PDF এসএসসি‘অর্থনীতি: অনুধাবন ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন-উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ উপযোগ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব মেটানোর ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ মানবিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : মানুষের বিভিন্ন প্রকার দক্ষতা ও যোগ্যতাকে মানবিক সম্পদ বলা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের কত ভাগ কৃষি থেকে আসে?
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের ১৩ ভাগ কৃষি থেকে আসে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ কী?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> PDF এসএসসি‘অর্থনীতির বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায়।। অর্থনীতির বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর(PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায়।। অর্থনীতির সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ দ্বিতীয় অধ্যায় ।। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘র অর্থনীতি পরিচয় MCQ সেরা স্কুল ও সকল বোর্ড (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ প্রথম অধ্যায় ।। বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ প্রথম অধ্যায় ।। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ৩য় অধ্যায় পৌরনীতি আইন,স্বাধীনতা ও সাম্য পরিচিতি(PDF)
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ রাসায়নিক দ্রব্য তৈরিতে কোনটি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : রাসায়নিক দ্রব্য তৈরিতে সিলিকা বালু ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বাংলাদেশে কতভাগ বনভূমি রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশে শতকরা ১৭ ভাগ বনভূমি রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বাংলাদেশের কৃষি জমিতে প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপাদনের প্রধান কারণ কী?
উত্তর : পলিসমৃদ্ধ উর্বর ভূমির কারণে এদেশের জমিতে প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ রাসায়নিক সার তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে কোনটি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : রাসায়নিক সার তৈরিতে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন গ্যাস।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট কয়টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে?
উত্তর : এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ২৫টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ১৯টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ বেলাবো গ্যাসক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বেলাবো গ্যাসক্ষেত্রটি নরসিংদীতে অবস্থিত।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কমপক্ষে কতভাগ বনাঞ্চল থাকা দরকার?
উত্তর : বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কমপক্ষে ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকা দরকার।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ সম্প্রতি কোথায় কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে?
উত্তর : সম্প্রতি দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ আমেরিকায় শতকরা কতভাগ বনভূমি রয়েছে?
উত্তর : আমেরিকায় শতকরা ৩৪ ভাগ বনভূমি রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ জাপানে শতকরা কতভাগ বনাঞ্চল রয়েছে?
উত্তর : জাপানে শতকরা ৬৩ ভাগ বনাঞ্চল রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ বার্মায় শতকরা কত ভাগ বনাঞ্চল রয়েছে?
উত্তর : বার্মায় শতকরা ৬৭ ভাগ বনাঞ্চল রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ ভারতে শতকরা কতভাগ বনাঞ্চল রয়েছে?
উত্তর : ভারতে শতকরা ২২ ভাগ বনাঞ্চল রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ দিনাজপুর ও রংপুরের বনভূমির আয়তন কত?
উত্তর : দিনাজপুর ও রংপুরের বনভূমির আয়তন প্রায় ৩৯ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ মধুপুর ও ভাওয়াল বনভূমির আয়তন কত?
উত্তর : মধুপুর ও ভাওয়াল বনভূমির আয়তন প্রায় ১০৬৪ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ স্থায়ী ভোগ্য দ্রব্য কাকে বলে?
উত্তর : যেসব ভোগ্যদ্রব্য দীর্ঘকাল ধরে ভোগ করা যায় তাকে স্থায়ী ভোগ্য দ্রব্য বলে।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাই নামক স্থানে কর্ণফুলি নদীর তীরে বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অবস্থিত।
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ বাংলাদেশের কোথায় পেট্রোলিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর : বাংলাদেশের সিলেটের হরিপুরে পেট্রোলিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কুষ্টিয়ায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নরসিংদিতে অবস্থিত।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ গোয়ালপাড়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : গোয়ালপাড়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি খুলনায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ পানিবিদ্যুৎ কাকে বলে?
উত্তর : পানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে পানিবিদ্যুৎ বলে।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ অর্থনীতিতে দ্রব্য কী?
উত্তর : যে জিনিসের উপযোগ আছে অর্থনীতিতে তাই দ্রব্য।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ অবাধলভ্য দ্রব্য কী?
উত্তর : যেসব দ্রব্য বিনা পরিশ্রমে এবং বিনামূল্যে পাওয়া যায় তাকে অবাধলভ্য দ্রব্য বলে।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ বাতাস কোন ধরনের দ্রব্য?
উত্তর : বাতাস অবাধলভ্য ধরনের দ্রব্য।
প্রশ্ন ॥ ৩০ ॥ সুযোগ ব্যয় কী?
উত্তর : একটি দ্রব্য বা জিনিস পাওয়ার জন্য অপর দ্রব্য বা জিনিস ত্যাগের নামই হলো সুযোগ ব্যয়।
প্রশ্ন ॥ ৩১ ॥ অর্থনৈতিক কার্যাবলি কাকে বলে?
উত্তর : মানুষ জীবিকা সংগ্রহের জন্য যেসব কার্যাবলি করে থাকে তাকে অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলে।
প্রশ্ন ॥ ৩২ ॥ মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল প্রেরণা কী?
উত্তর : মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল প্রেরণা হলো দ্রব্য সামগ্রীর অভাব পূরণ করা।
প্রশ্ন ॥ ৩৩ ॥ বিনিয়োগ কী?
উত্তর : সঞ্চিত অর্থ যখন উৎপাদন বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে বিনিয়োগ বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ খনিজ সম্পদ হিসেবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খনিজ সম্পদ। এ পর্যন্ত দেশে ২৫টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। সেখানে গ্যাসের মোট মজুদ প্রায় ১৬ বিলিয়ন ঘনফুট।
বর্তমানে কেবল ১৯টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। উৎপাদনরত গ্যাসক্ষেত্রগুলো হলো : বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, কৈলাসটিলা, রশিদপুর, সিলেট, তিতাস, বেলাবো (নরসিংদী),
মেঘনা, সাঙ্গু, সালদা নদী, জালালাবাদ, বিয়ানিবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ফেনী, বিবিয়ানা ও বাঙ্গুরা। এ গ্যাস রাসায়নিক সার তৈরিতে কাঁচামালরূপে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে, কলকারখানা ও গৃহে এ গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জিত হয় না এবং জীবনধারণের জন্য ব্যয় করা যায় না তাকে অ-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বলা হয়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের অভাব পূরণ করলেও অর্থ উপার্জনে ভূমিকা রাখতে পারে না। যেমন- পিতামাতার সন্তান লালনপালন, খেলাধুলা করা, ধার্মিক লোকের ধর্মচর্চা ইত্যাদি অ-অর্থনৈতিক কাজের উদাহরণ। এছাড়াও যেসব কাজ সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলে তাও অ-অর্থনৈতিক কাজ। যেমন- চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দুর্নীতি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলাদেশের প্রাণিজ সম্পদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের সর্বত্র বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি দেখা যায়। যা প্রাণিজ সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গৃহপালিত পশুপাখির মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হাঁস, মুরগি প্রভৃতি প্রধান।
এছাড়া সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে রয়েছে বাঘ, হাতি, হরিণ প্রভৃতি মূল্যবান জীবজন্তু ও অসংখ্য প্রজাতির পাখি। আমাদের নদনদী, বিল, হাওড়, পুকুর ইত্যাদি জলাশয় এবং বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন রকম মাছ পাওয়া যায়।
এসব জলাশয়ের মাছ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। যা আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশে প্রাণিজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় এদেশের অর্থনীতিতে কৃষি সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে রয়েছে পলি সমৃদ্ধ উর্বর কৃষিক্ষেত্র। আমাদের জমির উর্বরতা, অনুকূল আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত, নদনদী প্রভৃতি কৃষি উৎপাদনের সহায়ক।
এদেশে প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ একর চাষযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে। আমাদের কৃষিক্ষেত্রে ধান, গম, ডাল, আলু, তৈলবীজ, ফলমূল প্রভৃতি খাদ্যশস্য এবং পাট, ইক্ষু, চা, তামাক, রেশম প্রভৃতি অর্থকরী ফসল উৎপন্ন হয়। দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। জাতীয় আয়ের প্রায় ১৩ ভাগ কৃষি হতে আসে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি সম্পদের ভূমিকা অপরিহার্য।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সঞ্চয় কীভাবে বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে?
উত্তর : সঞ্চয় সরাসরি বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে।
মানুষ আয় থেকে সঞ্চয় করে থাকে। সঞ্চিত অর্থ যখন উৎপাদন বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে বিনিয়োগ বলে।
বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। তখনই মানুষ বিনিয়োগ বাড়ায়, যখন তার সঞ্চয় বাড়ে। তাই বলা যায়, সঞ্চয় প্রত্যক্ষভাবে বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কৃষিই বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের বড় খাত- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের দিক থেকে কৃষিই এখন বড় খাত হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশের শ্রমশক্তির প্রায় ৫০% শ্রমিক এখানে নিয়োজিত।
জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। জমি চাষ, বীজবপন, পানি সেচ, সার ছিটানো, কীটনাশক ছিটানো, ফসল কাটা, ফসল বিক্রয়, পশুপালন, বিভিন্ন রকম তরিতরকারি ও ফলমূল উৎপাদন ও বিক্রয়ের মতো কাজগুলো কৃষিখাতের অন্তর্ভুক্ত।
ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসব কাজের সাথে জড়িত। তাই কৃষিকে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বিনিয়োগ কীভাবে উৎপাদন বাড়ায়?
উত্তর : বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। ধরা যাক, একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি কারখানায় এক লক্ষ টাকার মূলধন সামগ্রী আছে।
উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা ঐ কারখানায় ব্যবহৃত হলো। অতিরিক্ত এই পঞ্চাশ হাজার টাকা হলো বিনিয়োগ। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে মজুদ মূলধন দ্রব্যের সঙ্গে যতটা অতিরিক্ত মূলধন দ্রব্য যোগ করা হয় তাকে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বলে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ সঞ্চয় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ভোগ ব্যয়ের পরে আয়ের যে অংশ অবশিষ্ট থাকে তাকে সঞ্চয় বলে।
মানুষ আয় করে ভোগ করার জন্য। কিন্তু আয়ের পুরো অংশ ভোগ না করে ভবিষ্যতের জন্য কিছু অংশ রেখে দেওয়ার নামই সঞ্চয়। যেমন, বাবা এক মাসে দশ হাজার টাকা বেতন পান।
নয় হাজার টাকা পরিবারের জন্য ব্যয় করেন। আর এক হাজার টাকা রেখে দেন ভবিষ্যতের জন্য। তাই এক হাজার টাকাই হলো সঞ্চয়। সঞ্চয়ের এ ধারণাটি সমীকরণ দ্বারা বোঝানো যায়। যেমন- S = Y – C ( যখন Y > C) [ এখানে Y = সঞ্চয়, C = আয়, q = ভোগ ব্যয় ]
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ২য় অধ্যায় পৌরনীতি:সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (PDF) SSC ২য় অধ্যায় পৌরনীতি:সেরা স্কুলেরMCQ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি‘ প্রথম অধ্যায় ।। অর্থনীতি পরিচিতি (PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> পৌরনীতি-নাগরিকতা অনুধাবন-জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসির (PDF): পৌরনীতি-নাগরিকতা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ দ্রব্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : দ্রব্য বলতে আমরা সাধারণত শুধু বস্তুগত সম্পদকে বুঝে থাকি। কিন্তু বাস্তবে এমন অনেক দ্রব্য আছে যেগুলো অবস্তুগত (যেমন, আলো, বাতাস ইত্যাদি) হলেও অর্থনীতিতে এগুলো দ্রব্য। অতএব, মানুষের অভাব মিটাবার ক্ষমতাসম্পন্ন বস্তুগত ও অবস্তুগত সব জিনিসকে আমরা অর্থনৈতিক দ্রব্য বলে থাকি। অর্থাৎ যে জিনিসের উপযোগ আছে অর্থনীতিতে তাই দ্রব্য।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বিনিয়োগ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষ আয় থেকে সঞ্চয় করে থাকে। সঞ্চিত অর্থ যখন উৎপাদন বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে বিনিয়োগ বলে। ধর, একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি কারখানায় এক লক্ষ টাকার মূলধন সামগ্রী আছে।
উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা ঐ কারখানায় ব্যবহৃত হলো। অতিরিক্ত এ পঞ্চাশ হাজার টাকা হলো বিনিয়োগ। বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ অর্থনৈতিক কাজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : মানুষ জীবিকা সংগ্রহের জন্য যে কার্যাবলি করে থাকে তাকে অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলা হয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ অর্থ উপার্জন করে এবং জীবনধারণের জন্য তা ব্যয় করে।
যেমন- শ্রমিক কলকারখানায় কাজ করে, কৃষকরা জমিতে কাজ করে, ডাক্তার রোগীদের চিকিৎসা করে, শিল্পপতিরা শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে এগুলো হলো অর্থনৈতিক কাজ। মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল প্রেরণা হলো দ্রব্যসামগ্রীর অভাব পূরণ করা।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ আয় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : উৎপাদনের কোনো উপকরণ ব্যবহারের জন্য উপকরণ বা দ্রব্যের মালিক একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে অর্থ পায় তাকে আয় বলে। শ্রমের জন্য প্রাপ্ত আয়কে মজুরি বলে। আয় না থাকলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। আয়ের ওপরই মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা এবং বিনিয়োগ নির্ভর করে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।