : রংপুর জেলার রাণীপুকুর ও পীরগঞ্জ এবং দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার স্তরে সামান্য তামার সন্ধান পাওয়া গেছে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও তার, মুদ্রা প্রভৃতি তৈরির জন্য তামা ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ সুুযোগ ব্যয় ও নির্বাচন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সুযোগ ব্যয় : কোনো একটি জিনিস পাওয়ার জন্য অন্যটিকে ত্যাগ করতে হয়Ñ এই ত্যাগকৃত পরিমাণই হলো অন্য দ্রব্যটির ‘সুযোগ ব্যয়’ (Opportunity Cost)। সুযোগ ব্যয়ের ধারণাটি একটি চিত্রের মাধ্যমে আরো ভালোভাবে দেখানো যায়Ñ
সুযোগ ব্যয়
চিত্রে ঙঢ অক্ষে কাগজ এবং ঙণ অক্ষে কলম দেখানো হয়েছে। আমার সমস্ত সম্পদ যদি কলম উৎপাদনের জন্য ব্যয় করি তবে OA পরিমাণ কলম উৎপাদন করতে পারব। আবার যদি শুধু কাগজ পেতে চাই তবে OB পরিমাণ কাগজ উৎপাদন করতে পারব। অ ও ই বিন্দু সংযোগকারী অই রেখাটি হলো উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা বা PPC (Production Posibility Curve)।
আমি চাইলে দুটি দ্রব্যই পেতে পারি। আমার পুরো সম্পদ ব্যয় করে আমি ঙঘ পরিমাণ কলম এবং OM পরিমাণ কাগজ উৎপাদন করতে পারব। উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার ক বিন্দু এই অবস্থা দেখায়।
এখন যদি আমি গগ১ পরিমাণ কাগজ বেশি উৎপাদন করতে চাই তাহলে আমাকে ঘঘ১ পরিমাণ কলমের উৎপাদন ত্যাগ করতে হবে। ছ বিন্দু এই অবস্থা দেখায়। এখানে ঘঘ১ পরিমাণ কলম হলো NN1 পরিমাণ অতিরিক্ত কাগজের সুযোগ ব্যয়।
নির্বাচন : আমাদের বাঁচার জন্য অনেক দ্রব্যের প্রয়োজন। যেমন : একজন কৃষক তার জমির সম্পূর্ণটিতে আলু অথবা পেঁয়াজ চাষ করতে পারেন। এছাড়াও কিছু অংশে আলু এবং কিছু অংশে পেঁয়াজ চাষ করতে পারেন। এখন তিনি জমিটিতে ফসল উৎপাদনের জন্য সুযোগ ব্যয় রেখার এমন একটি বিন্দু (ক অথবা ছ) নির্বাচন করতে পারেন।
ফসল উৎপাদনের জন্য তার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াই নির্বাচন। শুধু ব্যক্তির জন্য নয় আমাদের সমাজেও এমন একটি অবস্থা নির্বাচন করে নিতে হয়। যেখানে সীমিত সম্পদের অপচয় না করে সমাজের সর্বোচ্চ উপকার সাধিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক কাজগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত বিচিত্র ধরনের। অতি প্রাচীনকাল থেকে বিচিত্র এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক কাজগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
কৃষি সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কার্যাবলি : বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের দিক থেকে কৃষিই এখন বড় খাত হিসেবে পরিচিত। এদেশের শ্রমশক্তির শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ শ্রমিক এ খাতে নিয়োজিত। জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত।
জমিচাষ, বীজ বপন, পানি সেচ, সার দেয়া, কীটনাশক ওষুধ ছিটানো, ফসল কাটা, ফসল বিক্রয়, পশু পালন, মাছ চাষ, মাছ ধরা, মাছ বিক্রয়, হাঁস-মুরগি প্রতিপালন, বিভিন্ন রকম তরিতরকারি ও ফলমূল উৎপাদন ও বিক্রয়ের মতো কাজগুলো কৃষিখাতের অন্তর্ভুক্ত।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ২য় অধ্যায় পৌরনীতি:সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (PDF) SSC ২য় অধ্যায় পৌরনীতি:সেরা স্কুলেরMCQ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ প্রথম অধ্যায় ।। অর্থনীতি পরিচিতি (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> পৌরনীতি-নাগরিকতা অনুধাবন-জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসির (PDF): পৌরনীতি-নাগরিকতা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
কৃষিবহির্ভূত অর্থনৈতিক কাজ : কৃষিকাজ ছাড়াও এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক কাজগুলো হলো : পোশাক শিল্পের কাজ, বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাজ, বড় বড় শিল্প ও কল-কারখানার কাজ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকরি, রাস্তাঘাট ও রেললাইন নির্মাণ, যানবাহন চালনা, ছোট বড় ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি কাজ।
এছাড়া এদেশের অনেক মানুষ খেলনা, পুতুল ও মিষ্টি তৈরি, দর্জি, কামার, স্বর্ণকার, চর্মকার, তাঁতি, কাঠুরিয়া, ফেরিওয়ালা, বিড়ি তৈরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। অনেকে গ্রাম্য ডাক্তার, কবিরাজী, ঝাড়ফুঁক, বন্যপ্রাণীর খেলা দেখানো, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি কাজের মাধ্যমেও জীবিকা নির্বাহ করে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।