SSC ব্যবসায়ের আইনগত দিক এর ৫ম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
- LEGAL ASPECTS OF BUSINESS
- Colonel Sanders (1890–1980)
- পঞ্চম অধ্যায়
- ব্যবসায়ের আইনগত দিক
- কর্ণেল স্যান্ডারস কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেন নামক এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
ব্যবসায়ের আইনগত দিক : ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ থাকে যেমন : কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি। এগুলো ব্যবসায় উদ্যোগের গবেষণার ফসল এবং ব্যবসায়ের অতিমূল্যবান সম্পদ।
এসব সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সব দেশেই আইনগত বিধিবিধান রয়েছে। এগুলো সম্পর্কে ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আইনকানুন সম্পর্কে ধারণা ব্যবসায়ের আইনগত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
লাইসেন্স : যেকোনো ব্যবসায় শুরু করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয় বা নিবন্ধন করতে হয়। অনুমোদন বা নিবন্ধন করার পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের।
একক মালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যদি এর অবস্থান পৌর এলাকার ভিতরে হয় তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষের এবং পৌর এলাকার বাইরে হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশে অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ব্যবসায় উদ্যোগের সৃজনশীল অনুধাবনমূলক প্রশ্নর উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ব্যবসায় উদ্যোগের সৃজনশীল জ্ঞানমূলক প্রশ্নর উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> এসএসসি’র ব্যবসায় উদ্যোগের সৃজনশীল প্রশ্নসহ উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নসহ উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নসহ উত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ সমবায় সমিতির প্রকারভেদ MCQ
যৌথ মূলধনী কোম্পানি নিবন্ধন : কোম্পানি আইন অনুসারে বাংলাদেশ যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে কোম্পানির নিবন্ধকের ভূমিকা পালন করেন রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি।
প্রবর্তকগণ কোম্পানি আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় দলিলসহ ফি প্রদান করে নিবন্ধকের নিকট আবেদন করেন। দলিলাদি ও প্রমাণপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে নিবন্ধক নিবন্ধনপত্র ইস্যু করেন।
ফ্রানসাইজিং : বর্তমানে ফ্রানসাইজিং পদ্ধতিতে ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোনো খ্যাতনামা কোম্পানির নাম ব্যবহার এবং এর পণ্য তৈরি, বিক্রি বা বিতরণ করার অধিকারকে ফ্রানসাইজিং বলে। ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো :
ফ্রানসাইজর ও ফ্রানসাইজিং এর মধ্যে চুক্তিপত্র।
ব্র্যান্ডেড পণ্য বা সেবা।
পণ্য বা সেবা স্বীকৃত মান ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ফ্রানসাইজার কর্তৃক মনিটরিং।
ফ্রানসাইজ চুক্তি : ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ফ্রানসাইজং চুক্তি যা ফ্রানসাইজি ও ফ্রানসাইজারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
পুঁজির পরিমাণ, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ব্যবস্থাপনায় সাহায্য, ফ্রানসাইজ এলাকা ইত্যাদি ভেদে চুক্তির ধারাগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে। চুক্তিপত্রের শর্তাবলি যদি উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হবে।
মেধাসম্পদ : মনন ও মেধা দ্বারা সৃষ্ট কাজই মেধাসম্পদ। ব্যবসায়, শিল্পে বা বাণিজ্যে প্রয়োগ উপযোগী আবিষ্কার, সাহিত্য ও শিল্পকর্ম, নকশা, প্রতীক, নাম ইত্যাদি মেধাসম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
শিল্প বা ব্যবসায় উদ্যোক্তার মেধাসম্পদ বলতে ঐসব মূল্যবান সম্পদকে বোঝায় যা সে দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে উদ্ভাবন করেছে। এসব সম্পদের মধ্যে পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক এবং কপিরাইট অন্যতম।
পেটেন্ট : পেটেন্ট হলো এক ধরনের মেধাসম্পদ। পেটেন্টের মাধ্যমে এরূপ আবিষ্কারের জন্য আবিষ্কারককে তার স্বীকৃতিস্বরূপ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একচেটিয়া মালিকানা প্রদান করা হয়।
পেটেন্ট করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিল্পোদ্যোক্তার পরিশ্রমলব্ধ উদ্ভাবন নকল বা অন্য কোনো উপায়ে তৈরি বা বিক্রি করে যাতে কেউ আর্থিক সুবিধা অর্জন না করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
পণ্য প্রতীক/ ট্রেডমার্ক : ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কোনো পণ্যকে অন্যের অনুরূপ বা অভিন্ন পণ্য হতে স্বতন্ত্র করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত প্রতীককে ট্রেডমার্ক বলে। ঠিক একই উদ্দেশ্যে সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রতীককে সার্ভিস মার্ক বলে।
ডিভাইস, ব্রান্ড, শিরোনাম, লেবেল, টিকিট, নাম, স্বাক্ষর, শব্দ, অক্ষর, প্রতীক, সংখ্যা যুক্ত উপাদান, রঙের সমন্বয় বা এগুলোর যে কোনো রূপ সমন্বয় প্রতীকের অনুর্ভুক্ত হবে।
ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা : কোনো প্রতীক বা মার্কের রেজিস্ট্রেশন ঐ পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে প্রতীকটি ব্যবহারের বিষয়ে রেজিস্টার্ড মালিককে একচ্ছত্র স্বত্ব বা অধিকার প্রদান করে।
রেজিস্টার্ড মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবে না। আইন দ্বারা এ অধিকার সুরক্ষিত। এ অধিকার লঙ্ঘিত হলে মালিক আদালতে মামলা করে এর প্রতিকার পায়।
ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা : ট্রেডমার্কের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয় ৭ বছরের জন্য। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে আবেদন করলে ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা যায়। অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত পুনঃপুন নবায়ন করা যায় ট্রেডমার্ক।
কপিরাইট : কপিরাইট একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ যা রক্ষা করার ব্যবস্থা না করলে এর স্বত্বাধিকারী বা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতা, জাতীয় সাহিত্যকর্ম, চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, ভাস্কর্য কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত হয়। ব্রান্ডের পণ্য, খেলার তারকাদের নাম প্রভৃতি কপিরাইট চুক্তির মাধ্যমে বিপণন করা যায়। প্রকৃতপক্ষে কপিরাইট চুক্তি পণ্য বাজারজাতকরণের একটি জনপ্রিয় উপায়।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন : কোনো বিশেষ পণ্য উৎপাদন, বিপণন বা সেই বিশেষ পণ্যটিকে বাজারে প্রচলিত পণ্য থেকে আলাদা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা বিএসটিআইর অনুমোদন নিতে হয়।
নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে পণ্য প্রতীক বা ট্রেডমার্ক নিবন্ধিকরণ করা যেতে পারে। পণ্যের মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্ধারিত মান অনুযায়ী সেই সকল পণ্য উৎপাদন বা সার্টিফিকেট থেকে বাধ্যতামূলকভাবে সনদপত্র বা সার্টিফিকেট নিতে হয়।
বিমা : যে চুক্তির মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি কর্তৃক নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বিষয় সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো ঘটনাজনিত ক্ষতির বা ঘটনার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয় তাকে বিমাচুক্তি বলে।
উক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য বা নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের জন্য যে পক্ষ স্বীকৃত হয় তাকে বিমাকারী এবং যার ক্ষতিপূরণের জন্য বা যাকে অর্থ প্রদানের জন্য উক্ত চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে বিমাগ্রহীতা বলে।
ব্যবসায়ে বিমার প্রয়োজনীয়তা : বিমা ব্যবসায়ের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। বিমাকারী প্রতিষ্ঠান না থাকলে ঝুঁকির আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক পর্যায়েই তাদের ব্যবসায় বন্ধ করে দিতে হতো। তাই ব্যবসায়ের ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা ও বিরাজমান অশ্চিয়তা দূর করে ব্যবসায়কে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনার জন্য বিমার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি।
বিমার প্রকারভেদ : বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার বিমার প্রচলন হয়েছে। এর মধ্যে চার প্রকার বিমা সর্বাধিক প্রচলিত। (১) জীবন বিমা, (২) নৌ বিমা (৩) অগ্নি বিমা এবং (৪) দুর্ঘটনা বিমা। বর্তমানকালে মানুষ ক্রমশই বিমার সুবিধা উপলব্ধি করায় উপরিউক্ত চার প্রকার বিমা ছাড়াও আরো কয়েক শ্রেণির বিমার প্রচলন হয়েছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ফ্রি PDF বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ফ্রি PDF MCQ একমালিকানার ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> একমালিকানার ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহর MCQ ফ্রি PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ফ্রি PDF এসএসসি‘র ব্যবসায় উদ্যোগ MCQ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> MCQ ফ্রি PDF যৌথ মূলধনী ব্যবসায় বা কোম্পানি
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিপত্রের প্রশ্নোত্তর MCQ ফ্রি PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>ফ্রি PDF অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিপত্রের প্রশ্নোত্তর MCQ
জীবন বিমা : যে বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী বিমা কিস্তির বিনিময়ে বিমা গ্রহণকারী ব্যক্তিকে বা তার নির্বাচিত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীকে একটি বিশেষ সময়ের পরে বা বিমাগ্রহিতার মৃত্যুতে বিমাকৃত অর্থ প্রদান করে থাকে সেই বিমা চুক্তিকে জীবন বিমা বলে।
অগ্নি বিমা : যে বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাগ্রহীতা ব্যক্তিকে অগ্নিজনিত ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দান করা হয় তাকে অগ্নি বিমা বলে।
নৌ বিমা : যে বিমায় নদী ও সামুদ্রিক যাত্রা থেকে সৃষ্ট ঝুঁকির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয় তাকে নৌ বিমা বলা হয়।
দুর্ঘটনা বিমা : ব্যক্তির জীবন বা সম্পত্তি বিনাশের ঝুঁকি দুর্ঘটনা বিমার আওতাভুক্ত। এ জাতীয় বিমার শর্তানুসারে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের পরিবর্তে আশঙ্কিত দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি সংঘটিত হলে বিমাকারী বিমাগ্রহিতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।