SSC:দেনাপাওনা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (ফ্রি PDF)
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন
ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের, গ্রামের নয়Ñ আলো ঝলমলে শহরের। বিয়ের তিন মাসের মাথায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তৃষা এখন হাসপাতালে আর তার স্বামী বিপ্লব নারী নির্যাতনের মামলায় কারাগারে। বিপ্লব উচ্চশিক্ষিত ও সম্পদশালীÑ তৃষাও। শ্বশুরের কাছে বিয়ের পর থেকেই বিপ্লব একটি নতুন গাড়িপ্রাপ্তির জন্যে স্ত্রীর উপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। তৃষার ইঙ্গিতে তার বাবা এ হীন চাপকে উপেক্ষা করে আসছিলেন। [ঢা.বো. ১৫]
ক. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
খ. ‘নিরু বাপের মুখ দেখিয়া সব বুঝিতে পারিল’Ñ ব্যাখ্যা করো।
গ. সময়ের পরিবর্তন হলেও গ্রাম কিংবা শহরে সমস্যা আজও একইÑ উদ্দীপক ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের আলোকে সমস্যাটি চিহ্নিত করো।
ঘ. “বিপ্লবের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলোই পারে নিরু বা তৃষাদের করুণ পরিণতি থেকে মুক্তি দিতে।”Ñ আলোচনা করো। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি লেখকের ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।
খ. মেয়ের সুখের জন্য নিজের অমানবিক কষ্ট শিকারের বিষয়টি বাবা মুখে প্রকাশ না করলেও তাঁর মুখ দেখে মেয়ে ঠিকই বুঝে গিয়েছিল।
নিরুপমার জন্য পণের বাকি টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তার দরিদ্র পিতা ঘোর সংকটের আবর্তে পতিত হলেন। কোনো উপায় না পেয়ে অল্প অল্প সুদে নানা স্থান থেকে টাকা ধার করে জমাতে লাগলেন।
ফলে সংসারের খরচ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো। এতসব দুঃখ-কষ্টের কথা নিরুপমার বাবা মেয়ের কাছে কিছুই বলেননি। কিন্তু বাবার মুখে মলিনতা ও দুশ্চিন্তার ছাপ দেখে মেয়ে ঠিকই বুঝে নিয়েছিল যে বাবা ভালো নেই।
-
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:স্বাধীন বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (ফ্রি PDF)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (ফ্রি পিডিএফ) SSC:স্বাধীন বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:স্বাধীন বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর(ফ্রি পিডিএফ)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:স্বাধীন বাংলাদেশের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক (ফ্রি পিডিএফ)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:স্বাধীন বাংলাদেশ MCQ উত্তরসহ (ফ্রি পিডিএফ)
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:MCQ স্বাধীন বাংলাদেশ উত্তরসহ (ফ্রি পিডিএফ)
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শহর এবং ‘দেনাপাওনা’ গল্পে উল্লিখিত গ্রাম একই সমস্যায় আক্রান্ত। আর তা হলো-যৌতুকপ্রথা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘দেনাপাওনা’ গল্পে যৌতুকের মর্মস্পর্শী পরিণতির চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। যৌতুকের লেলিহান শিখা কেড়ে নেয় নিরুপমা নামের একটি নিরপরাধ জীবন। নিরুপমার বাবাকে সহ্য করতে হয় সীমাহীন মানসিক নির্যাতন।
উদ্দীপকের তৃষা শহরের বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী শ্বশুরের কাছে একটি নতুন গাড়ি দাবি করে। তৃষা বাধা দেওয়ায় তার বাবাও এই অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করেন নি। কিন্তু তৃষার স্বামী বিপ্লবের লালসার কারণে নির্যাতন ভোগ করতে হয় তৃষাকে। উদ্দীপকের বর্ণিত শহরের যৌতুকের এই ভয়াবহতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দেনাপাওনা’ গল্পেও। গল্পের প্রেক্ষাপট গ্রামাঞ্চল হলেও সামাজিক ব্যাধি উভয় ক্ষেত্রে একই।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিপ্লবের যৌতুকের লালসার বিরুদ্ধে তৃষার শক্ত অবস্থান এবং সুবিচার নিশ্চিত করার যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এই ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করবে।
দেনাপাওনা’ গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বার্থান্ধ মানুষের অর্থলিপ্সার স্বরূপ তুলে ধরেছেন। যৌতুকের টাকা বাকি পড়ার কারণে শ্বশুরবাড়িতে নিরুপমাকে পদে পদে গঞ্জনা, অবহেলা সহ্য করতে হয়।
নিরুপমা একসময় যৌতুকের ঘৃণ্যতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হলেও তার বাবা যথার্থ অবস্থান নিতে পারেননি। সামাজিকভাবে যৌতুকপ্রথার স্বীকৃতি থাকায় এটি প্রতিরোধের পথটিও ছিল প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ। ফলে যৌতুকের বলি হয়ে অকালেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয় নিরুপমাকে।
উদ্দীপকের তৃষার স্বামী বিপ্লব যৌতুক আদায়ের জন্য তৃষার বাবাকে চাপ দেয়। তৃষা তার বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এ অবস্থায় সুষ্ঠু বিচারের জন্য তারা আইনের আশ্রয় নেয়।
ফলে বিপ্লবকে যেতে হয় কারাগারে। ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া গেলে নিরুপমাকে করুণ পরিণতি বরণ করতে হতো না।
যৌতুক একটি ঘৃণ্য সামাজিক অপরাধ। যৌতুকের লোভ মানুষকে মনুষ্যত্ববোধ ভুলিয়ে দেয়। ফলে মানুষ হয়ে ওঠে নির্মম। যেমনটা হয়ে উঠেছিল ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং উদ্দীপকে বর্ণিত তৃষার স্বামী।
নিরুপমা ও তৃষা উভয়ের ওপরই নেমে এসেছিল নির্যাতন। এমন জঘন্য মানসিকতার মানুষদের অপকর্ম ঠেকাতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রতিরোধ। যা গল্পের নিরুপমা ও উদ্দীপকের তৃষার মাঝে লক্ষ করা যায়।
আর সামাজিক প্রতিরোধের বিষয়টি উদ্দীপকে লক্ষ করা গেলেও গল্পে তা অনুপস্থিত। সেটি করা সম্ভব হলে রক্ষা পেত নিরুপমার প্রাণ। উদ্দীপকেও তৃষার স্বামীর বিরুদ্ধে আরও আগে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তৃষাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো না। বিপ্লবদের মতো যৌতুকলিপ্সুদের সর্বাত্মকভাবে বর্জন করলেই তৃষা বা নিরুপমার মতো হাজারো নারী রক্ষা পাবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
মকবুল বুড়োর তিন স্ত্রী। তবুও সে সম্পত্তির লোভে আম্বিয়াকে বিয়ে করতে চায়। আম্বিয়ার একটি বসতবাড়ি, নৌকা ও এক টুকরো জমি আছে। আম্বিয়ার পরিবারে হাঁপানী রয়েছে জেনেও লোভী মকবুল ভাবে, “আগে বিয়ে করে সম্পত্তি হাত করি, পরে না হয় তালাক দিব। [চ.বো. ১৫]
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ কত টাকা পণ চেয়ে বসল?
খ. ‘বাপও কাঁদে মেয়েও কাঁদে’ কেন?
গ. উদ্দীপকের বুড়ো মকবুলের ভাবনাটি ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ভাবগত পার্থক্য থাকলেও মকবুল বুড়ো ও রায়বাহাদুরের মানসিকতার মধ্যে ভিন্নতা নেই।Ñ মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ দশ হাজার টাকা পণ চেয়ে বসল।
খ. দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবার সাক্ষাৎলাভের আনন্দে নিরুপমা ও তার বাবা রামসুন্দর উভয়ই কাঁদে।
‘দেনাপাওনা’ গল্পে রামসুন্দর তাঁর মেয়ে নিরুপমাকে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেন। কিন্তু যৌতুকের সম্পূর্ণ টাকা শোধ না করতে পারায় নিরুপমাকে শ্বশুরবাড়িতে নানা গাল-গঞ্জনা সহ্য করতে হয়।
তাই রামসুন্দর যৌতুকের সমস্ত টাকা জোগাড় করে মেয়েকে দেখতে যাওয়ার পণ করেন। এতে দীর্ঘদিন বাপ মেয়ের সাক্ষাৎ হয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাবা ও মেয়ের মনে অনেক কষ্টের অনুভূতি চাপা থাকে। এজন্য অনেক দিন পরে রামসুন্দর মেয়েকে দেখতে গেলে বাবা মেয়ে উভয়ই সাক্ষাৎলাভের আনন্দে কাঁদে।
গ. উদ্দীপকের বুড়ো মকবুলের ভাবনাটি ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অর্থলিপ্সাকেই মনে করিয়ে দেয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত হয়েছে নিরুপমা নামের এক দুঃখিনীর করুণ পরিণতির কথা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নির্মম মানসিক নির্যাতন চালায়। স্বার্থপর মানুষের অমানবিকতার দরুন একজন নিষ্পাপ মানুষের জীবন কিভাবে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আলোচ্য গল্পটি।
উদ্দীপকে দেখা যায়, বৃদ্ধ মকবুলের তিনজন স্ত্রী থাকার পরও সম্পত্তি হাত করার লালসায় সে আম্বিয়াকে বিয়ে করতে চায়। আম্বিয়ার হাঁপানির সমস্যা থাকলেও সে চিন্তিত নয়।
কেননা বিয়ের পর সম্পত্তি করায়ত্ত করে আম্বিয়াকে তালাক দেওয়া তার কাছে মামুলি একটা ব্যাপার। অথচ তার অর্থলিপ্সার কারণে একজন নারীর জীবনে যে অন্ধকার নেমে আসবে সেই বোধ তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করে না।
লোভী, স্বার্থপর মানুষের এই হীন মানসিকতা প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপকের মকবুল বুড়োর ভাবনা ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকদের ভাবনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. ভাবগত পার্থক্য থাকলেও উদ্দীপকের মকবুল বুড়ো ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর চরম অর্থলিপ্সু ও স্বার্থপর।
‘দেনাপাওনা’ গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যৌতুকলোভী মানুষদের ঘৃণ্য মানসিকতার স্বরূপ তুলে ধরেছেন।
তাদের যৌতুকের দাবির কাছে মানুষের জীবনের দাম অতি নগণ্য। যৌতুকের সম্পূর্ণ টাকা হাতে না পাওয়ায় গল্পের নিরুপমার শ্বশুর রায়বাহাদুর নিরুপমা ও তার বাবাকে মানুষ বলে মনে করেন না। নানাভাবে উভয়ের ওপর মানসিক নির্যাতন চালান।
উদ্দীপকের মকবুল বুড়োর ঘরে রয়েছে তিন তিনটি বউ। তারপরও তার ইচ্ছে আম্বিয়াকে বিয়ে করার। আম্বিয়ার সামান্য সম্পত্তিটুকু নিজের দখলে নিতে চায় সে। আর তারপর প্রয়োজনে সে আম্বিয়াকে ছুড়ে ফেলতে চায় আঁস্তাকুড়ে। অর্থ ও সম্পদের প্রতি প্রবল লোভ উদ্দীপকের মকবুল বুড়ো ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর বাবুকে এক বিন্দুতে স্থাপন করেছে।
অর্থ-সম্পদের লোভ মানুষের মন থেকে মনুষ্যত্ববোধ ভুলিয়ে দেয়। তখন মানুষের আচরণ হয়ে ওঠে নির্মম। ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুরের কাছে টাকাই সব। তাই ছেলের বউ কিংবা বেয়াই কেউই তার আপন হয়ে উঠতে পারেনি।
মানসিক নির্যাতনে তাদেরকে প্রতিনিয়ত জর্জরিত করেছেন। উদ্দীপকের মকবুল বুড়ো গল্পের রায়বাহাদুর বাবুর মতো নির্মমতা প্রদর্শন করেনি। তবে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একজন মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রকৃতপক্ষে মকবুল বুড়ো কিংবা রায়বাহাদুর বাবু একই মানসিকতা পোষণ করেন।
অর্থ ও সম্পদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য তাঁরা অন্যের সুখ কেড়ে নিতে দ্বিধা করেন না। তাঁরা দুজনেই প্রচণ্ডভাবে স্বার্থান্ধ ও নির্মম মানসিকতার অধিকারী।
সৃজনশীল প্রশ্ন
যৌতুকের বলি এক অসহায় কন্যার আর্তচিৎকার!….. “বাবা তুমি আইসা আমারে নিয়া যাইও, ওরা আমারে মাইরা ফালাইতাছে।” মুঠোফোনে এভাবে গীতারাণী বেঁচে থাকার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন তার বাবা নিতাই চন্দ্র পালের কাছে।
আদরের মেয়েকে বাঁচাতে ঠিক তখনই বাড়ি থেকে ছুটে যান বাবা নিতাই চন্দ্র পাল। কিন্তু গীতার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান মেয়ের নিথর দেহ। নিতাই চন্দ্র পালের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। (সংগ্রহ-দৈনিক প্রথম আলো, ৩-৯-১৪) [সি.বো. ১৫]
ক. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
খ. ‘বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল’Ñ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের গীতারাণীর সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য থাকলেও দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা আছে”Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘দেনাপওনা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ’ থেকে সংকলিত হয়েছে।
খ. ১নং প্রশ্নের (খ)-এর উত্তর দেখো।
গ. যৌতুকের কারণে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের গীতারাণীর সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমা চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘দেনাপাওনা’ গল্পটিতে মানুষের যৌতুকলিপ্সু ঘৃণ্য মানসিকতার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে। গল্পের নিরুপমার বাবা বিয়ের সময় যৌতুকের টাকা পুরোপুরি শোধ করতে ব্যর্থ হন।
এ কারণে নিরুপমার শ্বশুরবাড়িতে তার বা তার বাবার কোনো মর্যাদা থাকে না। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকদের নির্মম মানসিক নির্যাতনের শিকার নিরুপমা অকালে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
উদ্দীপকের গীতারাণী যৌতুকের এক নির্মম বলি। যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার ওপর নিষ্ঠুর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।
যৌতুকের কারণে প্রায়ই এমন নিরপরাধ গৃহবধূদের জীবনে করুণ পরিণতি নেমে আসে। গল্পের নিরুপমা এবং উদ্দীপকের গীতারাণী তাদেরই প্রতিনিধি।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘দেনাপাওনা’ গল্প উভয়ের বিষয়বস্তু যৌতুক সম্পর্কিত হলেও যৌতুক প্রদান ও শাস্তি দাবি করার ক্ষেত্রে ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।
‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বিয়ে হয় বনেদি এক ঘরে। বিয়ের সময় যৌতুকের নগদ অর্থ বাকি পড়ে যায়। ফলে বিয়ের পর শুরু হয় নিরুপমা ও তার বাবার ওপর মানসিক নির্যাতন।
নিরুপমার দরিদ্র বাবা যৌতুকের টাকা জোগাড় করার জন্য বসতবাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দেন। কিন্তু নিরুপমা তার বাবাকে টাকা দিতে নিষেধ করলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর পরিণতিতে আমরা দেখি নিরুপমাকে অকালে হারিয়ে যেতে।
উদ্দীপকের গীতারাণী যৌতুকপ্রথার এক অসহায় শিকার। যৌতুকের দাবিতে তার ওপর চলে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন। ফলে একপর্যায়ে প্রাণ হারায় সে। গীতারাণীর বাবা নিতাই চন্দ্র পালের কোনোরূপ যৌতুক দেওয়ার প্রমাণ নেই উদ্দীপকে।
গীতারাণীর মৃত্যুর পর তিনি মেয়ের মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকদের দায়ী করেছেন। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবা রামসুন্দরের তুলনায় ভিন্নতর।
গল্পের নিরুপমার বাবা রামসুন্দর মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য মোটা অঙ্কের যৌতুকের দাবি মেনে মেয়ের বিয়ে দেন। যৌতুকের বাকি টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তিনি সর্বস্ব হারান।
মেয়ের মৃত্যুর পর নীরবে চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে উদ্দীপকের গীতারাণীর বাবা মেয়ের মৃত্যুর জন্য মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকদের যৌতুকের লোভকে দায়ী করেছেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর সন্তান হত্যার বিচার চান। এদিক থেকে উদ্দীপকের দৃষ্টিভঙ্গি গল্পের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
সৃজনশীল প্রশ্ন
নগেন বাবু একমাত্র কন্যা মিনাকে বি.এ পাস করিয়েছেন অতিকষ্টে। মেয়েকে সুখী করতে নরেন্দ্র নাথের উচ্চশিক্ষিত বড় ছেলে নয়নের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় পুকুর ও ভিটেমাটি বিক্রি করেও পণের পাঁচ হাজার টাকা দিতে পারেননি।
পণের টাকা বাকি পড়েছে বিধায় ছেলের বাবা-মা মিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। পরিশেষে, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে মিনা এখন বাবার বাড়িতেই দিনাতিপাত করছে। [ব.বো. ১৫]
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ কত টাকা পণ চেয়েছিল?
খ. “টাকা হাতে না পাইলে বর সভাস্থ করা যাইবে না”-এ কথার অর্থ কী
গ. উদ্দীপকের মিনা আর ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার জীবনের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ, ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেÑ মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ দশ হাজার টাকা পণ চেয়েছিল।
খ. যৌতুকের সমুদয় টাকা পরিশোধ না করলে ছেলেকে বিয়ে দেবেন না-এ কথা বোঝানোর জন্যই প্রশ্নোক্ত মন্তব্য করা হয়েছে।
‘দেনাপাওনা’ গল্পে পাত্রের বাবা রায়বাহাদুর একজন লোভী ও অর্থলিপ্সু মানুষ। তিনি ছেলেকে বিয়ে দেন যৌতুকের লোভে। বিয়ের দিন নিরুপমার বাবা পণের সম্পূর্ণ টাকার বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ হন। তখন অর্থলোভী রায়বাহাদুর প্রশ্নোক্ত নির্মম মন্তব্যটি করেন।
গ. উদ্দীপকের মিনা এবং ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমা উভয়কেই যৌতুকের কারণে নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিরুপমা যৌতুকের নিষ্ঠুরতার শিকার।
মেয়ের সুখী-সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য তার বাবা তাকে উঁচু ঘর দেখে বিয়ে দেন। কিন্তু যৌতুকের নগদ টাকা বাকি পড়ায় নিরুপমার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। শ্বশুরবাড়ির লোকদের অবর্ণনীয় মানসিক নির্যাতন তার জীবন থেকে সমস্ত সুখ কেড়ে নেয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত মিনার বাবা মিনাকে ভালো পাত্র দেখে মোটা যৌতুকের মাধ্যমে বিয়ে দেন। কিন্তু সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করেও পণের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে তিনি ব্যর্থ হন।
ফলে যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে মিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। গল্পের নিরুপমার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই বলা যায়, গল্পের নিরুপমা এবং উদ্দীপকের মিনা দুজনেই যৌতুকের ভয়াবহতার শিকার।
ঘ. ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর এবং উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ দুজনেই ভীষণ স্বার্থান্ধ ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘দেনাপাওনা’ গল্পে যৌতুক নামক সামাজিক ব্যাধির ভয়াবহতার চিত্র দেখিয়েছেন।
যৌতুকের সম্পূর্ণ টাকা হাতে না পাওয়ায় গল্পের নিরুপমার শ্বশুর রায়বাহাদুর হয়ে ওঠেন নির্মম। নিরুপমা ও তাঁর বাবার ওপর অমানবিক মানসিক নির্যাতন চালান তিনি। তাঁর ঘৃণ্য মানসিকতাই নিরুপমার অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ।
উদ্দীপকের মিনার শ্বশুর নরেন্দ্রনাথের মাঝে যৌতুকের প্রতি প্রবল লিপ্সা লক্ষ করা যায়। তার যৌতুকের চাহিদা মেটাতে গিয়ে মিনার দরিদ্র বাবা সর্বস্বান্ত হয়ে যান। তবুও তার চাহিদা পূরণে সক্ষম হন না।
এ কারণে মিনার ওপর নেমে আসে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। একসময় নির্যাতন থেকে বাঁচতে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসে মিনা।
অর্থ ও সম্পদের লোভ মানুষের বিবেককে অকেজো করে দেয়। মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে মানুষ তখন পশুতে পরিণত হয়। উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুরের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি সত্য। যৌতুকের লোভে তাঁরা দুজনেই পুত্রবধূর সাথে অমানবিকতা দেখিয়েছেন।
নিজেদের স্বার্থের বাইরে কিছুই ভাবেননি তারা। তাঁদের স্বার্থান্ধতার কাছে ঠাঁই পায়নি মানবীয় সম্পর্ক, মানবিক মূল্যবোধের চিরন্তন বিষয়গুলো। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ ও গল্পের রায়বাহাদুর দুজনই যৌতুক নামক ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধির সুবিধাভোগী শ্রেণির প্রতিনিধি।
সৃজনশীল প্রশ্ন
বাণীর বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছিল। এমন সময় একটা ভালো ছেলের সন্ধান পাওয়া গেল। পাত্রপক্ষ বাণীর বাবার কাছে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা আর একটা মোটরসাইকেল দাবি করল। বাণীর দরিদ্র বাবা যৌতুক দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন।
ক. রামসুন্দর মেয়েকে বাড়িতে আনার প্রস্তাব করার আগে কত টাকা সংগ্রহ করেছিলেন?
খ. নিরুপমার জন্য তার শ্বশুরবাড়ি শরশয্যা হয়ে উঠল কেন?
গ. উদ্দীপকের বাণীর বাবার সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দরের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বরপক্ষের সাথে বাণীর বাবার আচরণের যৌক্তিকতা ‘দেনাপাওনা’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. রামসুন্দর মেয়েকে বাড়িতে আনার প্রস্তাব করার আগে তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করেছিলেন।
খ. নিরুপমার বাবা পণের টাকা জোগাড় করে আনলেও নিরুপমার বাধার কারণে তা না দিয়ে ফিরে যান। এ কারণেই নিরুপমার জন্য তার শ্বশুরবাড়ি শরশয্যা হয়ে উঠল।
ক্ষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত নিরুপমার দরিদ্র বাবা রামসুন্দর মেয়ের সুখের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন। বসতবাড়ি বিক্রি করে দিয়ে পণের টাকা জোগাড় করেন। নিরুপমা এ কথা জানতে পেরে বাবাকে ভর্ৎসনা করে।
বলে, এ টাকা দিলে তাকে অপমান করা হবে। নিরুপমার প্রবল আপত্তির মুখে রামসুন্দর টাকা না দিয়েই ফিরে যান। এ খবর নিরুপমার শাশুড়ির কানে পৌঁছালে তাঁর ক্রোধের সীমা থাকে না। তাই নিরুপমার জন্য তার শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ অত্যন্ত প্রতিকূল হয়ে ওঠে।
গ. যৌতুকপ্রথার কাছে নতি স্বীকারের দিক থেকে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবা রামসুন্দরের সাথে উদ্দীপকের বাণীর বাবার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত রামসুন্দর একজন কন্যাবৎসল পিতা। কন্যা নিরূপমার সুখের কথা ভেবে তিনি অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করেন। নিজের আর্থিক সংগতি না থাকা সত্ত্বেও মেয়ের বিয়েতে। পাত্রপক্ষের বিশাল অঙ্কের পণের দাবি নতমুখে মেনে নেন।
উদ্দীপকের বাণীর বাবা দরিদ্র হলেও অবিবেচক নন। মেয়েকে তিনি টাকার বিনিময়ে বিয়ে দিতে রাজি নন। পাত্রপক্ষ যৌতুক হিসেবে অর্থসামগ্রী দাবি করলে দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যৌতুক দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেবেন না।
যৌতুকের বিরুদ্ধে এমন যৌক্তিক প্রতিবাদ দেখা যায় না ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দরের মাঝে। বরং মেয়ের জন্য যৌতুকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে যান। এক্ষেত্রে গল্পের রামসুন্দর এবং উদ্দীপকের বাণীর বাবার মাঝে বৈসাদৃশ্য সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
-
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC:স্বাধীন বাংলাদেশ উত্তরসহ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ফ্রি পিডিএফ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC: স্বাধীন বাংলাদেশ উত্তরসহ MCQ ফ্রি পিডিএফ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC: স্বাধীন বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত ও বর্ণনামূলক উত্তরসহ ফ্রি পিডিএফ
- উত্তর ডাউনলোড করুন> স্বাধীন বাংলাদেশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে রাখি
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন এবং উত্তর (ফ্রি PDF)
ঘ. ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার পরিণতির আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকের বাণীর বাবা বরপক্ষের সাথে যে আচরণটি করেছেন তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত।
‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত নিরুপমার প্রতি তার বাবা রামসুন্দরের গভীর টান লক্ষ করা যায়। তাঁর ধারণা মেয়েকে বড় ঘরে বিয়ে দিলেই মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যাবে।
তাই পাত্রপক্ষ মোটা অঙ্কের পণ দাবি করলে সামর্থ্য না থাকার পরও তিনি পিছু হটেন নি। কিন্তু পরবর্তীতে পণ পরিশোধে অসামর্থ্যরে কারণে নিরুপমা ও রামসুন্দরের ওপর নেমে আসে নির্মম মানসিক নির্যাতন।
উদ্দীপকের বাণীর বাবা মেয়ের বিয়ের জন্য একজন ভালো ছেলেকে নির্বাচন করেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে বরপক্ষ বিয়েতে যৌতুক চাইলে। বাণীর সচেতন বাবা যৌতুকপ্রথার বিরোধিতা করে বিয়ে ভেঙে দেন।
ফলে তাঁর ও বাণীর আত্মসম্মান যেমন অটুট থাকে তেমনি বাণীও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দর যৌতুকের দাবির সাথে আপস করায় তাঁর মেয়ের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
যৌতুকপ্রথা একটি ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধি। লোভী মানুষেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই প্রথার দোহাই দিয়ে অন্যের সর্বনাশ করে। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে নির্মম ভাগ্য বরণ করে নেয় অনেক গৃহবধূ।
‘দেনাপাওনা’ গল্পে আমরা এমনই একটি দুঃখময় ঘটনার পরিচয় পাই। যৌতুকের বলি হয়ে অকালেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় নিরুপমা। আর তার আগে নিরন্তর সহ্য করে যায় অকথ্য মানসিক নির্যাতন।
তার পিতা রামসুন্দরকেও হাজারো অপমান সহ্য করতে হয়। শেষ পর্যন্ত আদরের কন্যাটিকেও হারাতে হয়। অন্যদিকে উদ্দীপকের বাণীর বাবা গল্পের রামসুন্দরের তুলনায় অধিক দূরদৃষ্টি ও বিবেচনাবোধসম্পন্ন।
আপন কন্যার মূল্য তিনি টাকার বিনিময়ে নির্ধারণ করতে রাজি হননি। গল্পের রামসুন্দরও একইভাবে সিদ্ধান্ত নিলে তাঁর ও তাঁর কন্যাকে যৌতুকের নির্মম অভিশাপের শিকার হতে হতো না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বাণীর বাবার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণরূপে সঠিক।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।