পৌরনীতি-নাগরিকতা অনুধাবন-জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

পৌরনীতি-নাগরিকতা অনুধাবন-জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কোনটি সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে?
উত্তর : সীমাহীন স্বাধীনতা সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ সবার উপরে আইন-এর অর্থ কী?
উত্তর : সবার উপরে আইন এর অর্থ আইনের প্রাধান্য।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কোন ধরনের আইন রাষ্ট্রের সংবিধানে উল্লেখ থাকে?
উত্তর : সাংবিধানিক আইন রাষ্ট্রের সংবিধানে উল্লেখ থাকে।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ আইনকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : আইনকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কোনটি ছাড়া সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়?
উত্তর : আইন ছাড়া সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ সাম্য কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : সাম্যের অর্থ হচ্ছে সমান।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কোন দুটি গণতন্ত্রের ভিত্তিস্বরূপ কাজ করে?
উত্তর : সাম্য ও স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তিস্বরূপ কাজ করে।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ আইন কোনটির অভিভাবক হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : আইন স্বাধীনতার অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ধর্মচর্চা করা কোন ধরনের স্বাধীনতা?
উত্তর : ধর্মচর্চা করা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বর্তমানে কোন সাম্যের ধারণা প্রায় অচল?
উত্তর : বর্তমানে স্বাভাবিক সাম্যের ধারণা প্রায় অচল।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ কোন দুটি পরস্পর পরিপূরক?
উত্তর : সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর পরিপূরক।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ সমাজের সকল ব্যক্তি কীসের দৃষ্টিতে সমান?
উত্তর : সমাজের সকল ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে সমান।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ আইনের অন্যতম উৎস কী?
উত্তর : ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মীয় গ্রন্থ আইনের অন্যতম উৎস।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ রাষ্ট্র সাম্যভিত্তিক হলে কোনটি নিশ্চিত হয়?
উত্তর : রাষ্ট্র সাম্যভিত্তিক হলে স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ কার রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনের উৎস?
উত্তর : বিচারকের রায় আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করা কোন ধরনের স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে?
উত্তর : পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে।

প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির সম্পর্ক নির্ণীত হয় কোন আইন দ্বারা?
উত্তর : ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির সম্পর্ক নির্ণীত হয় বেসরকারি আইন দ্বারা।

প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ বিচারবিভাগ পরিচালিত হয় কোন আইনে?
উত্তর : বিচারবিভাগ পরিচালিত হয় ফৌজদারি আইন ও দণ্ডবিধি আইনে।

প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ কোন দেশের অনেক আইন প্রথার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে?
উত্তর : যুক্তরাজ্যের অনেক আইন প্রথার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ হিটলারের আইন কোন ধরনের ছিল?
উত্তর : হিটলারের আইন মানবতাবিরোধী ছিল।

প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ সাম্য ছাড়া কোনটির কথা কল্পনা করা যায় না?
উত্তর : সাম্য ছাড়া স্বাধীনতার কথা কল্পনা করা যায় না।

প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ সাম্য ও স্বাধীনতার পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে কয়টি ধারণা রয়েছে?
উত্তর : সাম্য ও স্বাধীনতার পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে দুটি ধারণা রয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ আইন কীসের রক্ষক হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : আইন ব্যক্তি স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ কোন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ স্বাধীনতা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সাধারণ অর্থে স্বাধীনতা বলতে নিজের ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো কাজ করাকে বোঝায়। কিন্তু পৌরনীতিতে স্বাধীনতা বলতে ভিন্ন অর্থ বোঝায়। অন্যের কাজে বাধা সৃষ্টি না করে বা অন্যের ক্ষতি না করে নিজের ইচ্ছানুযায়ী নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করাই হলো স্বাধীনতা।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ সাম্য কাকে বলে?
উত্তর : সাম্য অর্থ সমান। শব্দগত অর্থে সাম্য বলতে সমাজে সবার সমান মর্যাদাকে বোঝায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সমাজে যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই সমান নয়।

প্রকৃতপক্ষে সাম্য বলতে এমন এক সামাজিক পরিবেশকে বোঝায় যেখানে জতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করে এবং সেসবের সদ্ব্যবহার করে নিজ নিজ ক্ষমতার বিকাশ ঘটায়। যেখানে কারও জন্য কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা থাকে না।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ আইনের প্রধান উৎস ‘আইন পরিষদ’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বর্তমানকালে আইনের নানাবিধ উৎস রয়েছে। আধুনিককালে আইনের প্রধান উৎস হলো আইন পরিষদ। আইনসভা জনমতের সাথে সঙ্গতি রেখে আইন প্রণয়ন করে।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রয়োজনে আইনসভা পুরাতন আইন সংশোধন, যুগোপযোগী করে তোলে। অতএব বলা যায় যে, আইনের বহুবিধ উৎস থাকলেও আইন পরিষদ কর্তৃক প্রণীত আইনই হচ্ছে বর্তমান যুগের আইনের প্রধান উৎস।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ জনগণ আইন মান্য করে কেন?
উত্তর : আইন হলো সমাজে প্রচলিত এমন সব নিয়মকানুন যা সমাজ দ্বারা স্বীকৃত ও রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত। এজন্য আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। আইন ভঙ্গের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।

নিজের ও সমাজের কল্যাণের জন্য মানুষ আইন মেনে চলে। আইন দিয়ে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির, ব্যক্তির সাথে রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ণীত হয়। সর্বোপরি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জনগণ আইন মান্য করে।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ আইনের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর : আইনের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
– আইন অনেকগুলো প্রথা, রীতিনীতি ও নিয়মকানুনের সমষ্টি।
– আইন মানুষের বাহ্যিক আচরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে।

– সমাজের যেসব নিয়ম রাষ্ট্র অনুমোদন করে সেগুলো আইনে পরিণত হয়।
– আইন ব্যক্তির স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে কাজ করে।
– আইন সর্বজনীন।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ আইন কীভাবে নাগরিকের স্বাধীনতাকে সম্প্রসারিত করে?
উত্তর : আইন ও স্বাধীনতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। যে আইন জনগণের সম্মতির ওপর প্রতিষ্ঠিত, সে আইন স্বাধীনতার রক্ষক। সুন্দর, শান্তিময়, সুষ্ঠু জীবনযাপনের জন্য যা প্রয়োজন তা আইনের দ্বারা সৃষ্টি হয়। এভাবে আইন নাগরিকের স্বাধীনতা সম্প্রসারিত করে।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ স্বাভাবিক সাম্যের ধারণা দাও।
উত্তর : নাগরিক জীবনে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের জন্য সাম্যকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়, যার মধ্যে স্বাভাবিক সাম্য অন্যতম।

এর অর্থ জন্মগতভাবে প্রত্যেক মানুষ স্বাধীন এবং সমান। কিন্তু বাস্তবে জন্মগতভাবে প্রত্যেক মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সমান হতে পারে না। এজন্য বর্তমানে স্বাভাবিক সাম্যের ধারণা প্রায় অচল।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ রাজনৈতিক স্বাধীনতার গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : স্বাধীনতার বিভিন্ন ধরনের মধ্যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অন্যতম। ভোটদান, নির্বাচিত হওয়া, বিদেশে অবস্থানকালীন নিরাপত্তা লাভ ইত্যাদি নাগরিকের রাজনৈতিক স্বাধীনতা।

রাজনৈতিক স্বাধীনতার গুরুত্ব অনেক। এই স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় শাসন কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যোগ্যতা অনুযায়ী পেশা গ্রহণ ও উপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করাকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলে। মূলত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য নাগরিকরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করে।

এই স্বাধীনতা না থাকলে অন্যান্য স্বাধীনতা ভোগ করা যায় না। সমাজের অন্য শ্রেণির শোষণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রয়োজন।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ সমাজে আইনের শাসন কেন অপরিহার্য?
উত্তর : আইনের শাসন একটি সভ্য সমাজের মানদণ্ড। আইনের শাসনের অর্থ সকল আইনের অধীন। স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসন জরুরি। মূলত সামাজিক সাম্য, নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক সমাজ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য আইনের শাসন অপরিহার্য।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ আইন কীভাবে স্বাধীনতার অভিভাবক হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : আইন ও স্বাধীনতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।

পিতামাতা যেমন অভিভাবক হিসেবে সন্তানদের সকল বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন, নিরাপদ রাখেন, ঠিক তেমনি আইন সকল প্রকার বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করে স্বাধীনতাকে রক্ষা করে। এর মাধ্যমে আইন স্বাধীনতার অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : স্বাধীনতার বিভিন্ন রূপের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতা একটি। ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে এমন স্বাধীনতাকে বোঝায় যে স্বাধীনতা ভোগ করলে অন্যের কোনো ক্ষতি হয় না। যেমন : ধর্মচর্চা করা ও পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করা। এ ধরনের স্বাধীনতা ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব বিষয়।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ আইনের উৎস হিসেবে প্রথার ভূমিকা উল্লেখ কর।
উত্তর : আইনের উৎসগুলোর মধ্যে প্রথা অন্যতম। দীর্ঘকাল যাবৎ কোনো নিয়ম সমাজে চলতে থাকলে তাকে প্রথা বলে। রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে প্রথার মাধ্যমে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা হত।

রাষ্ট্র সৃষ্টির পর যেসব প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে, সেগুলো আইনে পরিণত হয়। যুক্তরাজ্যের অনেক আইন প্রথার ওপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ বিচারকের রায় কীভাবে আইনে পরিণত হয়?
উত্তর : আদালতে উত্থাপিত মামলার বিচার করার জন্য প্রচলিত আইন অস্পষ্ট হলে বিচারকগণ তাদের প্রজ্ঞা ও বিচার-বুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে ঐ আইনের ব্যাখ্যা দেন এবং উক্ত মামলার রায় দেন।

পরবর্তীকালে বিচারকগণ সেইসব রায় অনুসরণ করে বিচার করেন। এভাবে বিচারকের রায় পরে আইনে পরিণত হয়। বিচারকের এই রায় আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ ন্যায়বোধ দ্বারা কীভাবে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়?
উত্তর : আইনের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ন্যায়বোধ উল্লেখযোগ্য।

আদালতে এমন অনেক মামলা উত্থাপিত হয়, যা সমাধানের জন্য অনেক সময় কোনো আইন বিদ্যমান থাকে না। সে অবস্থায় বিচারকগণ তাদের ন্যায়বোধ বা বিবেক দ্বারা উক্ত মামলার বিচারকাজ সম্পাদন করেন, যা পরবর্তীকালে আইনে পরিণত হয়।

প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ স্বাধীনতা কী?
উত্তর : সাধারণ অর্থে স্বাধীনতা বলতে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করাকে বোঝায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বলতে এ ধরনের অবাধ স্বাধীনতাকে বোঝায় না।

কারণ সীমাহীন স্বাধীনতা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই পৌরনীতিতে স্বাধীনতা ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করে নিজের ইচ্ছানুযায়ী নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করাই স্বাধীনতা।

প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ সাম্য কাকে বলে?
উত্তর : সাম্যের অর্থ সমান। শব্দগত অর্থে সাম্য বলতে সমাজে সবার সমান মর্যাদাকে বোঝায়। কিন্তু সমাজে সবাই সমান নয় এবং সবাই সমান যোগ্যতা নিয়ে জš§গ্রহণ করে না।

প্রকৃত অর্থে সাম্য বলতে এমন এক সামাজিক পরিবেশকে বোঝায় যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এবং সেই সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে সবাই নিজ নিজ দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে পারে।

প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ আইনবিদদের গ্রন্থ থেকে কীভাবে আইনের উৎপত্তি হয়?
উত্তর : আমরা যখন ইংরেজি গল্প, উপন্যাস কিংবা খবরের কাগজ পড়ি, তখন কোনো শব্দার্থ বুঝতে সমস্যা হলে ইংরেজি অভিধানের সাহায্য নিই।

ঠিক তেমনিভাবে বিচারকরা কোনো মামলার বিচারকার্য সম্পাদন করতে গিয়ে আইন সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় পড়লে তা সমাধানের জন্যে আইন বিশারদদের বিভিন্ন গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এসব আইন ব্যাখ্যা করেন যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়। যেমন : অধ্যাপক ডাইসির ‘ল অব দ্যা কনস্টিটিউশন।

ANSWER SHEET

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *